সেদিন সন্ধ্যায়
এ শহরের বুক চিড়ে বিশাল একটা রাস্তা চলে গিয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে অগণিত গাড়ি প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে কিন্তু মুহূর্তেই রাস্তার পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এ রাস্তায় এখন আর গাড়ি চলাচল করে না। এখন মানুষজন চলাচল করেনা। আশেপাশে যে দোকানপাট গুলো ছিল সেগুলোও বন্ধ। হঠাৎ করে কেন এমন পরিবর্তন, কেন এই শহরটা ভুতুড়ে লাগছে। কেন?
এইরকম এক গা ছমছমে অবস্থায়, আমি একবার এই শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হেঁটে ছিলাম। একদম রাস্তার মাঝখান দিয়ে, কারণ আমি নির্ভয়ে হেঁটেছিলাম। কারণ আমি জানি যে,এখন আর কোনো গাড়ি চলাচল করবে না। কারণ রাস্তায় কোন চুল পরিমান কোন শব্দ নেই একদম ফাঁকা।আমি আপনি সবাই জানি যে, কেন সেই সময় শহরের অবস্থা ভুতুড়ে ছিল। কেন শহরের অবস্থা এই রকম ছিল এবং কেন সবাই ঘরবন্দি ছিল।
এই ঘটনাগুলো প্রথমবার লকডাউনের সময়। যখন আমরা শহরে থাকতাম। তখন একবার সন্ধ্যাবেলা আমি আর আমার প্রিয়তম স্বামী হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম, সেদিন আমি ইচ্ছা করে তাকে বলেছিলাম যে আমরা শহরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটবো। অবশেষে সেই রাস্তা দিয়ে আমরা হেঁটে গিয়েছিলাম। যে রাস্তায় সর্বদা গাড়ি থাকতো, একদম ব্যস্ত শহর থাকতো চতুর্দিকে,কোলাহল থাকতো, সেই শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে, আমি আর আমার প্রিয়তম একসঙ্গে হেঁটেছিলাম একদম নিরিবিলি। আমরা চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সময়টাকে একটু ভিন্নভাবে কাটানোর জন্য।চেষ্টা করেছিলাম পিচঢালা রাস্তার, বোবা কান্না শোনার জন্য। সে এক অসাধারণ অনুভূতি।