মতিচুরের লাড্ডু || @shy-fox 10% beneficiary
আশাকরি সকলে ভালো আছেন। সবার সময় ভালো যাচ্ছে, এই কামনাই করি। যাইহোক বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার অতীত জীবনের একটা গল্প শেয়ার করব। আশা করি আমার যারা পাঠক আছে , তাদের কাছে বিষয়টি ভালো লাগবে ।
তখন গ্রামে থাকতাম। বয়স কত হবে সম্ভবত ছয় থেকে সাত । মোটামুটি তখন কেবল চারপাশ সম্পর্কে হালকা হালকা আবছা ধারণা আমার মনে জন্ম গ্রহণ করতে থাকলো । মানে চারপাশের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হতে শুরু করলাম। খুব যে একটা উন্নত জায়গায় থাকতাম, সেটা কিন্তু বলব না । ঐ যে বললাম, গ্রামে থাকতাম। মোটামুটি সেখানকার কালচার ও নিয়মকানুনের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম ।
ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা-চাচারা কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল । বলতে পারেন কৃষিকাজ আমাদের পরিবারের প্রধান এবং শেষ উপার্জনের একটা মাধ্যম ছিল । হয়তো সময়ের বিবর্তন হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাবা চাচারা সেই পেশার সঙ্গে কিন্তু এখনো আছে। মানে এখনো তারা কৃষিকাজের সঙ্গেই সম্পৃক্ত ।
প্রতিদিন ঘুম থেকে সকালবেলা উঠে দেখতাম। বাবা সেই সকাল বেলা মাঠে কাজের জন্য চলে যেত এবং মাঠ থেকে ফেরার সময় কাঁধে করে অনেকগুলো ঘাস কেটে নিয়ে আসতো। মূলত সেগুলো ছিল আমাদের বাড়ির গরুর খাদ্যের জন্য। যাই হক সকাল বেলার সময়টা বাবার এই ভাবেই কেটে যেত কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল যখন হয়ে যেত, তখন সবার দিন শেষে একটা বিনোদনের জায়গা তৈরি হতো মূলত আমাদের গ্রামের পাশের বাজারকে কেন্দ্র করে ।
প্রতিদিন হয়তো বাবা বাজার থেকে খুব একটা বেশি নাস্তা নিয়ে আসতে পারতো না । তবে বিশেষ করে হাটের দিনগুলোতে বাবা আমার জন্য মতিচুরের লাড্ডু নিয়ে আসতো । সেই সময়কার লাড্ডুর যে কি পরিমাণ একটা টেস্ট ছিল, সেটা হয়তো আমার মুখে এখনো লেগে আছে ।
একবার তো সেই আমি এক কাণ্ড ঘটিয়ে ছেড়েছিলাম । একবার বাবা হাটের দিনে মনের ভুলে আমার জন্য লাড্ডু নিয়ে আসেনি বাজার থেকে। তখন আমি কি যে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলাম, সেটা আমার এখন মনে পড়লে অনেকটা হাসি পায় । আমার মনে আছে , আমি লাড্ডুর জন্য সেই দিন রাতের বেলা ভাত পর্যন্ত খাই নি । যাইহোক অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ একটা বিষয় ।
এতগুলো কথা বলার একটাই মানে, আজকে শায়ানের আব্বু বাজার থেকে লাড্ডু কিনে নিয়ে এসেছে । সময়ের পরিক্রমায় মতিচুরের লাড্ডু গুলোর অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমি জানিনা এই লাড্ডুর মাঝে, আমার বাবার নিয়ে আসা সেই লাড্ডুর স্বাদ ফিরে পাব কিনা । তবে এই লাড্ডু দেখে আমার সেই অতীতের কথাগুলো মনে পড়ে গেল । মনে হচ্ছে এই তো সেদিন, উফ অতীত সত্যিই আবেগপ্রবণ । সময়গুলোতেও কত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেল ।
মতিচুরের লাড্ডু টা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে তো আপু খুবই মজা হয়েছে। কিন্তু মতিচুরের লাড্ডু টা এই নামে শুনলাম প্রথম। আর কখনো খাওয়াও হয়নি এই লাড্ডু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা রেসিপি লাড্ডু শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনার পোষ্টটি আমি সম্পূর্ণ পড়লাম। আমাদের দেশে কৃষি কাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান কখনই খুব একটা ভালো থাকে না। শিশু বয়সে অপরিপক্ক বুদ্ধির কারণে আমরা অনেক সময় অনেক হাস্যকর কাজ করে ফেলেছি যা এখন মনে পড়লে হাসি পায়। কিন্তু পূর্বের ওই ভালোবাসা আর ওই সময় কখনই ভুলে যাবার নয়। ব্যক্তি মানুষের জীবনে সেই স্মৃতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অম্লান হয়ে থাকে। আপনার মতিচুর লাড্ডুর গল্পটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপু আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ একটি বিষয়। অতীতকে নিয়ে চিন্তা করলে খুবই ভালো লাগে আপনার শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য খুবই ভালো লাগলো। তবে সেই শৈশবের লাড্ডুর স্বাদ এখন আর পাওয়া যাবে না। তবে যাই হোক সেই স্মৃতিগুলো সারাজীবন মনের মধ্যে রয়ে যাবে। আপনার সুন্দর স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে আমারও সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদের গ্রামের বাজারে হাট বসতো শুক্রবার এবং শনিবার। আব্বুর সাথে হাটে যাইতাম, আমার প্রিয় ছিলো বাদামটানা। আমাকে নিয়ে বজারে গেলেই বাদামটানা খাওয়া হতো। আপনার মতিচুরের লাড্ডুর ছবি দেখে মনে পড়ে গেলো সেই সোনালী অতীত। আপনাকে ধন্যবাদ অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
একটা সময় ছিল যখন গ্রামের মানুষের প্রধান উপার্জনের মাধ্যম ছিল কৃষিকাজ। গ্রাম এলাকায় প্রতি সপ্তাহে একদিন বড় আকারে বাজার লাগতো সেদিন বাজারে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যেত। স্থানীয় খাবারগুলো খেতে বেশ ভালোই লাগতো। আপনার ছোটবেলার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমাদের এলাকায় মতিচুর লাড্ডু পাওয়া যায় না তবে স্থানীয় বেকারির লাড্ডু পাওয়া যায় সেগুলো খেতে বেশ মজা লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপু,আপনার এই পোস্ট পড়ে আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। যদিও আপনি লাড্ডুর জন্য বায়না ধরতেন,আর আমি শন-পাপড়ি খাওয়ার জন্য বায়না ধরতাম।আব্বু যখনই চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসতো তখন নিয়ে আসতো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।