আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৫ || টক ঝাল লেবুর আচার
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার আচারের রেসিপি তে স্বাগতম। আমি আজ আপনাদের সাথে লেবুর আচার শেয়ার করবো। সেটাও আবার রান্না না করে। কী ভাবছেন🤔 রান্না ছাড়া আবার আচার কিভাবে হয়?
তো চলুন আজকে আপনাদের সাথে রান্না না করে আচার তৈরি করে দেখাবো।
আসলে প্রথমে যখন আচারের প্রতিযোগিতার কথা শুনি তখন খুব একটা মনযোগ দিইনি। কারণ সেভাবে কখনো আচার বানানো হয়নি। সবসময় মা বানিয়ে দিতেন। আমি শুধু খেতাম। তো যাই হোক পরে মাথায় আইডিয়া বের করতে শুরু করলাম যে কি দিয়ে আচারের রেসিপি করা যায়। সবাই তো জলপাই, আম, তেঁতুল ইত্যাদি দিয়ে বানাবে। আমি ব্যতিক্রম কোনো আচার বানাবো। তখনই মনে পড়লো এক আত্মীয়ের বাড়িতে লেবুর আচার খেয়েছিলাম। ওটাই বানাবো। কিন্তু আমি তো জানিনা কিভাবে বানাতে হয়। কোনো সমস্যা নাই আত্মীয়ের ফোন নাম্বার ছিলো ফোন দিয়ে রেসিপিটা জেনে নিলাম। এরপর সব উপকরণ সংগ্রহ করে বানিয়ে ফেললাম মজাদার টক ঝাল লেবুর আচার।
তো চলুন অনেক তো হলো বকবকানি। এবার রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরণসমূহ
★ লেবু
★ কালোজিরে
★ শুকনা মরিচের গুঁড়া
★ ধনিয়ার গুঁড়া
★ বিটলবণ
★ লবণ
প্রস্তুতপ্রনালি
প্রথমে কয়েকটি লেবু ধুয়ে নিয়েছি।
লেবুর গায়ের পানি থাকা যাবে না। তাই টিস্যু দিয়ে লেবুগুলো ভালোভাবে মুছে নিয়েছি।
লেবুগুলো মাঝ বরাবর কেঁটে টুকরো করে নিয়েছি। মাঝের ডোরা ফেলানোর দরকার নেই।
এরপর দিয়েছি বিটলবণ।
দিতে হবে কালোজিরে।
এরপর দিয়েছি শুকনো মরিচের গুঁড়া এবং ধনিয়ার গুঁড়া।
এরপর দিয়ে দিয়েছি লবণ। এখানে লবণ একটু বেশি দিতে হবে।
এরপর একটা চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে লেবুর সাথে গুঁড়া মসলা গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর একটা লেবু কেঁটে লেবুর রস দিয়ে আবারো নাড়তে হবে।
এরপর একটা পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে টেবিলে রেখে দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একবার এসে নেড়েচেড়ে আবারো ঢেকে রেখে দিতে হবে। এটাতে পানি কিংবা তেল দেওযার দরকার নেই। লেবুর যে রস থাকে সেটা দিয়েই লেবুর খোসা নরম হবে।
এরপর আমি সারারাত এটা ঢেকে রেখে দিয়েছি।পরের দিন খাওয়ার জন্য তৈরি মজাদার টক ঝাল লেবুর আচার।
এটা রোদে দেওয়ার কোনো দরকার নেই। আমার এই আচারটা বানাতে দু দিন সময় লেগেলে।এটা খেতেও বেশ মজা। বিশেষ করে গরম খিচুড়ির সাথে। আপনারা এটা কাচের জারে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খেতে পারেন।
তো বন্ধুরা আজ আর নয়। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
রান্না না করে আচার সত্যি খুব ইউনিক আচারের রেসিপি দেখলাম।লেবুর আচার দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আচারের উপস্থাপনাও অনেক সুন্দর ছিল।আপনার প্রতিযোগিতার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাবি।
অনেক ইউনিক একটি আচার। এতকাল নাম শুনেছি,কখনো দেখি নাই।আজ দেখে নিলাম।খুব সহজলভ্য উপাদান দিয়ে জিভে জল আনা একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
রান্না ছাড়া আবার আচার ভাবা যায়, সত্যিই তো ভাবা যায় আজকে নতুন শিখলাম আগে কখনো ভাবিনি যে রান্না ছাড়া আচার হয়। লেবু তো নিত্যদিনের সঙ্গী লেবু ছাড়া আমাদের দিন চলেই না। লেবুর আচার আমার করা খুবই দরকার মেয়ের জন্য ও লেবু ছাড়া ও একদম ভাত খেতে পারেনা।ভাবি আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম কিভাবে বানাতে হবে। সুন্দর লেবুর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।অভিনন্দন ও শুভকামনা নিরন্তর।
আপু আপনার টক ঝাল লেবুর আচারের রেসিপি টি আমার কাছে কিন্তু বেশ ইউনিক লেগেছে । আত্মীয়ের কাছ থেকে ভালোই আনকমন একটি আচারের রেসিপি শিখে নিয়েছেন । আপনি ঠিকই বলেছেন কমিউনিটিতে সকলেই তো তেঁতুল, জলপাই , আম এগুলোর আচার শেয়ার করছে । আপনারটি আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে ।খেতে নিশ্চয়ই বেশ মজার হয়েছে । ধাপগুলো খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন । আমিও একদিন নিশ্চয়ই বানিয়ে দেখব । ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার নানী বানাতো লেবুর আচার তবে এভাবে বানাতেন না । আপনার আচারটি তৈরিতে কম উপকরণ ব্যবহার করে বেশ মজার একটি আচার তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ারের জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। টক ঝাল লেবুর আচার এর আগে কখনো খাইনি। আমার কাছে রেসিপি ইউনিক মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। অবশ্যই বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হ্যাঁ আপু আমি আসলে এটাই ভাবছিলাম যে রান্না ছাড়া কিভাবে আচার তৈরি করা যায়। পরে অবশ্যই পুরো পোস্টটি দেখে বুঝতে পারলাম। আমি কখনো লেবুর আচার তৈরি করিনি। এবং খেয়েও দেখিনি। আপনার কাছ থেকে লেবুর আচারের সম্পূর্ণ রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। আচারের সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি যতক্ষণ দেখছিলাম জাস্ট আমার জিভে জল চলে আসছিল।
আপু আপনি একজন সেরা এবং দক্ষতা রাধুনী সেটা আবারও প্রমাণ করলেন। আসলে রান্না করা ছাড়াও যে এভাবে আচার তৈরি করা যায় তা আজকে প্রথম দেখলাম। সত্যি আপু লেবুর আচার কখনো খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই ভাবে আচার তৈরি করে খেয়ে দেখব। এই প্রতিযোগিতার জন্য লোভনীয় এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
টক ঝাল স্বাদের লেবুর আচার রেসিপি দেখে আমার অনেক খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। আসল লেবুর আচার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম।
বছরখানেক আগে লেবু দিয়ে রান্না ছাড়া এভাবে আমি আচার তৈরি করেছিলাম। তবে আপনি আচারে সরিষার তেল ব্যবহার করেননি। আর আমি আচারগুলো সরিষার তেলে ডুবিয়ে রেখেছিলাম। তবে আচারটি গরম গরম ভাতের সাথে বা খিচুড়ির সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। তেল ছাড়া আচার ।রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।