টেংরা মাছের চচ্চড়ি || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আবারও আপনাদের সামনে রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যে রেসিপিটি নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে টেংরা মাছের চচ্চড়ি। আমি ট্যাংরা মাছ মূলা, করলা, আলু, বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি বানিয়েছি। আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করছি আপনাদের রেসিপিটি ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
উপকরনসমূহঃ
টেংরা মাছ
মূলা
আলু
করলা
বেগুন
পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি
আদা-রসুন বাটা
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া
হলুদ গুঁড়া, লবণ এবং তেল
প্রস্তুতপ্রনালিঃ
প্রথমে আমি উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিয়েছি। এরপর আমি সবজি গুলো কুচি করে কেটে নিয়েছি এবং ভালভাবে ধুয়ে একটা কড়াইয়ে নিয়েছি। তারপর আমি একে একে সব গুঁড়ামসলা এবং বাটা মশলা গুলো দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছে হাতের সাহায্যে।
তারপর কিছুক্ষণ মাখার পর আমি ট্যাংরা মাছ গুলো আলাদা ভাবে ধুয়ে রেখেছিলাম লবণ দিয়ে। সেগুলো আমি মাখা সবজির মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিচ্ছিলাম। তারপর যখন মাখা হয়ে গেছে তখন আমি সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলায় তুলে দিয়েছিলাম রান্নার জন্য।
আমি একবারে চুলায় তুলে দিয়েছি এবার ঢাকনা একবারও সরাবো না। একদম যখন আমার রান্নাটা হয়ে যাবে তখন আমি ঢাকনাটা সরিয়ে ফেলব। তো আমি প্রায় ২০ মিনিটের মতো রান্না করে নিয়েছি। তারপর আমার রান্না হয়ে গেছে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কত সুন্দর কালার এসেছে চচ্চড়িতে। তো আপনারা অবশ্যই এটা বাসায় বানিয়ে খাবেন। যারা সবজি খেতে পছন্দ করেন তারা এভাবে রান্না করলে অনেকটাই ভালো লাগবে খেতে। আমার স্বামি করলা মূলা একদমই খায় না। আমি একাই খাব এইজন্য অল্প করে রান্না করেছি।
তো আমার রান্না করা চচ্চড়ি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমি আশা করছি আপনারা যদি এভাবে রান্না করেন তাহলে অনেক ভালো লাগবে খেতে ।
তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এবং ভালো ভালো খাবার খাবেন। সবার দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের ব্লগ টি এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
টেংরা মাছের মতো খুব মাছই সুস্বাদু আছে। এমন কেউ নেই যে টেংরা মাছ পছন্দ করেননা।আমার কাছে এটা অসাধারণ লাগে।আর চচ্চড়ি হলে ত কথাই নেই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টেংরা মাছের চচ্চড়ি দারুন হয়েছে আপু। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে আমিও শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
টেংরা মাছের চচ্চড়ি করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। টেংরা মাছের চচ্চড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আবার টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি ও খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুব অসাধারণ অসাধারণ রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন প্রতিনিয়ত। এত অসাধারন একটি পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মূলা দিয়ে টেংরা মাছের চচ্চড়ি খেতে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আমি কাল সেহেরীতেও টেংরা মাছ ভুনা খেয়েছি।ভালো লাগে।আপু আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
টেংরা মাছের রেসিপি আমার কাছে অনেক মজা লাগে আর আপনি এই টেংরা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়েছে। লোভ সামলানো যায় না এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার টেংরা মাছের চচ্চড়ির টেংরা মাছ দেখে মনে হচ্ছে যে এখনই এক পিস নিয়ে খেয়ে ফেলি। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে। কিন্তু চচ্চড়ি কখনো করোলা দিয়ে রান্না করিনি। করলা দিয়ে চচ্চড়ি খেতে কেমন লাগে বুঝতে পারছি না। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
টেংরা মাছ আমার খুবই পছন্দের। এভাবে দেশি টেংরা রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার মাছ রান্নার পদ্ধতিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপু। আর দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে খুবই মজা হবে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। টেংরা মাছ চচ্চড়ি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি সম্পর্কে খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করছেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সাধারণত আলু অথবা বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করা দেখলাম। কিন্তু আপনি তো দেখছি বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে টেংরা মাছের চচ্চড়ি করে ফেলেছেন। দেখতে কিন্তু অসাধারণ দেখাচ্ছে।
নিশ্চয়ই খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের রেসিপি।