ললনা ভাবির বাসায় বেড়াতে যাওয়ার মহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

আজকে দরকারি একটা কাজে পাশের বাসায় সেলাই করে এক ভাবী সেই ভাবীর কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকটি জামা বানাতে দিয়েছি তাই জামাগুলো বানানো হয়েছে কিনা সেটা জানতে গিয়েছিলাম। তো ভাবি বলল পরশুদিন নিয়ে যেতে এখনো সবগুলো কমপ্লিট হয়নি। সেখান থেকে আসার সময় আমাদের পুরনো বাসার সামনে ললনা ভাবীর বাসা। ভাবী জানালা খুলে দুই ছেলেকে নিয়ে বসে আছে।আমার সাথে দেখা হয় দু চারটা কথা জানালা দিয়েই বলছিলাম। একপর্যায়ে ভাবি বললেন ভিতরে আসেন গল্প করি।বিকেলবেলা বাসায় তেমন কাজ নেই আর বাবুও তার বাবার সঙ্গে বাহিরে গেছে ভাবলাম একটু সময় কাটাই।

1000021911.jpg

ভিতরে গিয়ে দেখি ভাবীর এক ছেলে মোবাইলে গেম খেলছে এবং এক ছেলে আর্ট করতে বসেছে। ছোট ছেলেটি গেম খেলছিল আর বড় ছেলেটি আর্ট করছিল। আমি বড় ছেলেটি কে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কেমন আর্ট করতে পারো। সে বলল টুকটাক করতে পারে। মোবাইল দেখে দেখে আর্ট করছিল। আমি আর ভাবি অনেক গল্প করছিলাম। এরমধ্যে কানে কিচির মিচির শব্দ আসছিলো।বেশ কিছু পাখি যখন একসঙ্গে ডাকাডাকি করে তখন যেমন শব্দ হয় ঠিক তেমনি। আমি প্রথমে ভাবছিলাম হয়তো বাইরে থেকে আসছে শব্দগুলো। পরে আমি কৌতুহলবশত বাবুটাকে জিজ্ঞেস করি তোমাদের বাসায় কি পাখি আছে?

1000021914.jpg

সে বলল হ্যাঁ আন্টি আমাদের বাসায় বেশকিছু পাখি আছে। আসেন আপনাকে দেখাই। এ বলে সে পাশের একটি রুমে আমাকে নিয়ে গেল। এটি একটি ফ্ল্যাট বাসা তিন টা রুম বিশিষ্ট।যেহেতু ভাবী দুই ছেলে এবং স্বামী নিয়ে এখানে থাকেন তাই এতগুলো রুম তাদের প্রয়োজন পড়ে না। সেই রুমটাতে কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং বেশ কয়েকটি খাঁচা দেখতে পেলাম। এবং প্রত্যেকটাতে আলাদা আলাদা পাখি রয়েছে। একটি টিয়া পাখির বাচ্চাও ছিল। নাম মিঠু বেশ পোষ মেনেছে। ওদের সব কথাই শুনছে। আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পাখিগুলো এত উড়ছিল আর এত দুষ্টু ছিল কিছুতেই ভালো ছবি তুলতে পারছিলাম না।

1000021913.jpg

1000021912.jpg

মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে খাঁচায় পাখি পোষার কিন্তু আবার অনেক সময় খুব খারাপ লাগে যে এই পাখিগুলোকে খাঁচায় বন্দি করে রাখব।আমার খুব একটা ভালো লাগে না।তবে ইচ্ছা আছে একটি ময়না পাখি বা একটি টিয়া পাখি কিনব যেটা আমি সবসময় মুক্ত ভাবে পুষবো কোনো খাঁচায় রেখে নয়।যাইহোক বিকেলের এই সময় টুকু বেশ ভালোই কাটলো।

আজ এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000006402.png

1000006406.png

1000006401.gif

Sort:  
 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ললনা ভাবির বাসায় বেড়াতে যাওয়ার মহূর্ত। আসলে ভাবির বাসাতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সব সময় নিজের মনের মাঝে একটা আনন্দঘন মুহূর্ত কাজ করে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার ভাবির দুটো ছেলে। আসলে পাখিগুলো এভাবে খাঁচার মধ্যে আটকে রাখা দেখতে সবারই খারাপ লাগে আপু। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। এটা সত্য কথা পাখি এভাবে খাঁচার মধ্যে বন্ধ করে রাখতে আমার খুবই খারাপ লাগে।

 last year 

বাহ! দারুন সময় কাটালেন ললনা ভাবির বাসায়। মাঝে মাঝে বের হয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করে। আর বাচ্চাদের সাথে থাকতে থাকতে একা ঘুরতে ও ভাল লাগে। পাখি টা দেখে অনেক ভাল লাগলো আপু। ভাবির সাথে সুন্দর একটি সময় কাটালেন বিস্তারিত পড়ে ভাল লাগলো।

 last year 

বাবুকে সাথে নিয়ে কোথাও গেলে তো গল্প করতে পারিনা। ওরে সামলাতেই সময় চলে যায়। তাই বাবুকে যখন ওর বাবা বিকেল বেলা বাহিরে নিয়ে যায় তখন টুকটাক একটু বের হওয়ার চেষ্টা করি।

 last year 

বিকেলবেলা গল্প করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন আপু। মাঝেমধ্যে গল্প করলে মন ফ্রেশ হয়ে যায়। পাখি পোষা আমারও তেমন পছন্দ না। কারণ খাঁচায় বন্দী করে রাখতে হয়। তবে আমার ওয়াইফ এর ইচ্ছায় দুটি বাজরিগার পাখি পুষছি এখন। ময়না এবং টিয়া পাখি খুঁজছি। পেলেই নিয়ে আসবো বাসায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমারও ইচ্ছা আছে ময়না এবং টিয়া পাখি পোষায় তবে সেগুলো মুক্ত করে কোনো খাঁচায় রেখে না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56784.71
ETH 2392.67
USDT 1.00
SBD 2.27