হাঁসের মাংস রেসিপি ||@shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও এখন মোটামুটি ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগের স্বাগতম। আসলে শীতকাল আসলে কেন জানি না বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি বা অনেক ধরনের খাবারের ধুম পড়ে যায়। আমারও তেমন শীতকাল আসলে হাঁসের মাংস খেতে বেশি ইচ্ছে করে। তো মাকে বলেছিলাম গ্রাম থেকে আসার সময় একটা হাঁস কিনে নিয়ে আসতে। যেহেতু আপনাদের ভাইয়া হাঁস খায় না তাই বাসায় মেহমান থাকলে হাঁস খেতে ভালো লাগে। আর একা একা কিভাবেই বা খাব। তাই জন্য মা যখন এসেছিলেন সাথে নিয়ে এসেছিলেন বাবাকেও দুপুর বেলা ফোন দিয়েছিলাম খেতে আসার জন্য। সবাই মিলেই খেয়েছিলাম মজা করে।
হাঁসের মাংস রান্না করেছিল আমার মা। মা খুব ভালো রান্না করে এটা আমি অনেক আগেই বলেছি। আসলে মায়ের হাতে রান্নার স্বাদের কোন তুলনা হয়না। তো মাকে বলেছিলাম একটু কষা করে মশলা বেশি দিয়ে রান্না করতে। তো মা সেভাবেই রান্না করেছিলেন। তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটা শুরু করা যাক।
উপকরণ |
---|
হাঁসের মাংস |
পেঁয়াজ কুচি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
সাদা-কালো এলাচ |
দারচিনি,তেজপাতা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে মাংসগুলোকে লবণ এবং সামান্য হলুদ গুঁড়া এবং সামান্য তেল দিয়ে কিছুক্ষণ মেখে রেখে দিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর মাংস রান্না করার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে গেলে দিয়েছি তেল। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি গুলো কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে গরম মসলা দিয়ে আবারো পেঁয়াজগুলো বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
বাদামি করে পেঁয়াজ ভেজে নিয়ে গুঁড়া মসলা এবং বাটা মশলা দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মশলাটা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর আগে থেকে লবণ এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং দিয়েছি কয়েকটি রসুন। এরপর মাংসগুলো ভালোভাবে কষিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করার পর পানি দিয়ে রান্না করে নিয়েছি মাংসগুলো সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
ধাপ-৬
মাংসগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে আমি আবারও পানি দিয়ে দিয়েছি ঝোলের জন্য। যেহেতু হাঁসের মাংস একটু শক্ত হয় তাই আমি দুইবারে পানি দিয়ে রান্না করে নিয়েছি। তো ঝোল যখন গায়ে মাখানো হবে তখন আমি ভাজা জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করেছি।
রেসিপিটা খেতে দুর্দান্ত সুস্বাদু হয়েছিল আর যারা হাঁসের মাংস পছন্দ করেন আজকের রেসিপিটা তাদের জন্য। তো বন্ধুরা এভাবে রান্না করলে আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমরা হাঁসের মাংস নারকেল দিয়েও রান্না করে থাকি। পরবর্তীতে কোন একদিন অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব এবং আমার মা এটা খুব ভালো রান্না করে নারকেল দিয়ে।
তো বন্ধুরা আজকের রেসিপিটা কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আপু মাংসের ভিতর সব থেকে প্রিয় আমার হাঁসের মাংস। আপনার হাঁসের মাংস রান্নার মধ্যে যে রান দেখা যাচ্ছে এটা দেখে আমার খুব লোভ লেগে গেল আপু। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে মাংস রান্না করা আমাদেরকে দেখিয়েছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাংসটি রান্না অনেক স্বাদ হয়েছে। মাংস রান্নার বর্ণনাটা অনেক সুন্দর ছিল।
জ্বি ভাইয়া মাংস আমার মা রান্না করেছিলেন খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকাল এমন একটি সিজন যে খাবার হোক না কেন খেতে অনেক ভাল লাগে।শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে অনেক মজার হয় যদিও চিতই পিঠা বা ভাপা পিঠা থাকে সাথে আরও ভাল লাগবে খেতে।আপনি বেশ মজার করে হাঁসের মাংস রান্না করেছেন দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছেন।অনেক মজার করে রান্না করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।
জ্বি আপু চিতই পিঠা বা ভাপা পিঠার সাথে তো ভালো লাগবেই। আরও যদি চালের আটার রুটি হয় গরম গরম। তাহলে বেশ ভালো লাগতো ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকাল এলেই হাঁসের মাংস খেতে ইচ্ছা করে। মায়ের হাতের রান্না সব সময় সেরা। আমিও হাঁসের মাংস খেতে অনেক পছন্দ করি। যেহেতু ভাইয়া হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন না তাই আপনার মা-বাবা সবাইকে নিয়ে এই মাংস খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। নারিকেল দিয়ে কখনো হাঁসের মাংস খাওয়া হয়নি। সেই রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম আপু। শীতকালে পিঠা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি শীতকালে হাঁসের মাংস খেতেও কিন্তু ভালো লাগে।
আমারও হাঁসের মাংস খুব পছন্দের খাবার। কিন্তু বাসায় আপনার ভাইয়া না খাওয়ার কারণে আমারও খুব একটা খাওয়া হয়না। নারকেল দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি অবশ্যই শেয়ার করবো।
কি!দেয়া যাবে একটু?
কতদিন এসব মাংস যে পেটে যায়না!ভাবলেই চোখে পানি চলে আসে।কেউ ডাকেও না,খাওয়াও হয়না🙂।
লোভনীয় রেসিপি ছিল 🙂,শুভ কামনা রইলো।
তুমি তো বাসায় আসলে কিছু খেতেই চাওনা। যখনই রেসিপি শেয়ার করি তখনই খালি তোমার খেতে মন চায়।এবার রান্না করলে তোমার জন্য রাখবো।
আমি কিন্তু বাসাতেই আছি😉 কালই যাবো তাহলে।
বাহ আপু খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। শীতের সময় হাঁসের মাংসের আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়। আমি হাঁসের মাংস খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছে হাঁসের মাংস। আপনার হাঁসের মাংস পছন্দ শুনে ভালো লাগলো। একদিন দাওয়াত নিবেন আপু।
হাঁসের মাংসের চমৎকার একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের হাঁসের মাংসগুলো খেতে একটু শক্ত হয় যার কারণে এগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রান্না দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
জ্বি ভাইয়া হাঁসের মাংসে বেশি হাড় থাকার কারণে আমার খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া যেহেতু হাঁসের মাংস খায় না আমাদেরকে দাওয়াত দিন, তাহলে হাঁসের মাংস রান্না করা হবে আপনারও খাওয়া হবে। 😁 যাইহোক শীতে হাঁসের মাংস আমার ভীষণ ভালো লাগে। রেসিপিটি ও লোভনীয় হয়েছে অনেক। তবে হাঁসের মাংস কখনো নারিকেল দিয়ে রান্না করিনি আমি সে রেসিপিটির অপেক্ষায় রইলাম।
এটা তো আমার মাথায় ছিলো না যে আমার পরিবারের একজন খায়না তো কি আমার পরিবারে তো অনেক সদস্য আছে তাদের নিয়ে খাবো।ধন্যবাদ আপু আমাকে মনে করে দেওয়ার জন্য। অবশ্যই নারকেল দিয়ে হাসের মাংসের রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
শীতের সময়ে প্রত্যেক বাড়িতে পিঠাপুলের উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর এ সময় হাঁসের মাংস খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আসলে গত পরশুদিন সকলে মিলে একত্রে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করলাম খুবই সুস্বাদু লাগছিল। ভাইয়া হাঁস খেতে তেমন একটা পছন্দ করেনা তবুও আপনি আপনার মাকে বলে গ্রাম থেকে হাঁস নিয়ে এসেছেন এবং সকলে মিলে অনেক মজা করে হাঁসের মাংস রান্না খেয়েছেন জেনে খুবই খুশি হলাম। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরাও একটা প্লানিং করছি হাঁসের মাংস আর খিচুড়ি পিকনিক করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
হাঁসের মাংস খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। তবে শীতের সময় হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। হাঁসের মাংস রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে।
রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।