কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ফটোগ্রাফি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি বেশ কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক আগেই করা ছিল। বেশ কয়েকমাস আগে আমাদের শহরের এক মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। কিন্তু শেয়ার করা হয়নি।আজ শেয়ার করছি।আশা করছি ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হচ্ছে গুড়ের তৈরি খুরমা। আমার খুরমা খেতে খুবই ভালো লাগে। মেলার মেইন খাবারের মধ্যে খুরমা কিন্তু অন্যতম খাবার। আপনারা এগুলোকে কি নামে চেনেন অবশ্যই জানাবেন। তবে অনেকেই গজা বা মুড়ালি বলে জেনে থাকবেন এইগুলোকে। আমি পাশেই চিনির তৈরি খুরমাও দেখেছিলাম। আমি সেটারও ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি-২
এবারে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে পাপড়ের ফটোগ্রাফি। আমার এই পাপড় এত পছন্দ যে বলে বোঝাতে পারবো না। ছোটবেলায় এই পাপড়গুলোকে প্লেট পাপড় বলতাম কারণ এগুলো দেখতে প্লেটের মতো লাগে আমার কাছে।সেদিন মেলায় দেখার পর খেতে কিন্তু একদমই ভুলিনি।
ফটোগ্রাফি-৩
এগুলো হচ্ছে ধনিয়া পাতার চপ।মেলায় বিভিন্ন ধরনের চপ বিক্রি হচ্ছিল। তবে আমার কাছে সেগুলো স্বাস্থ্যকর মনে হয়নি তাই সেগুলো আমি খাইনি। তবে ফটোগ্রাফি করতে ভুলিনি। তাছাড়াও আমি ধনিয়া পাতা খেতে একদমই পছন্দ করিনা।
ফটোগ্রাফি-৪
এগুলো হচ্ছে খোসা ছাড়ানো ভাজা বাদাম। এই বাদাম গুলো লেবুর রস দিয়ে মেখে খেতে এত মজার লাগে।আমার তো খুবই পছন্দ। আপনারা কখনো খেয়েছেন কিনা জানাবেন।
ফটোগ্রাফি-৫
এবার যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হচ্ছে ভাজা মটরশুটি সাথে কিছু ঝাল চানাচুর মেশানো আছে। এই খাবারটি খেতেও আমার বেশ ভালো লাগে। তবে আমার ছেলের খুব পছন্দের খাবার এটি। যদিও বাচ্চাদের জন্য এই খাবারগুলো একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। তারপরও ও খেতে ভীষণ পছন্দ করে।
ফটোগ্রাফি-৬
এগুলো হচ্ছে চিনি দিয়ে জ্বাল করা মিষ্টি বরই। আমার খুব খুব পছন্দের। আমি এত খেতে পছন্দ করতাম যে ছোটবেলায় আমার মা এই বরই গুলো কিনে রাখতো সবসময়।
ফটোগ্রাফি-৭
এই ফটোগ্রাফি দেখে কার কার মুখে পানি চলে এসেছে এটা জানাবেন ইফতারের পর।যদিও রমজান মাসে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা আমার মোটেই উচিত হচ্ছে না। তারপরও করতে হচ্ছে। যাইহোক এগুলো হচ্ছে সেদ্ধ জলপাই। এর সঙ্গে গুঁড়া মসলার একটা চাটনি দেয় সেটার সঙ্গে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি। আশা করছি ফটোগ্রাফি ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
মজাদার সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
তবে মনে হচ্ছে আপনার পোস্টটা ইফতারির পরে চোখে পড়লে ভালো হতো খুব লোভ হচ্ছে।
এর মধ্যে পাপড় বরই আচার আমার সবথেকে বেশি প্রিয়।
আগেই বলেছি ভাইয়া যা মন্তব্য করার ইফতারের পরেই করবেন। 🤪ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি লোভ লেগে গেলো। আপনি দারুণ ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করছেন আর তার সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শহরের মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর এবং লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। মেলার এই ধরনের খাবার গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন আপনি। ধনিয়া পাতা দিয়ে যে চপ তৈরি করা হয় এটা জানা ছিল না। নতুন একটি খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের খাবার গুলো আসলেই অস্বাস্থ্যকর।
শুনেছি ধনিয়া পাতার চপ খেতে নাকি খুবই ভালো লাগে। যদিও আমি ধনিয়া পাতা খাইনা তাই এর টেস্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই। যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার ব্লগের ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ! প্রতিটি ছবিই খাবারের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং নিপুণতা প্রকাশ করে। আপনার লেখনীর মাধ্যমে আমরা যেন সেই মেলার আমেজ অনুভব করতে পারছি। আপনার এই সৃজনশীল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক, আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
যে ধরণের খাবারের ছবি আপনি শেয়ার করেছেন আপু, তা আসলেই লোভনীয় ও মুখরোচক। যে কোন মেলা এধরণের খাবার ছাড়া অচল। আপনি মেলা থেকে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন, খাবার গুলোর। প্রতিটি ছবিই অনেক সুন্দর হয়েছে।সুন্দরের মধ্যেও বেশি সুন্দর লেগেছে সিদ্ধ জলপাই এর ছবিটি। ফটোগ্রাফি ও লেখা, সবমিলে ভালো লেগেছে পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটা ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের খাবারগুলো ছাড়া মেলা একদমই জমে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি আপু খুরমা গুলো খেতে অনেক মজার। প্রতিটি খাবারের পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গজা বা মুড়ালি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে চিনির তৈরি গজা খেতে বেশি মজা লাগে। এত লোভনীয় কিছু খাবার চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
গজা বা মুড়ালি আপনার পছন্দের খাবার জেনে ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই লোভনীয় কিছু মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে তবে বিশেষ করে আমার কাছে গুড়ের খুরমার ফটোগ্রাফিটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে সেই সাথে আমার কাছে গুড়ের খুরমা অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গুড়ের তৈরি খুরমা গুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু হয় ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। খুরমা খেতে আমার কাছে ভীষণ মজা লাগে। জলপাই এবং ভাঁজা মটরশুটি দেখে লোভ লেগে গেলো। আপনার চমৎকার খাবারের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি দারুন বর্ননা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা সুন্দর ছিলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পেয়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।