ভালো কাজ, ভালোবাসি || @shy-fox 10% beneficiary
একদম পাঁচ তলায় থাকি, তাই মোটামুটি আমার ফ্ল্যাটের উপরেই ছাদ। যেহেতু এই পুরো ভবনে কমপক্ষে মিনিমাম বিশটা ফ্যামিলি থাকে। তাই মোটামুটি বাড়িটা বড় এবং বাড়ির ছাদটা অনেক সুবিশাল। যারা নিচের তলার দিকে থাকে, তাদের অবশ্য ছাদে আসতে অনেকটাই কষ্ট হয়ে যায়। তবে আমার জন্য অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে ছাদে বিকেলবেলা করে গিয়ে সময় কাটানো বিষয়টি।
একটা বিষয় মাঝে মাঝেই চিন্তা করি, এতগুলো মানুষ এই ভবনে থাকি কিন্তু কারো সঙ্গে কারো তেমন পরিচয় নেই বললেই চলে। শহরের মানুষগুলো অনেকটাই যান্ত্রিক চরিত্রের, ওদেরকে আসলে বাহির থেকে দেখে খুব একটা বোঝা যায় না। এরা আসলে অনেকটাই বেশি সংকোচন পূর্ণ। এককথায়, সহজে কেউ কারও সঙ্গে মিশতে চায়না।
আসলে কেউ তো শহরে ইচ্ছা করে থাকতে চায় না, কর্ম ও বাস্তব জীবনের কারণে দিন শেষে সবাই এই শহরে থাকে এবং অনেকটা যান্ত্রিক জীবন যাপন লিড করে। আমি অবশ্য, সহজে কোন কাজে চাপ নেই না৷ এখানকার হালচাল আমি বুঝে গিয়েছি, তাই নিজেকে সময় দেই নিজের মতো করে ।
আমাদের যে কেয়ারটেকার আছে হাকিম ভাই। তার সাথে আমার মাঝে মাঝেই কথা হয়। কারণ যখন ফ্ল্যাটে পানি থাকেনা, তখন মূলত তাকে ফোন করা হয়। আর তার আন্তরিকতার কারণে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে। আজকে বিকেলে যখন ছাদে গিয়েছি, গিয়ে দেখি অনেক গুলো কাক। এই বিষয়টা এই কয়েকদিনে নোটিশ করিনি, তবে আজকে ভালো ভাবে নোটিশ করেছি।
হাকিম ভাইয়ের বিড়াল লালন-পালন করার প্রতি আগ্রহ অনেক আগে থেকেই আছে এবং সেই বিষয় নিয়ে আমি বিগত একটা ব্লগে লিখেছিলাম । তবে তার যে, পক্ষীকুলের উপর আলাদা একটা দুর্বলতা আছে, হয়তো আজ না দেখলে, তা বিশ্বাস করতাম না ।
ব্যাপারটা এমন যে, সে প্রতিদিন ভবনের প্রতিটি ফ্লাটের যে খাবার গুলো বেঁচে যায় এবং সেই খাবারগুলো যে ডাস্টবিনে রাখা হয়, সেখান থেকে সে খাবার গুলো সংগ্রহ করে এবং প্রত্যেক দিন বিকাল বেলা করে, ছাদে যায় এবং সেই কাক গুলোকে খেতে দেয়। সত্যি বলতে কি, প্রকৃতির জীববৈচিত্র্যের প্রতি তার যে এই সহানুভূতি, সেটা আমার ভালোই লেগেছে।
আপনার বিকেল বেলায় ছাদে যাওয়া দেখে আমার পুরনো বাসার কথা মনে পড়ে গেল। আমি আগে রাজশাহী থাকতাম। সেখানে যে বাসায় থাকতাম ওই বাসার ছাদ টা খুবই সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গোছানো ছিল। এবং অনেক বড় ছিল। আমরা মাঝেমধ্যে ছাদে যেয়ে সময় পার করতাম। বিশেষ করে শীতকালে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর এই বাসার ছাদটা ছোট হওয়ার কারণে তেমন যাওয়া হয় না। আপনার ছবিটা দেখে ঐ সময়কার সময়টা খুব মিস করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে মূল বিষয়টা হচ্ছে ঢাকার শহরে বেশিরভাগ বাসাগুলি হচ্ছে বিল্ডিং এর ভিতরে ফ্ল্যাট বাই ফ্লাট করা সুতরাং কারো সাথে কারো ওইভাবে দেখাবার সাক্ষাৎ হয় না। কিন্তু ঢাকার মধ্যে অনেক ফ্যামিলি বাসা এই রকম আছে যেগুলি কিনা টিনসেট এর মতন করে গড়ে তোলা যেখানে দেখবেন একে অন্যের সাথে অনেক ভালো মিল আবার অনেক ঝগড়াঝাটি হয়ে থাকে। আসলে দিনশেষে এটা সত্যি যে সবাই ঢাকা শহরে কর্মজীবী নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে কিন্তু গ্রামের বাড়িতে গেলে এই বিষয়টি ঠিক তার উল্টো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা এক ধরনের যান্ত্রিক মেশিন। তাদের মধ্যে মনুষত্ব আছে বলে কোন কিছু বুঝাই যায়না। এবং কি কেউ কারো পাশে আসতে চায়না। আর গ্যাস বেই বা কিভাবে। কার পরিবার কার সাথে কথা বলবে তখন ফ্যামিলি নিয়ে হবে আরো বড় যামেলা। তার চাইতে নিজে নিজের মত থাকা ভাল মনে করে সবাই। আর আপনি স্বাধীনভাবে ছাদে উঠেন। আলো-বাতাস খান এবং কি ভালো একটা সময় উপভোগ করেন। হয়তো আপনি ফ্রি সময় টা বাসায় থাকেন। আপনি একজন গৃহিনী তাই আপনাকে বাইরে যেতে হয়না। আপনি ভালো একটা সময় পান এবং কি আপনার কেয়ারটেকারের সাথে একটা সম্পর্ক হয়েছে সবদিক মিলিয়ে আপনার দিনটি ভালোই চলে যায়। আপনার কেয়ারটেকার ভাইয়ের ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করে কাকগুলোকে খাওয়ানো এটা আসলে কয় জনে করে। মনের ভিতরে একটা মনুষত্ব আছে। উনি প্রকৃতিকে সত্যিই ভালোবাসে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে কথায় আছে জীবে প্রেম করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর। আসলে এই যে জীবে যে প্রেম করে সে সবসময় ই সকলের উপকারে থাকে। কারণ তার মনটা থাকে একেবারেই সরল।আপনাকে দেখতেও খুব মিষ্টি লাগছে আপু। তবে একটু হাসলে ভালো লাগে কিন্তু খুব আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।