হঠাৎ বাসায় পিকনিকের আয়োজন
হ্যালো
কয়েকদিন আগে শুনেছিলাম বাসায় একটা পিকনিকের আয়োজন করা হবে। তবে কবে করা হবে সেটা আর শোনা হয়নি। তারপরে তো বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম বাসায় আসার পর এই নিয়ে আর কোন আলোচনা হয়নি। হঠাৎ সন্ধ্যাবেলায় জানতে পারি যে পিকনিকের আলোচনা করা হচ্ছে। তো আমি সেখানে থাকতে পারিনি কারণ আমি বাজারে গিয়েছিলাম কিছু বাজার করতে আর বাবুর কেনাকাটা করতে। যেহেতু বাসায় ছিলাম না বাসায় কোন বাজার ছিল না। এজন্য আমি আর বাবুর বাবা বাজারে চলে গিয়েছিলাম। বাজার করে আসার সময় কেয়ারটেকার ভাই বলছিলেন উনি বাজার করে এনেছেন পিকনিকের। তো আমি দুজনার টাকাটা উনাকে দিয়ে দিলাম। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে নিচে গিয়ে দেখি সবাই কাঁটা বাছা করছে এবং সবাই অনেক হাসি ঠাট্টা করছে। আমি সেখানে বেশি সময় দিতে পারিনি কারণ বাবু বেশি দুষ্টামি করছিল। তাই আমি তাকে নিয়ে বাসায় এসেছিলাম এবং বাবুকে খাইয়ে ঘুমাতে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। বাবু কিছুতেই ঘুমাতে চাচ্ছিল না বারবার সেখানে যেতে চাইছিল। তো আমি একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আবারো সেখানে যায় এবং গিয়ে দেখি রান্না প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু বাবু আবারও দুষ্টুমি শুরু করে দিয়েছিল। তাই আমি বৌদির বাসায় গিয়ে বাবুকে নিয়ে বসে ছিলাম। রান্নাবাড়ি যখন শেষ হয়ে গেছিল তখন আমি বাসন থেকে কয়েকটি বাটি নিয়ে গিয়েছিলাম এবং সেখানে সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা অবশ্য ওখানেই খেতে বসে গেছিল। কিন্তু আমরা বাসায় এনে খেয়েছিলাম। রান্না গুলো বেশ ভালো হয়েছিল। সবাই মিলেমিশে রান্না করেছিলাম। তো যাই হোক সবাই মিলে অনেক মজা করেছি এটাই অনেক।মাঝে মাঝে এমন চড়ুইভাতি বা পিকনিক খেতে ভালোই লাগে। ভাবীরা বলছিলেন যে পরবর্তীতে দু এক মাস পর পর এরকম চড়ুইভাতির আয়োজন করবেন। বেশ ভালই হবে সবাই মিলে একবেলা খাওয়াও হবে এবং সময় ভালো কাটানো হবে।
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সবার দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
মেনুতে ছিলো সাদা পোলাও, কক্ মুরগির মাংস কষা,মিক্স সবজি এবং সালাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই মিলে একসাথে বনভোজনের মজাটা যে কি সেটা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক বছর আগের কথা এমন কোন সপ্তাহ ছিল না যে আমরা বনভোজন করি নাই। সবাই মিলে একসাথে রান্নাবান্না করে খাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। যাই হোক আপনারা খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন এবং আপনার রান্না গুলো সবাই মিলে একত্রিত বসে খেয়েছেন। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে এ ধরনের একটা পিকনিক করলে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করা যায়। কিন্তু আপনি তো পিকনিকে অনেক ফাঁকি দিলেন কোন কাজই করলেন না শুধু রেডিমেড খাবার খেলেন। মজা করলাম আপু। ছোট বাচ্চা থাকলে আসলেই কোন কাজে হাত দেওয়া যায় না। তারপরও সময়টা অনেক ভালো কেটেছে সবার এটাই ভালো লাগলো।
জ্বী আপু মাঝেমধ্যে এরকম সবাই মিলে একসাথে পিকনিক খেতে বেশ ভালই লাগে। আসলে কোন কাজ করতে পারিনি বাবুর কারণে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর আসলেই আপু খুব মজা করেছি।
সবাই মিলে একসাথে রান্নাবান্না করলে অনেক মজা হয়। আবার খাবারের মেনুতে সব লোভনীয় রেসিপি ছিল। তবে পিকনিকের সময় সাথে ছোট বাচ্চারা সব সময় আগে আগেই খেয়ে নেয়। যাই হোক আপনার কাটানো সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মনি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপনার এই আয়োজন। সত্যি বলতে ফ্যামিলি মেম্বারদের নিয়ে এভাবে ছোট পিকনিক করার মজাই আলাদা। আপনি কতটা আনন্দ করেছেন সেটা আপনার পোষ্টের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জ্বী আপু সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছি, মজা করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য পোষণ করার জন্য।
সত্যি আপু সবাই তো বাসায় একাএকাই রান্না করে খায়।মাঝে মাঝে এভাবে সবাই মিলে খেলে ভালোই লাগে। আসলে আপু সবাই মিলে এভাবে খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম।যাইহোক আপু সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন আর ভালো ভালো খাবার খেয়েছেন, যা দেখে অনেক ভালো লাগল। আর আপু বাচ্চারা একটু দুষ্টুমি করবে স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপু।
সবথেকে বড় কথা হল বাচ্চারা অনেক আনন্দ করেছে এবং তারা খুবই খুশি হয়েছিল এরকম একটা আয়োজন পেয়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনারা দেখি বেশ মজাই করেন আপু। সবাই একত্র থাকলে যা হয়। একদিকে বিয়ের দাওয়াত খেলেন। আবার অন্যদিকে বনভোজন। খালি খাওয়া আর খাওয়া। ভালোই কতগুলো মেনু করেছেন আপনারা। বেশ ভাল ছিল আজকে পোস্ট।
হ্যাঁ আপু ক'দিন খাওয়ার উপরেই আছি। কিছুদিন পর আবার বিয়ের দাওয়াতে যাব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতের দিন আর পরিবারের সবাইকে নিয়ে আয়োজন করে ঘটা করে খাওয়া হবে না সেটা আসলে কি করে হয়। আমরাও গতকালকে পদ্মার চরে গিয়ে সবাই মিলে অনেক মজা করে পিকনিক খেয়েছি।।
সকাল সকাল আপনার পোস্টটি দেখতে পেরে খাবারগুলো দেখে খুব লোভে পড়ে গেছি।।
সবাই মিলে খুব আনন্দ উপভোগ করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।।।
জ্বী ভাইয়া সবাই মিলে খুব উপভোগ করেছি মুহূর্তটা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপু অনেক চমৎকার ভাবে আপনারা সবাই মিলে একটি পিকনিকের আয়োজন করেছেন।আর খাবার গুলো বেশ সুস্বাদু হয়ে হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। আর বাচ্চার কথা বলতেছেন, সে তো বাচ্ছা একটু দুষ্টামি তো করবেই। যাই হোক অনেক ভালো ছিল ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলেই পিকনিকের খাবারের স্বাদগুলো একটু বেশি হয় কারণ অনেক মসলা দেওয়া হয় রান্নায় এবং সবাই মিলে রান্না করা হয় এর কারণে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জি আপু আমি আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর ও গঠনমূলক ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
আমাদের বাসার সবাই মিলে সেইদিন ছাঁদে পিকনিক করেছিলাম।আসলে পিকনিকে বড়দের পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বেশ মজা করে।বাবু মনে এখন বেশি দুষ্টামি করে 😉,তাই না।মেনু বেশ ভালোই ছিলো।সবাই একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
বাবু ভীষণ দুষ্টুমি করে আপু। সব সময় আমাকে দৌড়ের উপর রাখে। আমি ওর দুষ্টুমি কিছুতেই কমাতে পারি না এবং সামলাতে পারি না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।