নদীর পাড়ে কাঁটানো মূহুর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি || দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

এরপর বেশ কিছুক্ষণ সেখানে আমার সময় কাটিয়েছিলাম এবং আমি পাশে একটি গাছে দেখলাম কিছু পোঁকা পাতার উপর দিয়ে চলাচল করছে।আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পোঁকা গুলো এত সুন্দর ছিল দেখতে যে এদের ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না।

আসলে সেখানে এত এত ভাল সময় কাটিয়েছে এবং এত ফটোগ্রাফি করেছি যে এক পর্বে শেয়ার করা সম্ভব না। বাকি ফটোগ্রাফি গুলো অন্য একটি পোস্টে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।

এরপর ফটোগ্রাফি করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল।নদীর পাশে সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট আছে।রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কেননা এটা পুরোটাই বাঁশ দিয়ে তৈরি। এবং এটা বাঁশের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। তো আমরা সবাই মিলে প্রথমে রেস্টুরেন্টে ঢুকে যখন আমি রেস্টুরেন্টের উপরে উঠছিলাম তখন আমার অনেকটা ভয় লাগছিল মনে হচ্ছিল বাঁশ ভেঙে যদি পড়ে যাই। যাইহোক সেরকম কিছু হয়নি বেশ মজবুত ছিল।

1000022951.jpg

1000022952.jpg

এরপর সেখানে গিয়েও আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি এবং খাবারের মেনু দেখে পছন্দ মত আমরা খাবার করেছিলাম তোর প্রচুর গরম লাগছিল তাি প্রথমেই আমরা কোক হিসেবে ফানটা নিয়েছিলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে ফুচকা খেয়েছিলাম। এখানকার ফুচকাটা বেশ ভালো লেগেছিল কিন্তু ফুচকার সাথে যে টকটা দেয় সেটা মোটেই ভালো ছিল না। টকটা ছিল গরম যেটা ফুচকার সাথে একদম ভালো লাগছিল না খেতে। যাইহোক ডক্টর আমরা পরে খাইনি শুধুমাত্র ফুচকা খেয়েছিলাম। এরপর আমার রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসি।

1000022684.jpg

1000022633.jpg

1000022666.jpg

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে হতে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছিল। তখন কাঠের বৃজটা পার হতে আমার যে কি ভয় লেগেছিল এটা বলে বোঝানোর মত না। অনেক ভয়ে ভয়ে পার হয়ে আমরা বড় রিক্সা নিয়ে চলে যায় সিএনজি স্ট্যান্ডে। সেখানে গিয়ে আমরা মান্নান ভাইয়ের দেখা পাই মান্নান ভাই মাঝেমধ্যে আমাদেরকে সিএনজিতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন এজন্য ওনার সাথে আমাদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের আর অপেক্ষা করতে হয় নাই আমরা মান্নান ভাইয়ের গাড়িতে করে বাসায় ফিরে এসেছিলাম।

সেখানকার আশপাশের আবহাওয়া পরিবেশ সবকিছু এত ভালো ছিল যে বেশ ভালো সময় কাঁটিয়েছিলাম সবাই। সবাই মিলে ভালো সময় কাঁটানোর মজাই আলাদা। যাইহোক আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।

সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000006402.png

1000006403.gif

1000006401.gif

Sort:  
 2 years ago 

নদীর পাড়ে চমৎকার কিছু সময় কাটালেন, তোমাকে সব ফটোগ্রাফি এবং পরিবারসহ রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সবমিলিয়ে চমৎকার একটা দিন কাটলো।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

জ্বি ভাইয়া নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি সাথে খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাঁটিয়েছি ।

 2 years ago 

রেস্টুরেন্ট টি নদীর পাড়ে আবার বাঁশ দিয়ে তৈরি হওয়ায় বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে।তবে মজবুত ছিল,যেটা ভয় করেছিলেন সেটা হয়নি।ফুসকার মেইন আকর্ষণ হচ্ছে টক,আর এই টক টাই সবজায়গায় খারাপ করে।এজন্য আর ভালো লাগেনা খেতে।যাইহোক বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনারা পরিবারসহ সন্ধ্যা পর্যন্ত।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বী আপু নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্টটা পুরো বাঁশ দিয়ে তৈরি ছিল প্রথমে খুবই ভয় পাচ্ছিলাম পরে দেখলাম না ভালোই আছে মজবুত আছে অনেক।ঠিক বলেছেন আপু ফুচকার মেইন আকর্ষণ হচ্ছে টক আর এখানকার টকটা একদম বাজে ছিল আর গরম ছিল। তবে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক ভালো সময় কাঁটিয়েছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।আসলে এরকম জায়গায় সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে ।ওরকম একটি রেস্টুরেন্ট আমাদের এখানেও আছে ।বাসের উপরে কাঠ দিয়ে তৈরি ।তবে এটি সম্পূর্ণ নদীর উপরে দারুন একটা ভিউ পাওয়া যায় ।বেশ ভালো লাগে সময় কাটাতে ।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বি আপু নদীর পাড়ে এমন প্রকৃতির মধ্যে এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট এবং আশেপাশের পরিবেশ এত সুন্দর থাকলে সময় এমনিতে ভালো কাঁটবে। বেশ ভালো সময় পার করেছি সেখানে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

কোন পাতার উপর দিয়ে পোকা চলাচল করছিল সেটা তো খুঁজেই পেলাম না আপু । আর এরকম বাঁশ দেওয়া রেস্টুরেন্টে যেতে একটু ভয় লাগারই কথা যদি ভেঙে পড়ে যায় । যাক শেষ পর্যন্ত ভাঙে তো নাই । ফুচকার ভিতরে টক না দিলে কি খেতে ভালো লাগে টক ছাড়াই খেয়ে নিয়েছেন কি আর করার গরম টপ ছিল সেটা না খাওয়াই ভালো । অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনার পোস্ট করেই বোঝা গেল ।

 2 years ago 

পাতার উপর দিয়ে পোকার চলাচল দেখতে গেলে আপনাকে প্রথম পর্বের পোষ্ট টি পড়তে হবে আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

বাহ্ আপু নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে তো বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। বাঁশের তৈরি যে কোন জিনিসের উপর উঠতেই তো ভয় করে। বিশেষ করে নদী নালা খাল বিলের উপরে তৈরি জিনিস। যাইহোক আপনার ভয় করছিলো তারপরেও কোন দুর্ঘটনা হয়নি এটাই অনেক। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো আপু। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ‌

 2 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

সন্ধ্যা বেলায় এমন পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। যদি নদীর পাড়ের দৃশ্য হই তাহলে তো আরো অনেক ভালো লাগার কথা। তাছাড়া আপনি যে রেস্টুরেন্টের বর্ণনা দিলেন দেখে বুঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর হবে। ভালো খাওয়া দাওয়া করলেন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন সময় টা ভালই উপভোগ করলেন।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু আমরা নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলাম আর সেখানে দেখলাম সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট এবং সেখানে কিছু খাওয়া দাওয়া আমরা করলাম। সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাঁটিয়েছি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

বর্তমান সময়ে এই জাতীয় রেস্টুরেন্টের সংখ্যা একটু বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কারন আমি যেখানে লক্ষ্য করেছি বেশিরভাগ খেয়াল করে দেখেছি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা এই জাতীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষের সমাগম খুব বেশি। আর এই সুন্দর জায়গায় যদি নিজের পরিবার সন্তানকে নিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা যায়, আর সেই মুহূর্তটা যদি হয় বিকেল টাইম তাহলে তো অন্যরকম ভালোলাগা ও ফিলিংস কাজ করে মনের মধ্যে। দারুন সেই মুহূর্তটা আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আশা করি অনেক ভাল লেগেছিল আপনার এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করতে এবং আপনজনের সাথে অতিবাহিত করতে।

 2 years ago 

শহরের রেস্টুরেন্ট গুলাতে গেলে সেই ভিতরে এসি রুমে বসতে খুব একটা ভালো লাগে না কিন্তু এই বাঁশ দিয়ে তৈরি রেস্টুরেন্ট গুলোতে গেলে আশেপাশের প্রকৃতির পরিবেশ অনেক ভালো লাগে।আর সাথে যদি পরিবারের সদস্যরা থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

কাটানো মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে সম্পূর্ণটা খুব ভালো লেগেছে। এরকম ব্রিজ গুলো কিন্তু অনেক বেশি মজবুত থাকে যদিও অনেকে ভয় পায়। এরকম রেস্টুরেন্ট গুলো আমার খুবই পছন্দের। এরকম রেস্টুরেন্টে গেলে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটানো যাওয়ার এবং খাওয়া-দাওয়া ভালো করা যায়। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।

 2 years ago 

জ্বী আপু এখানকার কাঠের ব্রিজটা অনেক মজবুত ছিল এবং বাঁশের তৈরি রেস্টুরেন্টটাও দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। সেখানে আমরা খুব ভালো সময় কাঁটিয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনি পরিবার নিয়ে নদীর পাড়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বেশ বুঝতে পারছি।রেস্টুরেন্টটি বাঁশের তৈরি।সুন্দর হলেও ভয় লাগারই কথা।আপনারা ফুচকা খেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্টটি বাঁশের তৈরি এবং অনেক সুন্দর দেখতে হলেও আমি খুবই ভয় পাচ্ছিলাম কারণ রেস্টুরেন্ট এর ওপরে অনেক লোকজন ছিল যদি এটা ভেঙে পড়ে যায় তাহলে কি একটা অবস্থা হবে বারবার শুধু এই চিন্তায় করছিলাম। যাইহোক অবশেষে কিছু হয় নাই বেশ ভালো সময় কাঁটিয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.29
JST 0.036
BTC 101635.72
ETH 3375.09
USDT 1.00
SBD 0.60