ভারাক্রান্ত মন ||@shy-fox 10% beneficiary
এক মাস আগেও যখন ক্লিনিকে ছিলাম, যখন আমার সিজার হয়েছিল এবং বাবু হয়েছিল সেই সময় আমার নানী শাশুড়ী আমাকে দেখতে এসেছিল এবং এটাই আমাদের শেষ দেখা ছিল কিন্তু তারপর আর কখনো দেখা হয়নি। আমি কখনও কল্পনাও করিনি হুট করে ঘটনাগুলো এভাবে ঘটে যাবে এবং একটা বিষাদ আমার মনে আঘাত হানবে।
যখন আগে বাসায় থাকতাম, তখন মাঝে মাঝেই আমার নানী শাশুড়ী আমাদের বাসায় বেড়াতে আসত এবং তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল কিছুটা বান্ধবীর মতো এবং সে আমাকে প্রচুর ভালোবাসতো। সে আমাকে গল্প করতো, আমার স্বামীর সম্পর্কে। কারণ আমার স্বামী তার কাছেই ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছে এবং আমার স্বামীকে সেই লালন পালন করেছে ছোটবেলা থেকে। কারন আমার স্বামীর মা চাকুরীজীবী ছিল,এজন্য আমার স্বামীর মা আমার স্বামীকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারেনি। তাই আমার স্বামীকে পুরো সময়টা দিয়েছে আমার নানী শ্বাশুড়ি।
যেদিন আমার বাবু হলো সেদিন ক্লিনিকে আমার নানি শ্বাশুড়ি এসেছিল এবং টানা দুইদিন আমার সঙ্গে ছিল এবং মূলত আমার সঙ্গে রাত্রিকালীন সময়ে ক্লিনিকে থাকা অবস্থাতেও সে অনেক গল্পগুজব করেছে এবং মোটামুটি আমাকে সর্বপ্রকার ভাবে সহযোগিতা করেছে।আমার বাবু হওয়াতে সে ভীষণ খুশি হয়েছিল। মূলত আমার সংসার জীবন হচ্ছে সাড়ে তিন বছরের মতো এবং আমার সংসার জীবনের শুরু থেকেই আমার নানি শাশুড়ির সাপোর্ট আমি প্রথম থেকেই পেয়েছি।
আমার নানি শ্বাশুড়ীর বাড়ীতে আমার এক বারের মতো যাওয়া হয়েছিল। তবে যে বার আমি গিয়েছিলাম, তার অতিথিয়তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।মোটামুটি ক্লিনিক থেকে চলে আসার পরে তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি। তবে তার সঙ্গে আমার মাঝে মাঝেই ফোনে কথা হতো এবং সে আমার এবং বাবুর খোঁজ নিত। যাইহোক গত কয়েকদিন আগেও, সে আমার কাছে ফোন করেছিল।
গতকাল সকাল বেলার দিকে যখন শুনলাম, আমার নানী শ্বাশুড়ী আর বেঁচে নেই তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। কারণ আমার চোখের সামনে তার স্মৃতি গুলো বার বার ভেসে উঠছিল। আমি কোনভাবেই নিজেকে সইতে পারিনি। আমার ইচ্ছা ছিল তাকে শেষবারের মতো একবার দেখবো কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমি সেখানে যেতে পারিনি। শেষ দেখা দেখতে পারলাম না, এটা খুব আপেক্ষ থেকে গেল ।
আমি অনেক সৌভাগ্যবান ছিলাম যে, আমার জীবনে এই রকম নানী শ্বাশুড়ি ছিল। যাইহোক আমি নিজের মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছি এইটা ভেবে কারণ সে আমার অন্তরের অন্তস্থলে আজীবন জীবিত থাকবে।
প্রথমে পড়ে খুবই ভালো লাগলো কিন্তু লাস্ট মুহূর্ত আপনাকে খুবই ভালবাসত আপনার নানী শ্বাশুড়ি। আপনাকে একদম বান্ধবীর মতো দেখত কথা বলত খুবই ভালো লাগলো কিন্তু হঠাৎ মারা গেছে। আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতবাসি করুক। বেহেস্তে দান করুক। খুবই ভালো মানুষ ছিলেন আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এবং খুবই খারাপ লাগলো আপনি তাকে দেখতে যেতে পারেননি আক্ষেপ থেকে গেল। দোয়া করেন আল্লাহ তালা যেন তাকে জান্নাতবাসি করুক।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শুভ ভাইও এই বিষয় নিয়ে লিখেছেন।শুভ ভাইয়ের নানী ভীষণ ভালে মানুষ ছিলেন।আপনাকেও আপন করে নিয়েছেন। এই জন্য বোধহয় আপনাদের শোক কাটিয়ে উঠতে কষ্ট হচ্ছে। তবে দোয়া করি যাতে পরকালে ভালো থাকেন উনি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বয়স্ক প্রিয়জনদেরকে হারালে সত্যিই খুব কষ্ট লাগে। আপনার জন্য সমবেদনা রইল।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।