অসুস্থ শরীর নিয়ে বাজার করলাম || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
গত পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমি অসুস্থ বেশ ভালই অসুস্থ। তারপরও আমাকে অসুস্থ শরির নিয়ে অনেক কাজই করতে হলো। সেগুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আসলে আমরা যারা গৃহিণীরা যারা আছি তারা যতই অসুস্থ হই না কেন সংসারের সবগুলো কাজ সময়মতো একই নিয়মে করে যেতে হয়। যদিও মা এসেছেন তারপরও কিছু কিছু কাজ নিজের করতে হয়।
যেহেতু গতকাল মা আসতে একটু দুপুরবেলা দেরি করেছিলেন তাই আমি সকালে অসুস্থ শরীর নিয়ে যা পেরেছিলাম তাই রান্না করেছিলাম। তো আপনাদের ভাইয়া দুপুরবেলা খেতে বসে বেশ অনেকটা রাগ দেখালো আমাকে। এ ব্যাপারে তার কোন দোষ দিব না আমি। কেননা সে যাতা খাবার খেতে পারে না এটা আমি জানি। আসলে ফ্রিজে বড় মাছ শেষ হয়ে গেছে এটা আমি ওনাকে জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমার বিয়ের পর থেকে বাজারটা আমার নিজের হাতেই করতে হয় কারণ ওনাকে বাজার পাঠালে অনেক এলোমেলো কাজ করে আসে যার কারণে আমি উনাকে বাজারে পাঠায় না।
যাইহোক দুজনের মধ্যে অনেক কথা কাটাকাটি হলো অবশেষে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে চুপ করে বসে থাকলো। তারপর আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে মাকে সাথে নিয়ে বাজারে ছুটলাম বাজার করতে। আমি প্রথমে মাছের বাজারে গিয়েছিলাম সেখান কয়েক ধরনের মাছ কিনেছিলাম। রুই মাছ, চিংড়ি মাছ, টেংরা মাছ, পাবদা মাছ। যেহেতু আমি মাছের বাজারটা পুরো মাসের করে নেই তো ভাবলাম মা এসেছে তাই মাসের বাজারটা করে ফেলি। এ মাসের আর কয়েক দিন বাকি তাই এই মাছগুলো হলে আমার পরের মাস চলে যাবে। এরপর আমি কাঁচাবাজারের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সবজি কিনে বাড়ি চলে আমি।
অসুস্থ শরীর নিয়ে বেশ ভালোই কষ্ট হয়েছে বাজার করতে। আসলে করার কিছু নেই এটা আমার প্রত্যেক মাসেরই কাজ বা বাজার করাটা আমায় নিজেরই কাজ বলতে পারেন। কারণ তাকে যদি আমি বাজারে পাঠায় তাহলে সে যাতা জিনিস কিনে নিয়ে আসে। যেগুলো আমার একদম পছন্দ হয় না। আর অনেক বেশি টাকা দিয়ে সেগুলো কিনে আনে। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজে গিয়ে ভালো জিনিস বেছে নিয়ে আসার।
যাইহোক বাজার শেষে এসে মা মাছগুলো ধুতে বসে গিয়েছিল এবং আমি আস্তে আস্তে বসে বাজারগুলো গোছাচ্ছিলাম। আসলে বাজার করার থেকে বাজার গোছানো বড় কষ্টের কাজ। কি আর করার আর সবকিছু এলোমেলো করে রাখলে বাবু আবার সব নষ্ট করে দেবে। এজন্য তাড়াতাড়ি সবগুলো ফ্রিজে তুলে রাখছিলাম।
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সত্যিই আপু শরীর অসুস্থ হলেও কাজের কোন ছুটি নেই। অসুস্থ শরীর নিয়েও নিজের কাজগুলো ঠিকই করতে হয়। মাঝে মাঝে অসুস্থ শরীর নিয়েও রান্না করতে হয়। সেই রান্না গুলো খেতে আসলেই খুব একটা ভালো হয় না। তবে কি আর করার একা থাকলে নিজেকেই সবকিছু সামলাতে হয়। যাই হোক আপনার মা চলে এসেছে তাই দুজন আশা করছি সব কাজ গুছিয়ে নিয়েছেন। আর বাজার করার দক্ষতা সবার মধ্যে থাকে না। আপনি নিজের পছন্দের বাজারগুলো করেছেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও আপনি অসুস্থ তবুও কষ্ট করে বাজার করেছেন। অবশেষে আপনার মা আপনাকে সাহায্য করেছে সবকিছু গুছিয়ে রাখতে জেনে ভালো লাগলো। আসলে কোন কিছু বাজার করা যতটা কঠিন তার চেয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখা আরো বেশি ঝামেলার কাজ।
জ্বি আপু আমরা মেয়েরা যত অসুস্থই হইনা কেনো রান্না করে খেতেই হবে। আর বাজার করতে আমার খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু প্রথমে আপনার জন্য অনেক অনেক সুস্থতা কামনা করছি। আমার শাশুড়ি কখনো আমার শশুরকে বাজার করতে দেয় না। কারণ আমার শ্বশুর নাকি বাজার করতে পারে না। একেবারে আপনার মতো উনি নিজে গিয়ে পছন্দমত সবকিছু কিনে আনে। তারপরে অসুস্থ শরীরে বাজারে গিয়েছেন শুনে একটু খারাপ লাগলো, ভাইয়াকে বলতেন অন্তত একবার বাজার করে নিয়ে আসতো।
কি আর করব আপু সে তো বাজারে যাওয়ার সময় পায়না। আর গেলেও ভালো জিনিস কিনে আনে না। আর আমরা মেয়েরা একটু খুঁতখুঁতে টাইপের হই। তাই সব নিজে হাতেই করলাম অসুস্থ শরীর নিয়েও। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি এই কামনা করছি।
আমি আবার একটু গুছিয়ে বাজার করার চেষ্টা করি, কারন উপার্জন সীমিত তাই দেখে বাজার করতে না পারলে বিপদ হয়ে যায়। সংসারে মাঝে মাঝে কথা কাটাকাটি আমাদের হয় তবে খাবার নিয়ে নয়। আমি আবার সব ধরনের খাবার খেতে পারি। যাক সুস্থ হয়ে উঠুন আর সবাই মিলে ভালো থাকুন এই কামনা করছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত পোষন করার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার সুস্থতা কামনা করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। প্রত্যেকটা পরিবারের গৃহিণী অসুস্থ থাকুক না কেন নিজের কাজগুলো নিজেকেই করতে হয়। যেটা আপনার ক্ষেত্রে অনেকটা কষ্ট দিয়েছে তবুও চেষ্টা করেছেন ঠান্ডা করতে। ভাইয়া কিছুটা রেগে গিয়েছিল যাই হোক এটা হয়েই থাকে। এক মাসের পুরো বাজার করেছেন এই অসুস্থ শরীর নিয়ে সত্যি এটা কষ্টদায়ক ছিল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
অসুস্থ শরীর নিয়ে মাছ বাজারে গিয়েছেন সত্যি অনেক কষ্ট হয়েছে আপনার। বেশ ভালই বাজার করেছেন মনে হচ্ছে। আসলে নিজ হাতে কোন কাজ করলে সেই কাজের আনন্দ অনেক বেশি ।যেহেতু আপনি সবসময় বাজার করেন এজন্য আপনারা অন্যের বাজারে পছন্দ হয় না ।আর আপনি একটা কথা ঠিকই বলেছেন বাজার গোছানোটা আমার কাছেও খুবই ঝামেলার মনে হয় যদিও আমি বাজার করিনা।যাই হোক আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন সেই প্রার্থনা করছি ।ধন্যবাদ।
জ্বি আপু বাজার করার থেকে গোছানো বেশি কষ্ট আমার কাছে মনে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে বলবো আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হোন এই কামনা ঈশ্বরের নিকট ৷ যা হোক আজকে ভাই এর সাথে কথা কাটাকাটি রাগ হয়েছে শুনে খারাপ লাগলো ৷ আপনি তারপরেও এই অসুস্থ শরীর নিয়ে বাজার করতে গিয়েছেন ৷ পুরো মাসের যাবতীয় খরচ দেখে তো অবাক হলাম ৷ অনেক খরচ করেছেন ৷ যা হোক ভাইয়ের সাথে বেশি কথা কাটাকাটি করিয়েন না ৷
ধন্যবাদ
মাছ মাংস পুরো মাসের জন্য কিনি কিন্তু কাঁচাবাজার প্রত্যেক সপ্তাহে করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি মনে করি যারা গৃহিণীরা আছেন তাদের কাজের দায়িত্ব বেশি বাজার করা থেকে পরিবার সামলানো অনেক কষ্টের ব্যাপার।আপনি অসুস্থ শরীর নিয়ে বেশ কষ্ট করে বাজার করেছেন।তবে কষ্ট হলেও কিছু কিছু কাজ নিজের দায়িত্বে করতে হয় যেগুলো করতে কষ্ট হলেও।বেশ ভালো লেগেছে আপু আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তাই।
জ্বি আপু কিছু কিছু কাজ নিজে করা ভালো তাতে যত কষ্টই হোক কেনো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই তো আমার,বাজারে গেলে এলোমেলো করবেনা!!?🤣।
সুস্থ হয়ে যাবেন খুব তাড়াতাড়ি,ভালোবাসা অবিরাম।
সেইতো আগের হালের গরু যে দিকে যায় পড়ের গুলা তো সেই দিকেই যাবে। শুভ কামনা রইলো আগামি বিবাহিত দিন আশার জন্য।
আমি যদি আমার ভাইকে ফলো করি তাহলে সে হিসাবে আমার বৌ আপনাকে ফলো করবে,প্যারা নাই চিল।
প্রথমে বলব আল্লাহ তা'আলা যেন আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেই। তাহলে ভাইয়া যে সেইভাবে রান্না খেতে পারে না। আপনি অনেক অসুস্থ শরীরে বাজারে গেলেন এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ ও সবজি কিনলেন। অনেক পুরুষ আছে যারা বাজার করতে গেলে এলোমেলো বাজার করে নিয়ে আসে। এবং বেশি দাম দিয়ে নিয়ে আসে। শুনে খুব ভালো লাগলো আপনি নিজ হাতে বাজার করেন এবং নিজের পছন্দের জিনিসগুলো কিনতে পারেন। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু আপনার ভাইয়াও তাই একটা কিনবে তো দুটা ভুলে যাবে তাও আবার দেখবেন বেশি দামে কিনেছে।তাই নিজে হাতে করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপু।