বারান্দায় রাতের নিরব পরিবেশে কিছুক্ষণ
"হ্যালো,"
বাগান করতে আমার বরাবরই ভালো লাগে কিন্তু শখ থাকলেও আমার সেরকম জায়গা নেই যে বাগান করব। যখন বাবার বাড়িতে ছিলাম তখন সেখানে ছোটখাটো একটা বাগান করেছিলাম এবং সেই বাগানটা আমার এখনো আছে। আর শ্বশুর বাড়ি শহরে হওয়ার কারণে সেই রকম জায়গা নেই যে আলাদা করে আমি বাগান করবো। আর যখন আমি এই ভাড়া বাসায় উঠি তখন থেকেই আমার বারান্দাতে কমবেশি ছোট ছোট গাছগুলো লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর বাসায় গাছ থাকলে আমার কাছে সেটা খুবই ভালো লাগে।
মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় বারান্দায় অনেক গাছ লাগায় পুরা বারান্দায় আমি গাছে গাছে ভরিয়ে ফেলি। কিন্তু বাবুর কারণে সেটা পারি না। ও সুযোগ পেলে বারান্দাতে ঢুকে যায় এবং সব গাছ ছিরে ফেলে।প্রথম প্রথম অনেক গাছ ছিল কিন্তু ইদানিং অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছি কারণ কিছু গাছ কাটা জাতীয় থাকায় বাবু সেগুলোতে হাত দিতে এবং ও খুব ব্যথা পেতে। বিশেষ করে ক্যাকটাস জাতীয় গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছি।
গতকাল আমি এই বাজার থেকে কিছু কলমি শাক কিনেছিলাম। তো সেই শাক বেঁছে নেওয়ার পর যে ডাটা গুলো ছিল ভাবলাম আমি এগুলো ফেলে না দিয়ে যদি বারান্দায় লাগিয়ে দেয় তাহলে দেখতে ভালো লাগবে আর একদিন তুলে খাওয়া যাবে যদি হয় শাকগুলো।তো ছাদে আমার মাটি ছিল এবং কিছু টব ছিল। আপনারা জেনে অবাক হবেন আমি এখানে কোন কেনা টব ব্যবহার করিনি। এখানে আমি বাবুর যে টিস্যুর পটগুলো ছিল আমি সেখানে এগুলো সুন্দর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রিলের সঙ্গে লাগিয়ে ব্যবহার করেছি টব হিসেবে।
তো সেই টব গুলো ছাদ থেকে এনে আমি কলমি শাকের ডাটা গুলা লাগিয়ে দিলাম। এরপর সবগুলা গাছের কিছু ছবি তুললাম।আমার বারান্দায় কিছু পাতা বাহার আছে, ঘাস ফুলের গাছ,রসুন গাছ, এ্যালোভেরা এবং তুলশি গাছ আছে। তুলশি গাছটা রাখি কারণ বাবুর কাশি আমাদের কারো কাশি হলে বেশ উপকারে আসে।মাঝে মাঝে চা বানিয়ে খাওয়া হয়। ভাবছি আরো কিছু গাছ নতুন করে লাগাবো।
তো অনেকদিন পর বারান্দায় বেশ ভালো সময় কাটল গাছ লাগানো এবং প্রত্যেকটা গাছের যত্ন নেওয়া। তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে অবশ্যই সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
বাগান করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। কিন্তু শহরে বাগান করা একটু মুশকিল। বারান্দায় কিছু গাছ লাগানো যায় তারপর বাচ্চা থাকলে তো তাও সম্ভব হয় না। তারপরও আপনি বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন এবং বাবুর টিস্যুর পটকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর টব তৈরি করেছেন। তুলসী গাছ আমার বাসাতেও একটা আছে বাচ্চাদের সর্দি-কাশিতে খুব উপকার হয় এই গাছ। ভালো লাগলো আপনার বাগান দেখে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শহরে বাগান করা খুবই মুশকিল। আর যেটুকু জায়গা পেয়েছি বাবুর জন্য তো খুবই সাবধানে গাছ লাগাতে হয়েছে।
আপনি ঠিক বলছেন আপু গ্রামে অনেক খোলামেলা পরিবেশে অনেক কিছু করতে ভালো লাগে এবং সুযোগ সুবিধা হয়। কিন্তু এ শহরের বদ্ধ পরিবেশে ছোট একটি বারান্দায় এসব করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে আমি তো তেমন ছাদে যাই না ব্যালকনিতে কাপড়-চোপড় শুকাতে হয় তাই সেখানে যদি বাগান করি তাহলে জায়গাটি একদম হিজিবিজি হয়ে যাবে তাই করি না। আপনি ঠিক করছেন কলমি শাকের ডাটা গুলো যদি লাগায় দেন তাহলে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে নিয়ে শাক খেতে পারবেন।
আমিও খুব একটা ছাদে যাইনা আপু। শীতের মধ্যে একটু যাওয়া হতো। তবে গরম পড়ার পর খুব একটা যাওয়া হয়না।বারান্দায় কাপড় দেই।আমার বারান্দা টা বেশ ভালোই বড় তাই এক পাশে কিছু গাছ লাগিয়েছি।