বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারাটাই বড়
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। বাবার বাড়িতে এসেছি প্রায় এগারো দিন হয়ে গেল। আজ বিকেলে এই চলে যাব। তবে যাবার আগে কয়েক দিনে বেশ কিছু কাজ আমি করেছি বাসার। আমি বাড়ির বড় মেয়ে বাড়ির অনেক দায়িত্ব আমার উপরে।হয়তো আসার পরে অনেক ভালো সময় কাঁটিয়েছি। কিছু সমস্যাও দেখলাম বাড়িতে। যেগুলো এই কয়েকদিনে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। সব থেকে বড় সমস্যা যেটা দেখেছিলাম সেটা হচ্ছে পানি। আমাদের বাড়ি যেহেতু গ্রামে তাই গ্রামের সব মানুষই প্রায় টিউবওয়েল ব্যবহার করে। আমাদের বাড়িতেও টিউবওয়েল আছে। তবে খুব একটা পানি উঠছে না। আমাদের যেহেতু টিউবয়েল চাপার অভ্যাস নেই আমার মায়ের এর জন্য কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল আমাদের জন্য পানি তুলে রাখতে।
এরপর আমি এ বিষয়টা শায়ানের বাবার সঙ্গে শেয়ার করি।যে বাসায় একটা পানির মটরের ব্যবস্থা করতে হবে। উনিও সাথে সাথে এই বিষয়টা সমাধান করার কথা দেন আমাকে। এই দিক থেকে শায়ানের বাবাকে আমার অনেক ভালো লাগে কারণ সে আমার বাবা মাকে তার বাবা মায়ের মতোই ভালোবাসেন। যাইহোক আমার হাজবেন্ড এবং আমার বাবা মিলে বাজারে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক করে এসেছিলেন দোকানে। পরদিন ওনারা দোকান থেকে ভ্যানে করে সব মালপত্র এনেছিলেন। আমাদের বাসায় পানির মটরের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। এই প্রথম আমি দেখছিলাম মটর বসানোর কাজ।
আমার বাবু তো ওখান থেকে ওঠার নামই করছিল না। সে ওখানে বসে থেকে দেখবে। মটর বসানোর সময় আমি আমার বাবা মায়ের মুখে অন্যরকম একটা খুশী দেখেছিলাম।মেয়ে হিসাবে এটা যে আমার জন্য কতটুকু পাওয়া ছিল সেটা একমাত্র আমিই জানি। বাবা মাকে কখনো আফসোস করতে শুনি নাই যে তাদের ঘরে একটা ছেলে সন্তান নেই। মা তো সবাইকে বলেন যে আমার ঘরে আমার মেয়ে আছে আমাদের জন্য এটাই যথেষ্ট। তখন যে আমার কতটা আনন্দ হয় সেটা বলে বোঝানোর মত নয়। অনেক বাবা মাকে দেখেছি সংসারে ছেলে সন্তান থাকে না বলে অনেক আফসোস করে কিন্তু আমার মা-বাবাকে সেটা কখনোই করতে দেখি নি।আমিও চেষ্টা করব সারা জীবন তাদের পাশে এভাবে থাকার জন্য এবং তাদের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করার।
তো যাই হোক অবশেষে কষ্টটা দূর করতে পেরেছি এটা আমার কাছে অনেক। বেশ কিছু মিশনে এবার গ্রামের এসেছিল। সবগুলো মোটামুটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। আবারো চলে যাব সেই যান্ত্রিক শহরে। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু।মা-বাবার মুখে হাসি ফুটলে মনটা তখন অনেক ভালো লাগে।আসলে গ্রামের সব বাড়িতেই টিউবওয়েল থাকে। তবে আপনার বাবার বাসায় টিউবওয়েলে পানি উঠে কম। আর চাপ দিয়ে পানি তোলা ও কষ্ট। তাইতো মটর লাগিয়ে দিয়ে ভালোই করেছেন। মা কিছুটা আরামে কাজ করতে পারবে।আর এটাই হচ্ছে দোয়া।আর ভাইয়ার কথা আর কি বলবো ভাইয়া একজন খুব ভালো মানুষ। মন মানসিকতা যথেষ্ট ভালো। দুজনের জন্য ই রইলো অনেক শুভকামনা।
সত্যি আপু মটর লাগানোর পর বাবা-মার মুখে যখন খুশি দেখেছিলাম তখন আমি অনেক শান্তি পেয়েছি। এটা সত্যি বলেছেন আপনাদের ভাইয়া মন মানসিকতা অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।