গ্রামের বাড়িতে মিলাদের আয়োজন
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে গিয়েছিলাম শশুড় বাড়িতে। সেখানকার কিছু মহূর্ত আজকে শেয়ার করবো।আজ আমার ছোট শাশুড়ীর মৃত্যু বার্ষিকী ছিলো।তার জন্য গ্রামের বাড়িতে ছোট একটা মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো সবকিছু তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে বেড়িয়ে পড়ি। সেখানে গিয়ে দেখি রান্নার আয়োজন চলছে।অনেক লোকের আয়োজন।রান্নার আইটেম ছিলো মাংস দিয়ে বুটের ডাল,মাংস এবং পোলাও।
মাংস দিয়ে এই পোলাও টা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।যাইহোক রান্না বান্নার কাজ যেহেতু পুরুষ মানুষরা দেখাশোনা করছে তাই আমাদের কোনো কাজ ছিলো ছিলো না।আমাদের গ্রামের বাড়ির আশেপাশে প্রত্যেকটা জায়গা অনেক সুন্দর। যেহেতু কোনো কাজ ছিলো না তাই একটু বের হলাম ঘুরতে। এরপর ঘোরাফেরা সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
এরপর নামাজের সময় হলে রান্না সম্পন্ন হয়ে গেলে সবাই নামাজে চলে যায়। এদিকে মহিলারা মিলে বাসা পরিষ্কার করে ফেলি সবাই।গ্রামের পুরুষদের মসজিদে খাওয়ানো হয়।আর আমরা বাড়ির সবাই মিলে গ্রামের মহিলাদের খাবার খাওয়াই।এরমধ্যে আমার দাদা শশুড়ের ক্ষুদা লেগে যায় তাই দাদুকে খাবার দেই।এরকম বয়স্ক মানুষকে বসে থেকে খাওয়াতে আমার খুবই ভালো লাগে।
যাইহোক এরপর খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলে আমরা খেয়ে বাসায় চলে আসি। আসার সময় নদী পাড় হয়ে আসতে হয়। গোধূলি লগ্নে নদীর পাড়ের পরিবেশ যে কি ভালো লাগছিলো তা বলে বোঝানো যাবে না।সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান বেশ ভালো ভাবেই মিটে গেছে।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
মৃত্যুবার্ষিকের সময় যদি মিলাদ দোয়া করা হয় তাহলে অনেক ভালো হয়। গ্রামে আপনাদের বাড়িতে মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে মাংস দিয়ে বুটের ডাল ও মাংস এবং পোলাও বানিয়েছে। মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে সবাই মোটামুটি খুব সুন্দর করে খাওয়ার খেলো। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেক বছরে এই অনুষ্ঠানটা করা হয় আপু। এবং গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষকে খাওয়ানো হয়। আর বাসায় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রান্না গুলো হয়েছিল সেগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার ছোট শাশুড়ির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদের আয়োজন করেছিলেন এবং মানুষদেরকে খাওয়ালেন। বয়স্ক এবং গরিব দুঃখী মানুষদেরকে খাওয়ালে অনেক পুন্য পাওয়া যায়। আসলে এই কাজগুলো পুরুষেরাই করে থাকে তাই বাড়ির মহিলাদের ওই দিনে তেমন কোন কাজ থাকে না।
বাড়ির কয়েকজন বয়স্ক মহিলারা শুধুমাত্র মসলাগুলো তৈরি করে দিয়েছিল আগের দিন। আর পরের দিনের সব কাজ পুরুষরাই করেছিলেন। তাই আমাদের কোন কাজ ছিল না। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের ও পরিবারে মৃত ব্যাক্তির মৃত্যু দিবস পালিত হয়।আমারা মৃত্যু বার্ষিক বলে থাকি।আর এই মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের নাম নাম যজ্ঞ হয়ে থাকে এবং নিরামিষ খাবারের আয়োজন করে থাকে।আর এই রান্না গুলো অসম্ভব রকমের সুস্বাদু হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনার ছোট মায়ের বিলাদের পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
মিলাদ বাড়ীর বা অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয় কারণ তারা বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
এর আগে শুভ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছি ।সেই মিলাদের মুহূর্তের কিছু দৃশ্য আপনিও শেয়ার করলেন। প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে রেখে যাবে শুধু স্মৃতি । তার জন্য দোয়া করি যেন জান্নাতুল ফেরদাউস দান করে আল্লাহ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে গ্রামের বাড়িতে মিলাদ অনুষ্ঠানগুলো করতে ভালোই লাগে। মিলাদের মাধ্যমে সবাইকে বেশ ভালোভাবে খাওয়াতে পারলে নিজের কাছেও তৃপ্তি লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর ভাবে মিলাদ অনুষ্ঠান টি করেছেন। আর আমার কাছে কোন অনুষ্ঠানের বা মিলাদের খাবারগুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ মিলাদের আয়োজন এর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের বাড়িতে যে কোন অনুষ্ঠানে খুব ভালো লাগে কেননা গ্রামের সবাই একসাথে হতে পারি।আমারও এই মিলাদের খাবার গুলো খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
শুভ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম, আপনারা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদে অংশগ্রহণ করতে। পুরুষদের মসজিদে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করাতে খুব ভালো হয়েছে। এতে করে ঝামেলা অনেকটা কমে গিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া নামাজের আগে সব খাবারগুলো নিয়ে গিয়ে মসজিদে রেখে এবং নামাজ শেষ হয়ে গেলে ওখানেই পুরুষদেরকে খাওয়ানো হয়েছে। এতে করে বাসায় খুব একটা ঝামেলা হয়নি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আপনারা গ্রামের বাড়িতে গেলেন। আসলে মৃত্যুবার্ষিক গুলোর মধ্যে যদি মিলাদ শরীফ এবং কিছু মানুষকে খাওয়ানো হয় তাহলে ভালো হয়। তবে একটি জিনিস খুব ভালো লাগলো মসজিদে খাওয়া-দাওয়া করালেন। আগে একসময় এই ধরনের অনুষ্ঠানের সাদা ভাত ডাল এবং মাংস সবজি করা হতো। আর এখন যে কোন অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি এবং অন্যান্য আইটেম করে। যাহোক গ্রামে গেলেন আপনাদের দিনগুলো যেন সুন্দর কাটে এই কামনা করি।
গ্রামে গেলে গ্রামের সৌন্দর্য এমনি ভালো লাগে। আর তারপর যদি এমন মিলাদ শরীফ থাকে আর কিছু মানুষকে খাওয়ানো যায় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। এ অনুষ্ঠানটা প্রত্যেক বছরই করা হয় আর ওখানে গেলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মিলাদের এই খাবারটা আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। এই খাবারটা কেন যেন অন্যান্য খাবারের থেকে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। তাছাড়া অনেকদিন পর এভাবে নিচে বসে লোকজনকে খেতে দেখলাম। এখন তো সচারচর এরকম দেখাই যায় না। বয়স্ক মানুষ বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে ক্ষুধা তো লাগবেই। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন বয়স্ক মানুষকে খাওয়াতেও ভালোই লাগে। শেষ বিকেলে আপনারা আবার ঘুরতে বের হয়েছেন দেখছি। ভালো লাগলো দেখে।
আমি যতবারই আমার শ্বশুরের গ্রামের বাড়িতে যাই তখনই আমার দাদা শশুর আমার হাতে খেতে চাইবেন। এবং আমি নিজেও তাকে সামনে বসে থেকে খাওয়ায়। কেন জানি আলাদা একটা তৃপ্তি পাই মনে। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মিলাদের অনুষ্ঠানটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। মিলাদে এভাবে অনেক লোকজনদের খাওয়াতে পারলে মনের ভিতরে শান্তি লাগে । কিছুদিন আগে আমরাও এতিমখানার বাচ্চাদের খাওয়া এ এসেছি আমার শ্বশুরের মৃত্যুবার্ষিক ছিল। কাজ ছিল না বিধায় একটু ঘুরতে বের হয়েছেন এবং কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। আপনাকে ও ভাইয়া কে খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।