রেসিপিঃ চিকেন মোমো
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটা রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তোর জন্য মোমোর রেসিপি। বাসায় দেবর দেবরের বউ ভাসুর জা সবাই এসেছেন ঈদে। বাসাটা একদম পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম সবাইকে নতুন একটা কিছু বানিয়ে খাওয়াই। আর অনেকদিন ধরে নতুন কোন রেসিপিও করা হচ্ছে না। তাই ভাবছিলাম মোমো বানাবো। যেই ভাবা সেই কাজ সবার জন্য চিকেন মামা বানিয়ে ছিলাম। বিশেষ করে আমার ভাসুরের মেয়ে খুব বায়না ধরেছিল রেস্টুরেন্ট স্টাইলে কিছু একটা বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য।
তো চলুন বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে চিকেন মোমোর পুরো প্রস্তুতি টা জেনে নেই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
হাড় ছাড়া মুরগির মাংস |
ময়দা |
পেঁয়াজ কুচি |
মরিচ কুচি |
আদা রসুন বাটা |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
শুকনা মরিচ গুঁড়া |
টমেটো সস্ |
সয়া সস্ |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আমি তিন কাপ পরিমাণে ময়দা নিয়েছি এবং পরিমাণ মতো লবণ এবং সামান্য একটু তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি ময়দার সাথে।
ধাপ-২
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ময়দার একটি ডো বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর আমি হাড় ছাড়া ফ্রেশ মুরগির মাংস নিয়ে সেগুলো ব্লেন্ডার করে কিমা বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪*
এরপর আমি কিমার মধ্যে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি,গুঁড়া মশলা এবং বাটা মশলা দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার ময়দা দিয়ে যে ডো বানিয়ে রেখেছিলাম সেখান থেকে একটু একটু করে ডো নিয়ে বড় একটি রুটি বানিয়ে নিয়েছি। এরপর একটি কৌটার মুখের ঢাকনার সাহায্যে ছোট ছোট করে গোল গোল করে রুটি বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর একটি রুটি হাতের মধ্যে নিয়ে পরিমাণ মতো মসলা মাখানো মাংসের কিমা দিয়ে চেপে চেপে মুখ বন্ধ করে দিয়ে মোমোর ডিজাইন তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
আগে থেকে আমি রাইস কুকারে পানি দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর মোমো গুলো ভাপানোর জন্য আমি রাইস কুকারের একটি স্টিমার নিয়েছি। এরপর স্টিমারের ভিতরে তেল মাখিয়ে নিয়ে মোমো গুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি প্রায় ৩০ মিনিটের মত রান্না করেছি মিডিয়াম লো আঁচে।মোমোগুলো হয়ে গেলে আমি সবগুলো একটা প্লেটে তুলে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
আমি মোমো গুলো টমেটো সস্ দিয়ে সবাইকে পরিবেশন করেছি।
এই ছিল আজকে আমার চিকেন মোমো রেসিপি। আশা করছি রেসিপিটা আমাদের আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আসলে আমি প্রথমবার বানিয়েছি তাই হয়তো খুব ভালো ডিজাইন করতে পারিনি। তবে এটা খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এবং সবাই বেশ প্রশংসা করেছেন। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
ঈদ উপলক্ষে বা বিশেষ কোনো আয়োজনে যখন সবাই বাসায় থাকে অর্থাৎ ভাষাটি পরিপূর্ণ থাকে তখন বেশ ভালো লাগে। সত্যি কথা হলো তখন মজার মজার জিনিস খাওয়া যায়। যাই হোক চিকেন মোমো দেখে লোভ সামলাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আর তাছাড়া আপনি খুব সুন্দর ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আটু বাসায় যখন অনেক লোকজন থাকে তখন বিভিন্ন খাবার খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
চিকেন মোমো আমার অনেক পছন্দ। আপনার চিকেন মোমোর রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। খুব চমৎকারভাবে সাতটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।
জ্বি ভাইয়া চিকেন মোমোটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আর ঘরোয়া খাবার দেখতে অসুন্দর হলেও টেস্ট কিন্তু অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
ঈদের আনন্দ সবাই এক সাথে উপভোগ করেছেন। বাসায় সবাই মিলে সেই আনন্দে নতুন কিছু। দারুণ হয়েছে আপু।চিকেন মোমো দেখেই কি লোভনীয় লাগছে আপু।খেতে আরও অনেক বেশি মজাদার হয়েছে মনে হয়। আমার খুব খুব পছন্দের।অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
সবাই মিলে যেকোনো জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা। সত্যিই আপু আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছি চিকেন মোমো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিকেন মোমো আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে আসলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু রেসিপি টা দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চিকেন মোমো গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি তো দেখছি বেশ ভালো রাধুনি। চিকেন মোমো আমার খুবই পছন্দ। যদিও কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমি চিকেন মোমো খেয়ে থাকি। একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো করে চিকেন মোমো তৈরি করেছেন আপু। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এখানে চিকেন মোমো পাওয়া যায় না। তবে অনেক ইচ্ছে ছিল চিকেন মোমো খাওয়ার। তাই আগে থেকে রেসিপিটা শিখে রেখেছিলাম এবং প্রথমবারের মতো এটা বানিয়েছিলাম। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
চিকেন মোমো তো আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আগে বাসায় প্রায়ই মোমো বানিয়ে খাওয়া হতো।বেশ কিছুদিন হলো মোমো খাওয়া হচ্ছে না।ভাবি আপনার ভাশুরের মেয়ের আবদারে বানানো চিকেন মোমো গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখেই মন চাইছে খেতে চোখের সামনে পছন্দের খাবার দেখে নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।অসম্ভব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন এবং লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
হ্যাঁ আপনার মেয়েদের হাতের চিকেন মোমো আমি খেয়েছি। ওরা অনেক সুন্দর চিকেন মোমো বানায়।তাড়াতাড়ি একদিন মোমো বানিয়ে দাওয়াত করেন বৌদি।🤪
চিকেন মোমো নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপু আপনার চিকেন মোমো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিছু চিকেন মোমো কোরিয়ার করে পাঠিয়ে দিয়েন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। চিকেন মোমো তৈরির পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিকেন মোমো খেতে অনেক টেস্টি লাগে। অবশ্যই এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু। আর ঠিকানা জানা থাকলে অবশ্যই পাঠিয়ে দিতাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঈদের সময় বাড়ি পরিপূর্ণ হলে সত্যিই ভালো লাগে। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের দারুন একটি খাবার তৈরি করেছেন চিকেন মোমো যেটা রেস্টুরেন্টে গেলে খাওয়া হয়। আপনি দেখছি খুব সুন্দর করে চিকেন মোমো তৈরি করেছেন ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আপনি তো সবাইকে বানিয়ে খাওয়ালেন তবে আমাদের একটু বললে পারতেন হা হা হা। অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
পরের বার বানালে আপনার কথা টা মাথায় রাখবো আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।