বাবুর জন্য দেশি মুরগির মাংস ভুনা || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আমি এর আগে দেশি মুরগির অনেক প্রকার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।আজ যে রেসিপি শেয়ার করবো সেটা আমি বাবুর জন্য রান্না করেছি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। বাবু এখন একটু ভাত খায় তাই আমি ওকে একেক দিন একেক তরকারি দেই। সবজিটাই বেশি দেই। দু চারদিন পর দেশি মুরগির মাংস দেই। আমার মায়ের খামারের মুরগি। বাবু খায় জন্য আমার মা তার নাতির জন্য বেশ কয়েকটি মুরগি পাঠিয়েছেন। তো যাই হোক মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ
★ দেশি মুরগির মাংস
★ পেঁয়াজ কুচি
★ আদা-রসুন বাটা
★ জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া
★ শুকনা মরিচের গুঁড়া
★ ভাজা জিরার গুঁড়া
★ হলুদ গুঁড়া
★ লবণ
★ তেল
প্রস্তুতপ্রনালি
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করে গরম মসলা দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং ফালি করে কাঁটা দুটা কাঁচামরিচ দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে আমি আগে থেকে মাংসগুলো আমি বাটা মসলা এবং গুঁড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছিলাম সেগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর মাংসগুলো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নেওয়ার পর আমি সামান্য পানি দিয়ে মাংস টাকে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মাংস কষানো হয়ে গেলে আমি রান্নার জন্য পানি দিয়ে রান্না করে নিয়েছি। তারপর আমি ভাজা জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করেছি। আমি তরকারিটি একদম শুকনো শুকনো করেছি কারণ আমি এর সঙ্গে পাতলা ডাল রান্না করেছিলাম। আর জন্য আমি মাংসের আলাদা ঝোল রাখিনি।
বন্ধুর আজকে এই পর্যন্তই। রেসিপিটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী পর্বে এই রেসিপির ভিডিও আসবে সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে
বাবুর জন্য রান্না করেছেন, দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আপনি বাচ্চাকে একেক দিন একেক খাবার দেন জেনে ভালো লাগল। বেশি সবজি দেন এটা বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। এখন থেকে সবজি না খেলে আর পরবর্তীতে খাবে না।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পুষ্টিকর খাবার দেয়া উচিত। এক একদিন এক একটা খাবার দিলে বাচ্চাদের মুখের স্বাদ নষ্ট হবে না। এটা আপনার কাছ থেকে জেনে নিলাম। আপনার মায়ের মুরগির খামার আছে। তাহলে তো কথাই নেই টাটকা টাটকা মুরগি খামার থেকে নিয়ে এসে খাবেন। আপনার মুরগির মাংসটি রান্না দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গতকাল শুভ ভাইয়ের সাথে আপনার বাবুর ছবি দেখতে পেয়েছি অনেক বড় হয়ে গেছে। দোয়া করি সব সময় সুস্থ থাকুক সেই প্রত্যাশাই করি ।তার এখন থেকেই খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এত সুন্দর করে দেশি মুরগির মাংস রান্না করেছেন আপু সত্যিই জিহ্বায় জল চলে আসলো। ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ তাহলে ভালোই নিচ্ছে আপনার বাবু।
আপু আপনার বাবুর জন্য খুবই মজা করে মনে হচ্ছে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে মাংস রান্না করলে বাচ্চাদের কাছে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দেশি মুরগির যদি খামার থাকে তাহলে অনেক সুবিধা হয়।আপনার আম্মু নাতির জন্যে অনেক ভালো কাজ করেছেন।বইলার মুরগি গুলো না খাওয়ালে অনেক ভালো বাচ্চাদেরকে।বাবু কি ঝাল খেতে পারে আপু? আপনি লাল মরিচের গুঁড়া এড করেছেন তাই বললাম।আপনার রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে।তবে কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতে পারি, সেটা হচ্ছে যে বাচ্চাদেরকে ঝোল দিয়ে খাওয়ানো অভ্যাস করালে অনেক ভালো।এখন থেকে যদি এভাবে শুকনা শুকনা খাওয়াতে থাকেন তাহলে সে অভ্যাস থেকে যাবে আপু।আপনার রেসিপির ধাপ গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর ওর জন্য আমি ঝোল রাখি। আসলে মাংসের সাথে মসুরের ডাল রান্না করেছিলাম তাই আলাদা ঝোল রাখিনি।
বাবুর জন্য দেশি মুরগি ভুনা দেখে তো আমার জিভে জল আটকানো যাচ্ছে না। রান্নার উপকরণগুলো ছিল দারুন। তবে বাচ্চাদের বেড়ে উঠার সাথে সাথে শাকসবজি মাছ মাংস সব কিছুই রুটিং মতো দেওয়া উচিত। আর আমার মনে হয় আপনিও শায়ন বাবুর জন্য রুটিনটা সেভাবেই ঠিক করে নিয়েছে। দারুন ছিল রেসিপিটি, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার রান্না বরাবরই খুব ভালো হয় সেটা সকলেই জানে। শায়ান বাবুর জন্য যখন দেশি মুরগি রান্না করবেন তখন অল্প মসলা দিয়ে কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে পাতলা ঝোল রান্না করে দিবেন, সেটা ওর শরীরের জন্য উপকারী হবে। সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
বাচ্চাদের সুস্থ সবল রাখতে হলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।।
দেশি মুরগির মাংস প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে খুব মজা হবে ।আসলে এ ধরনের রেসিপি পছন্দ করেনা এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।।
প্রস্তুত প্রণালীর সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল সুস্থ থাক ভালো থাক।।
ছোট বাচ্চাদের কাছে নরম মাংস বেশি পছন্দ। আমারও মুরগির মাংসের রেসিপি অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া আপনার শেয়ার করার মুরগির মাংসের রেসিপিটি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। এক একটা মুরগির মাংসের পিস দেখে জিহ্বায় জল চলে আসছে। এমন লোভনীয় মুরগির মাংসের রেসিপি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।