মানুষকে ঠকালে একদিন নিজেকে ঠকতে হয়💔
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি বাস্তব জীবন নিয়ে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো গল্প আকারে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। এসব গল্প থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু থাকে। আজ শেয়ার করব একটি মেয়ে কিভাবে তার প্রেমের জলে ফাঁসিয়ে ছেলেদেরকে বোকা বানাতো এবং শেষে গিয়ে মেয়েটি কিভাবে ফেঁসে যায়।আসলে সব কিছুরই শেষ বলে একটা কথা থাকে।মেয়েটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। আশা করছি আজকের গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
রেবা গরিব পরিবারের মেয়ে। সে খুবই ভালো ছাত্রী ছিল এবং দেখতে শুনতে খুবই সুন্দরী ছিল। দেখতে সুন্দরী জন্য অনেক ছেলে থাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে। সে বেঁছে বেঁছে বড়লোক বাবার ছেলেদেরকে টার্গেট করতো। তাদের সঙ্গে কিছুদিন ভালোভাবে কথা বলে অভাবের গল্প শুনিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাসিল করতো। ছেলেগুলো তার চাহিদা মেটাতে মেটাতে একটা সময় তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করত। যাইহোক এভাবে প্রতিনিয়ত চলতেই থাকতো তার এ ধরনের অন্যায় কার্যক্রম। সে সমাজে এমন ভাবে চলাফেরা করতো যে সবাই তাকে খুব ভদ্র বলতো।
কলেজ জীবনের শেষ করে এসে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। সেখানে সে একই কটনাগুলো ঘটাতে থাকে। এরই মধ্যে সুজন নামের এক ছেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বেশ ভালো ঘরের ছেলে সুজন এবং দেখতে শুনতে অনেক সুন্দর। রেবা নিজের অজান্তেই সুজনকে ভালোবেসে ফেলে। সুজন ও রেবাকে ভালোবাসে। সুজনের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর এবার অন্য কারো সঙ্গে ছলনা করেনি।এরমধ্যে সুজনও কখনো জানতে পারেনি রেবার সম্পর্কে সেই কথাগুলো। রেবারও ইচ্ছে সুজনের সঙ্গে সেটেল হবে।এভাবে একটা সময় তাদের পড়াশোনা শেষ হয়।
সুজন বাড়িতে গিয়ে রেবার কথা তার বাবা মাকে বলে। সুজনের বাবা প্রাইমারির শিক্ষক মাও ভালো একটা চাকরি করে। তাদের অর্থ সম্পদ কোন কিছুরই অভাব নেই। কিন্তু রেবার বাবার বাড়ির অবস্থা দেখে তারা কিছুতেই এ বিয়েতে রাজি হয় না। তখন সুজন একা একাই রেবাকে বিয়ে করে। তারা মনে করে বিয়ের পর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু একদমই সেটার বিপরীত হয়ে যায়। সুজনের বাবা-মা সুজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।তাদের ইচ্ছে ছিল একমাত্র ছেলেকে দেখে শুনে ভালোভাবে বিয়ে করাবেন।
যাই হোক এরপর সুজন আর রেবার জায়গা হয় রেবার গরিব বাবার ঘরে। সুজন যেহেতু ভালবাসে তাই সেখানে সে নিজেকে মানিয়ে নেয়। রেবা তার ভুল বুঝতে পারে। সে মনে করে অন্যান্য ছেলেদেরকে ঠকানোর ফল সে ভোগ করছে। এটা তার মোটেই উচিত হয়নি। যাইহোক এভাবেই তাদের কষ্টের মধ্যেই জীবন চলছিল।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের গল্পটি। এটা থেকে আমাদের একটা জিনিসই শেখার আছে সেটি হচ্ছে সব কিছুরই একটা শেষ আছে। কাউকে ঠকালে একদিন না একদিন তার সাজা ভোগ করতে হয়। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন গল্প বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি৷ আসলে আজকে যদি আমরা কাউকে ঠকাই তাহলে একদিন আমাদেরকেও ঠকতে হবে৷ এভাবে প্রকৃতি সবসময় সকলকে বিভিন্নভাবে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে এবং সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না হলে তাকে এই প্রকৃতি আবার সেই শিক্ষা দিয়ে দিচ্ছে৷ ঠিক এরকমই আপনি আজকে একটি বাস্তব ঘটনা ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে বিয়ের আগে সকলেই ভিন্ন রকম হয়ে থাকে৷ তবে বিয়ের পরে অনেকেই পরিবর্তন হয়ে যায়। এই ছেলেটি ভালোবেসে বিয়ে করার পর এখন সে তার বাবা-মার কাছ থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে যা দেখে অনেক খারাপ লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর ভাবে একটি বাস্তবিক গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ৷ আপনার এই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ আপনার এই গল্প থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত ৷ আসলে যে মানুষকে ঠকায় , সেও কোনো না কোনো ভাবে একদিন কারো কাছে ঠকে ৷ রেবা এতো দিন ছেলেদের ঠকিয়েছে , শেষমেশ সেও বেশ ভালো ভাবেই ঠকে গেলো ৷ হয়তো সেই ছেলের বাবা মা আর কখনোই মেনে নেবে না তাদের এই বিয়ে ৷ যাই হোক, ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এরকম ঘটনা অনেক শুনেছি। অনেক মেয়ে আছে যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য সম্পর্ক করে আবার যখন সেই স্বার্থ শেষ হয়ে যায় তাকে ছেড়ে অন্যজনকে ধরে । ঠিক তেমনি একটি ঘটনা শেয়ার করলেন। যার ফল এখন খারাপ পরিস্থিতির মাধ্যমে পার করতে হচ্ছে । সে জন্য অন্যের ঠকালে নিজেকেও ঠকতে হয় সেটাই হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মানুষকে ঠকালে একদিন নিজেও ঠকতে হয় এই কথাটা কতটুকু সত্য সেটা জানি না তবে রেবার গল্পটা পড়ে অনেক বেশি খারাপ লাগলো। সত্যি বলতে প্রকৃতি কাউকে কখনো ছেড়ে দেয় না আজ হয়তোবা আপনি বা আমি কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছি বা খারাপ আচরণ করছি কয়েক বছর পরে অথবা কিছুদিন পরেই সেটার ফল আমাদের ভোগ করতে হবেই। ভালোবেসে বিয়ে করে এখন ছেলেটা বাবা-মার কাছ থেকে অনেকটাই দূরে ছেলেটার জন্য খুবই খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে বিয়ের আগে অনেকেই অনেক রকম থাকে কিন্তু বিয়ের পরে যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে তো আর কোন সমস্যা নেই। যাইহোক তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এই কামনাই করি। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মাঝখান থেকে সুজন ফেঁসে গেল। কি আর করবে বেচারা তো ভালোবেসে বিয়ে করেছে তাই সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যেমন কর্ম তেমন ফল কথাটা বাস্তব সত্য। আসলে আপু লোভ মানুষকে ধ্বংস করে। রেবাবেশি লোভ করার জন্য আজ এই অবস্থা। তবে সুজন ও অনেক বড় ভুল করলো।যাইহোক কষ্টে না পড়লে রেবা হয় তো তার ভুল বুঝতো না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
এটা ঠিক বলেছেন আপু যেমন কর্ম তেমন ফল।রেবা যেমন লোক ঠকাতো তাইতো এখন তাকে ঠকতে হলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এখন তো ভালোবাসার নামে সব সময় ছলনাই হয়ে থাকে। এখন বেশিরভাগ ছেলেমেয়েকে দেখা যায় তারা প্রকৃত ভাবে কাউকেই ভালোবাসে না। বরং তারা দুই দিনের ছেলে খেলা করে। তারা কয়েকদিন পরে একজনকে ছেড়ে অন্য জনকে ধরে, বেশিরভাগ মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। আসলে মানুষকে ঠকানোর শাস্তি অনেক বড় হয়ে থাকে। আর তেমনই রেবা ও তার শাস্তি পেয়েছে। এখন তাদেরকে তাদের বাবার ভাঙা ঘরটাতেই থাকতে হচ্ছে। তাও আবার অনেক কষ্ট করে। আসলেই কোন না কোনভাবে সেই শাস্তিটা নিজেকে অবশ্যই পেতে হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে গল্পটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মানুষের সাথে প্রতারণা করে কেউ কখনো সুখে থাকতে পারে না। আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।রেবা গরীব ঘরের মেয়ে সেই চলনা করে মানুষের সাথে প্রেম করে। আসলে এরকম বাজে অভ্যাসগুলো একদম খারাপ। হয়তোবা তার কর্মের ফলের কারণে সুজনের সাথে বিয়ে হওয়ার পরও সেই বাবার বাড়িতে আসতে হলো। আর কিছু কিছু ভালোবাসা আছে নিজের অজান্তে হয়ে যায়। যাইহোক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন কাজেরই কর্মফল সবাইকে ভোগ করতে হয়। রেবার হয়তো ভাগ্যে এটাই ছিল। যেহেতু সে লোক ঠকাতো তাই নিজেকেই ঠকতে হল।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এরকম কিছু কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যদেরকে ঠকাতে অনেক বেশি পছন্দ করে। এবং কি অন্যদেরকে ঠকিয়ে থাকে। কিন্তু তারা এটা জানে না যে, অন্যকে ঠকানোর মূল্য তাদেরকে একদিন না একদিন অবশ্যই দিতে হবে। যে কোন কিছুর মাধ্যমে হলেও তাদেরকেও ঠকতে হবে। ঠিক এরকমটা তাদের পাপের শাস্তি অবশ্যই তারা পাবে। যদিও শেষ পর্যায়ে সুজনকে ভালোবেসেছিল, কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আর উঠতে পারল না। এখন সে নিজের ভুল বুঝলে কি হয়েছে, আগে তার উচিত হয়নি এরকম কিছু করা।
অন্যকে ঠকিয়ে কখনো নিজের সুখী হওয়া যায় না। এটা রেবা এখন হারে হারে বুঝতে পারছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটা অবশ্যই সত্যি যে, কাউকে ঠকালে নিজেকেও ঠকতে হয়। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবাইকে ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না। রেবার মতো এমন অনকে মেয়ে আছে যারা প্রতিনিয়ত ছেলেদেরকে এভাবে ঠকাচ্ছে। তবুও রেবার তো কপাল ভালো যে, শেষ পর্যন্ত তার ভালোবাসার মানুষ সুজনকে পেয়েছে। কিন্তু এসব টাইপের অনেক মেয়ের পরিণতি একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এমন বাস্তব গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেবা তো নিজের ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছিল।এ ধরনের মেয়ের সঙ্গে আর ভয়ানক কিছু হওয়া দরকার ছিল। যাক অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।