বিপদ যে কোনো উপায়ে কেটে যেতে পারে || একটি বাস্তব ঘটনা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি একটি গল্প শেয়ার করব। এটি সত্য ঘটনা তবে এটি কেউ বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা। আমারও প্রথমবার শুনে বেশ অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। আমার এক প্রতিবেশী ভাবি আছেন যিনি একজন উদ্যোক্তা। তিনি বাসায় বসে কাপড় বিক্রি করেন এবং সেলাইয়ের কাজ করেন। আমার বিয়ের পর থেকে উনার কাছে আমি কাপড় সেলাই করতে দেই এবং শুধু আমি নয় আমাদের আশেপাশে যত মহিলা আছে সবাই ওনার কাছেই সেলাই করেন।ভাবি খুবই মিশুক একজন মানুষ। উনার কাছে গেলে প্রায় এক দুই ঘন্টা সময় লেগে যায়। কেননা উনি গল্প করতে ভালোবাসেন এবং বেশ রসিক মানুষ। মজার মজার গল্প শোনায় আমাদেরকে।
যাইহোক গতকাল গিয়েছিলাম রাত্রি বেলা উনার কাছে। আমার কিছু কাপড় ওনার কাছে সেলাই করতে দেওয়া ছিল। তো যা হয় আর কি প্রত্যেকবারই উনার সাথে অনেক গল্প করা হয়তো গল্পে গল্পে উনি একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেন। হনার এক ছেলে এক মেয়ে বড় মেয়ে কলেজে পড়ে ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে। তো ওনার বড় মেয়ে যখন ওনার গর্ভে ছিল তখন উনি এই গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। উনার শ্বশুরবাড়িতে একটি গাভী ছিল গাভিটির পেটে বাছুর ছিল।
তো একদিন রাতে উনি স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে গাভিটি ওনাকে জিজ্ঞেস করছে "তোর পেটে কি সন্তান আছে।"ভাবি আগে থেকেই জানতেন যে তার গর্ভে মেয়ে সন্তান আছে। তাই তিনি গাভীকে বলেন যে মেয়ে সন্তান। তখন নাকি গাভিটি ওনাকে বলেন আমার গর্ভেও মেয়ে আছে তুই আবার পেটের সঙ্গে তোর পেট ছোঁয়া। তখন ভাবি নাকি স্বপ্নেই তার পেট গাভীর পেটের সঙ্গে ছুঁয়ে নেন।
এরপর ভোররাতে কান্নার আওয়াজে ভাবীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। বের হয়ে দেখে গোয়াল ঘরে তার শ্বশুর শাশুড়ি কান্না করছে। ভাবি এগিয়ে গিয়ে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন গরুটি মারা গেছে। ভাবি তখন অনেক অবাক হয়ে যান। যদিও সেই সময়টা কাউকে কিছু বলেননি। পরদিন দুপুরবেলা ভাবি তার শ্বশুরকে ডেকে রাতের স্বপ্নের কথা বলেন।তখন উনার শ্বশুর ওনাকে বলেন "মা তুমি শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহ তাআলার কাছে।"এই বিপদটা তোমার হতে পারতো যেটা গরুর উপর দিয়ে চলে গেছে।
সত্যি কথা বলতে এই গল্পটি শুনে প্রথম আমিও বিশ্বাস করিনি। পরে ভাবীর মুখে ভালোভাবে শুনে পুরো বিষয়টি তারপর বিশ্বাস করেছি। আসলে বিভিন্নভাবে বিপদ কেটে যায় এটা তারই ইঙ্গিত ছিল। হয়তো ভাবীরা কোন বিপদ হতে পারতো যেটি গরুর হয়েছে।গল্পটি শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম আবার খারাপও লেগেছিল গরুটির জন্য।
যাই হোক বন্ধুরা আজকের গল্পটি এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আসলে যারা ভাল মনের মানুষ তাদের সাথে সময় খুব দ্রুতই চলে যায় যেমন আপনার ভাবির সাথে অনেক সুন্দর সময় কেটে যায়। আপু বাস্তব একটি ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছিল ঈদের আগের দিন। আমাদের গরুটা খুবই অসুস্থ ছিল এবং গরুটি পেট পরিষ্কার করতে পারছিল না।তেমনি ঈদের রাত্রে আমারও এরকম সমস্যা হয়েছিল। আমিও বাথরুম করতে পারছিলাম না। পেটে অনেক সমস্যা হয়েছিল আপু। গরুটিকে বিকালের দিকে চিকিৎসা করা হলো। তারপর ভাবলাম যে সেরে যাবে। কিন্তু আমারও একই সমস্যা হয়েছিল। আমারও চিকিৎসা করা হয়েছিল। সকালের দিকে আমি বেঁচে গেলাম আর গরুটি মারা গেল একই সমস্যায় 😭😭😭।হঠাৎ রাত্রে উঠে দেখছি গরুটি মারা গেছে। সকলে কতই না কান্না করলাম আপু। খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম তখন ভাবলাম যে আল্লাহ বিভিন্নভাবে বিপদ থেকে রক্ষা করে। যাই হোক আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। গল্পটি যেহেতু আমার সাথে মিলে গিয়েছে প্রায়। অতীতের কথা মনে পড়ে গেল আপু 😭
হ্যাঁ ভাইয়া সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আমিও প্রথমে বিশ্বাস করিনি তবে আপনার কথা শুনে আরো বেশি করে বিশ্বাস করলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘটনাটি আমি বিশ্বাস করেছি কারণ এরকম ঘটনা ঘটে থাকে একজনের বিপদ আরেকজনের উপর দিয়ে চলে যায়। আপনার ভাবির বিপদ হতে পারতো হয়তোবা সেই গরুর উপর দিয়ে সেই বিপদটা কেটে গেছে। তবে গরুটির জন্য আমার অনেক খারাপ
লেগেছে। সত্য ঘটনাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
সত্যি কথা বলতে এটা আমিও জানি আপু একজনের বিপদ আরেকজনের উপর দিয়ে চলে যায় কিন্তু এভাবে স্বপ্ন দেখিয়ে যে বিপদ কেটে যেতে পারে এটা কখনোই আমার মাথায় ছিল না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গল্পটি পড়ে গায়ের লোম কাটা দিয়ে উঠলো।আসলেই ঠিল গরুটির উপর দিয়ে বিপদ কেটে গেছে ওই ভাবির।গল্পটি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। তবে গরুটির জন্য আপনার মতো আমারও কষ্ট লাগলো। ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাবি গরুটির জন্য আমার খুবই খারাপ লাগছিল। আবার ভাবীর কথা ভেবেও বেশ ভালো লাগছিল। কারণ অনেক বড় বিপদ থেকে ওরা রক্ষা পেয়েছেন।
ঘটনাটা আসলেই আমার কাছে অনেকটা কাল্পনিক মনে হয়েছে বাস্তবিকভাবে যে এরকম ঘটনা হয় সেটা জানা ছিল না। এটা মনে হয়েছে কোন একটা রূপকথার গল্প তবে এই ঘটনাটা যে আপনার খুব কাছের একজন ভাবীর সঙ্গে ঘটে গিয়েছে জেনে রীতিমতো। অবশ্য তার শ্বশুর ঠিকই বলেছে এমন কিছু হয়তোবা তার সঙ্গে ঘটে যেতে পারতো তবে তার ভাগ্যটা ভালো ছিল যে গরুর উপর দিয়েই গিয়েছে। এরকম ঘটনা পড়তে খুব ভালো লাগে, একটু ভয় ভয় কাজ করে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আমিও মনে করেছিলাম উনি হয়তো আমাদের সাথে মজা করছিলেন কিন্তু পরে পুরো ঘটনাটি শুনে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার এই গল্পটা পড়ে আমি কি বলবো এটাই বুঝতে পারছি না। আপনার ওই ভাবির এরকম এটা বিপদ হতে পারতো, হয়তো এটা গরুর উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। আপনি এই সত্য ঘটনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে। পুরো ঘটনাটা পড়ে বিশ্বাস করতে হলো। তবে আমার কাছে গরুটির জন্য ও খারাপ লেগেছে।
হ্যাঁ আপু এটা ঠিক হয়তো ওই ভাবীর কোন বড় বিপদ হতে পারত যেটা ওই গরুটার উপর দিয়েই গেছে।সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ।
আসলেই যে কোন আওময়ে মানুষ এর বিপদ আসতেও পারে, আবার যে কোন উসিলায় সেই বিপদ কেটেও যেতে পারে বলেই আমি বিশ্বাস করি। সর্ব ক্ষমতার অধিকারী উপরওয়ালার ইচ্ছে সব। তবে গর্ভবতী গাভীটির জন্য খারাপ ই লাগলো। আর আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার আসলে কোন ব্যাখ্যা নেই।
আসলে গল্পটি শোনার পর খুশি হব নাকি কষ্ট পাবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একদিকে ভাবির কথা ভাবতে গেলে ভালো লাগছিল আবার গরুটির কথা ভাবতে গেলে খুব খারাপ লাগছিল। যাইহোক কি আর করা এভাবে হয়তো ভাবির বিপদ কেটে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এরকম ঘটনা আগে কখনো শুনিনি । তবে ঘটনাটা যেহেতু আপনি শেয়ার করেছেন শুনেই নিশ্চয়ই শেয়ার করেছেন । বিপদ যে এরকম আর একজনের মাধ্যমে কেটে যায় সেটা শুনেছি আজকে আপনার গল্পের মাধ্যমে আবার দেখে নিলাম। সত্যি ঘটনাটি অলৌকিক ছিল ।
জ্বী আপু গল্পটি আমি ওনার মুখ থেকে শুনেছি এবং যেহেতু ওনার সঙ্গে ঘটে গিয়েছে তাই বিশ্বাস করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। হয়তো এরকম একটা বিপদ আপনার ওই ভাবির হতে পারতো, তবে গরুর উপর দিয়ে এটা কেটে গিয়েছে। এরকম একটা বিষয় বিশ্বাস করার মতো না। তবে ওই গরুটার জন্য ও কষ্ট হচ্ছে। কারণ গরুটা ও গর্ভবতী ছিল। বাস্তবিক ঘটনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই বিষয়টি বুঝতে পেরে, মন্তব্য করার জন্য।
মুরুব্বিরা বলে যে, বিপদ জান (জীবন) এবং মালের উপর দিয়ে যায়। অনেক সময় বড় কোনো বিপদ হলে অনেকে বলে যে, ভালোই হয়েছে বিপদটা মালের উপর দিয়ে গিয়েছে। কারণ জান না জীবনের উপর দিয়ে গেলে তো আরও বিপদ। যাইহোক উনার স্বপ্নের কথা আমার বিশ্বাস হয়েছে। কারণ এমন কিছু ঘটনা আমিও শুনেছি অনেকের মুখ থেকে। তাছাড়া গভীর রাতে দেখা স্বপ্ন নাকি অনেক সময় সত্যি হয়ে যায়। যাইহোক আল্লাহ তায়ালা বিপদের হাত থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে রক্ষা করে থাকে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলেছেন কখনকার কিভাবে বিপদ রক্ষা হবে তা বলা মুশকিল ভাই।