আত্মতৃপ্তি || @shy-fox 10 % beneficiary
রাত নয়টার পরে, আমার যে কি পরিমান একটা মানসিক চাপ যায় সেটা শুধুমাত্র আমি জানি। কারণ এই চাপটা অনেকটা সংজ্ঞায়িত করা যায় না। তবে যতটাই চাপ পড়ে যায় না কেন, এটার মধ্যে আমার একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি কাজ করে। যাইহোক যদিও পার্সোনাল বিষয়। তবে আজকে আপনাদের সামনে একটু খোলাসা করব, আশা করি ভালো লাগবে।
গাড়ি থেকে নামার পরপরই, ওর প্রথম যে কাজটা থাকে সেটা হচ্ছে ছুটে আসে আমার কাছে। এবং চেষ্টা করে ও আমার সঙ্গে কুশল বিনিময় করার জন্য এবং আমার সারাটা দিন কেমন যাচ্ছে ছিল চেষ্টা করে সেই বিষয়টা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। তারপরে ও ব্যস্ত হয়ে যায় মোবাইল ফোনে। তবে এরই ফাঁকে আমাকে ওকে অনেকটা ম্যানেজ করতে হয়। বিশেষ করে ওর কাজের ফাঁকে ফাঁকেই রাতের বেলার খাওয়ার বন্দবস্ত করতে হয়।
মানে আমার যে মানসিক চাপটা থাকে, সেটা হচ্ছে আসলে ওর খাবারটা রাত্রিবেলা নিশ্চিত করা। কারণ এর আগেও আমি কয়েকদিন দেখেছি যে, রাত্রি বেলা ওর জন্য খাবার রেখেছি কিন্তু ও আর রাত্রিবেলা খায়নি। যদিও কারণ হচ্ছে হয়তো কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় চলে গেছে, পরে আর খাওয়ার ইচ্ছা জাগে নি, সেজন্য খায়নি। কিন্তু এই বিষয়টা যখন আমি খেয়াল করেছি তারপর থেকে, আমার প্রথম যে দায়িত্বটা থাকে সেটা হচ্ছে, ও বাড়িতে আসার পরপরই আমি আগে ওর খাবারটা নিশ্চিত করি। তারপর ও মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে যায় আপনাদের সঙ্গে কথা বলা ও অন্যান্য কাজের জন্য।
গতকালকেও রাত্রিবেলা সেম একই ঘটনা ঘটতে ধরছিল। ও বাড়ি ফিরেই ব্যাগ রেখেই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বলছে আমি ব্যস্ত আছি পরে খাব। এটা শোনার পর পরই মোটামুটি আমি কিছুটা একটু বিব্রত বোধ করছিলাম। কারন আমি মানুষটার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছি আর সে এসেই সে তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। যদিও তার কাজ গুলো আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে খাবারটাও তার জন্য দরকার। কারণ তার জন্য বাড়ির অন্য সকল মানুষরা অনেক রাত্রিবেলা পর্যন্ত জেগে থাকে।
![20210825_213613.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbAcvBCxuEZTGg2JPAQjo8UXEFmfgp5dbD694EQKfdhaN/20210825_213613.jpg)
প্রিয় মানুষদের জন্য কিছু করতে পারাটা আমাদের সবার জন্যই অনেক আনন্দের। আসলে ভাইয়ের কোন দোষ নেই কারণ তিনি খুবই ব্যস্ত থাকেন দুই দিকেই। একদিকে চেম্বার আবার অন্যদিকে মডারেশনের কাজ। তারপরে হচ্ছে সংসার সব মিলে আসলে ভাই খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে। তারপরও আপনাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন অনেক উপভোগ্য এবং এত ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগছে।
ভাবি নিত্য দিনের ঘটনা তুলে ধরেছেন। খাওয়ার মুহূর্তে সাথে আপনার অনুভূতি প্রকাশ খুব ভালো লেগেছে। আমার অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
এটা একদম সত্যি এবং সহমত পোষন করছি। মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষটির জন্য কিছু করতে পেরে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।