পারিপার্শ্বিক অবস্থা দিন দিন ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। মানুষ খারাপ হয় দুইভাবে কেউ স্বভাবে কেউবা অভাবে।সন্ধ্যাবেলায় রান্নাবান্না শেষ করে রাত ৮ঃ০০ টায় আমি আমার ছোট বোন এবং আমার ছোট জা মিলে লুডু খেলছিলাম বসে। বেশ কিছুদিন ধরেই লুডু খেলার বেশ নেশা হয়েছে।আর সবাই মিলে সময় কাটাতেও ভালো লাগে। যাইহোক লুডু খেলছিলাম এরমধ্যে বাহিরে কিছু মহিলাদের গলার আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো তারা গল্প করছেন কিন্তু কিছুক্ষণ পর লোকজনের ভিড় আরো বেড়ে যায়।
একপর্যায়ে দরজা খুলে বাইরের দিকে তাকাতে দেখলাম অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে। তোর দাদা থেকে শুনতে পেলাম যে চোর ধরা পরেছে। তো এক পা দু পা করে এগিয়ে গেলাম গিয়ে বিস্তারিত শুনলাম। লোকটি দুপুর বেলা এক সিএনজি থেকে ব্যাটারি চুরি করেছে। এরপর সিএনজিওয়ালা ভাই আশেপাশের দোকানদারকে বলে রেখেছে যে কেউ ব্যাটারি বিক্রি করতে আসলে যেন তাকে জানানো হয়। যাইহোক যে লোকটি চুরি করেছেন উনি আমাদের এই গলিতে কোন একটা বাসার কোনায় লুকিয়ে রেখেছিলেন সারাদিন ব্যাটারিটা।
দুর্ঘটনাবশত সে যে লোকের ব্যাটারি চুরি হয়েছে তার বাসার পাশেই ছিল যেখানে উনি ব্যাটারিটা লুকিয়ে ছিলেন। এরপর সন্ধ্যা বেলায় লোকটি যখন ব্যাটারি নিয়ে বিক্রি করতে যায় তখন সিএনজি চালকের স্ত্রী চোরকে দেখতে পায়।তখনই উনি চিৎকার শুরু করে এবং চোর দৌড়ে গিয়ে দ্রুত একটি দোকানে ব্যাটারি বিক্রি করার চেষ্টা করে। ব্যাটারি বিক্রি করে যখনই টাকা নিবেন তখনই সবাই তাকে ধরে ফেলে।এরপর দু-একজন তাকে দুই চার ঘা মারপিট শুরু করে দেয়।তবে সিএনজি চালক বেশ ভালো লোক ছিলেন। উনি দ্রুত সেখানে এসে চোরকে তাদের কাছ থেকে রক্ষা করেন।
এরপর বুঝিয়ে সুজিয়ে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে বিদায় করে দেন। উনার কথা "আমি যেহেতু ব্যাটারি পেয়েছি থাক আর কিছু করার দরকার নেই।যারা প্রকৃতি চুরি করে বা চুরি করা স্বভাব তাদেরকে দেখলেও বোঝা যায় কিন্তু লোকটাকে দেখে খুব মায়া লাগছিল। আসলে আশেপাশে যে দ্রব্যমূল্যের দাম এতে করে হয়তো বাধ্য হয়েছে চুরি করতে। তবে চুরি করা মোটেই ভাল নয়। কাজ করতে পারতো কাজ করে উপার্জন করতে পারতো। যাইহোক এরপর যে যার বাড়ির দিকে চলে যায় আমরাও বাসার ভেতরে ঢুকে যাই।
তবে যদি লোকটি স্বভাবে চুরি করে তাহলে কখনোই তার এই চুরি করা বন্ধ হবে না
আর যদি অভাবে করে তাহলে হয়তো চেষ্টা করবে পরবর্তীতে কাজ করে উপার্জন করতে। আমাদের প্রথমে কারো উপরে চড়াও হওয়া উচিত নয়। তার সব দিক বিবেচনা করে বিচার করা উচিত।যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে।
একদম ঠিকই বলেছেন কেউ অভাবে চুরি করে আবার কারো স্বভাবই থাকে চুরি করা। দ্রব্যমূল্যে যেভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেকে নিরুপায় হয়ে অভাবে চুরি করতে যায়। যাই হোক লোকটা তার ব্যাটারি পেয়ে চোরকে বেশি মারধর না করে ছেড়ে দিয়েছে বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদি অভাবের চুরি করে থাকে তাহলে তার পিছনে হয়তো কোন একটা কারণ রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সিএনজি চালকের ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তবে লোকটি যদি ভালো হয়ে থাকে এরপর আর কখনো চুরি করবে না। আর যদি স্বভাবে চুরি করে তাহলে কখনোই তাকে থামানো যাবে না।
চুরি করার বিষয়টা বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যাচ্ছে। ছোটখাটো জিনিস ও মানুষ এখন চুরি করে। তবে অনেক মানুষ রয়েছে নিজেদের ইচ্ছা ছাড়াই চুরি করছে। হয়তো এই চুরি করা ছাড়া তাদের কোন কিছু করার নেই। সিএনজি ড্রাইভারের সিএনজির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল ওই লোকটা, তবে ধরা পড়ে গিয়েছে এটাই ভালো ব্যাপার।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া হয়তো অনেক মানুষ তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে চুরি করতে বাধ্য হয়। জ্বি ভাইয়া অবশেষে সিএনসি চালক তার ব্যাটারি ফিরে পেয়েছে।
আসলে আমরা কারো কোন ব্যাপার দেখলে তা নিয়ে অনেক বেশি মাথা খামাই এবং হয়তো চোর অথবা এরকম কাউকে দেখলে আমরা তাকে মারার জন্য চলে আসি। মানুষের সবদিক ভালোভাবে বিবেচনা করার পরে যে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। হয়তো কোন একটা কারণ ছিল লোকটার চুরি করার পেছনে। না হলে এটা যদি তার স্বভাবগত হয় তাহলে কিছুই করার নেই।
বাঙালিরা তো এমনই আপু কিছু না দেখে শুনে অন্যের উপর চড়াও হয়। তবে এখানে সিএনজি চালকটি খুবই ভালো মনের পরিচয় দিয়েছেন। যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আসলেই বর্তমান সময়ে দ্রব্য ও সামগ্রীর এত বেশি দাম আর এই দামের সময়ে যারা শহরে বসবাস করছে অনেকের হয়তোবা থাকার জায়গাটা নেই। যার কারণেই মানুষ অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় তার মধ্যে চুরি একটি। লোকটা যদি অভাবের তাড়নায় চুরি করে তাহলে হয়তো বা শুধরে যাবে কিন্তু যদি এটা তার স্বভাব হয় তাহলে খুবই সমস্যা। লুডু খেলতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তে লুডু খেলা সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম এত বেশি যে অনেকে হয়তো কাজ না পেয়ে চুরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আমি মনে করি আসলে অভাবে স্বভাব নষ্ট। আবার অনেক জন আছে আসলে স্বভাবে নষ্ট। আমাদের গ্রামের পাশে একটা বাড়ি আছে। দেখবেন যে আগে আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু তারা অনেক জিনিস চুরি করতো মানুষের ঘর থেকে কিংবা গাছের ফল থেকে শুরু করে সবকিছু। কিন্তু এখন তো তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে গেছে। তারপরও তাদের সে স্বভাবটা যায় না গাছের সুপারি একটও রাখেনা আপু। আপনি তো বলছেন লোকটার চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে আসলে লোকটি ভালো। এটাও হতে পারে আসলে অভাবের কারণে এমন হতে পারে। তবে সিএনজির লোকটা খুবই ভালো বুঝা যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
উনি আসলে প্রথমে অভাবে চুরি করতেন তারপর যখন অভাব কেটে গেছে তখন আবার স্বভাবটা থেকে গিয়েছে। তাই হয়তো এখনো চুরি করা বন্ধ হয়নি। চেহারা দেখে তো বেশ অভাবী মনে হলো। এখন ভিতরে যে কি সেটা তো বলতে পারব না। তবে সিএনজি চালক খুবই ভালো লোক ছিলেন।
সিএনজি ড্রাইভার আসলেই খুব ভালো মনের মানুষ। সেজন্য চোরকে শাস্তি না দিয়ে, উল্টো কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিলো। এমন মানুষ বর্তমানে খুব কম রয়েছে। হয়তোবা অভাবে পড়ে লোকটা ব্যাটারি চুরি করেছিল। যদিও এই ধরনের কাজ সাপোর্ট করা উচিত নয়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।