বান্ধবীর বাড়িতে একদিন||@shy-fox 10% beneficiary
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খুব, বেশী কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধু একটা পাশে থাকার মত, মানুষ থাকলেই আমার মনে হয় যে পুরো জীবনটা আরো সুন্দর হয়ে যায়।
আজ যার কথা বলব, সে আর অন্য কেউ না। আসলে সে আমার বাল্যকালের বান্ধবী। আমাদের গ্রামেই তার বিয়ে হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব আজকে। আশাকরি আমার পাঠকদের ভালো লাগবে।
যেহেতু ওর বাড়ি আমাদের গ্রামেই ছিল, তাই ওর বাবা চাচ্ছিল যেহেতু ও ছোট মেয়ে তাই তাকে গ্রামেই বিয়ে দেবে। এই চিন্তা থেকেই মূলত আর কি ওর বিয়ে আমাদের গ্রামেই হয়ে যায়।যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সে আসলে মূলত আমাদের গ্রামে কিছুটা কাজের জন্য এসেছিল এবং সে এসে তাদের বাড়িতেই উঠেছিল এবং তার বাবা তাকে পছন্দ করেছিল এবং সেখান থেকে তার মেয়ের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল।
প্রথমদিকে সব কিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিলো। তবে পরবর্তীতে অভাবের কালো ছায়া সংসারে দেখা দিয়েছিল এবং তারা ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে চলে গিয়েছিল গ্রাম ছেড়ে,সেই সুদূর বড় শহরে গিয়েছিল। যাইহোক যদিও প্রত্যেক পরিবারের গল্প গুলো কিছুটা একই রকম, তবে এদের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন ছিল। কারণ তারা শহরে গিয়ে চাকরি পেয়েছিল না এবং পরবর্তীতে সেখানে অনেক কষ্ট করেই তারা চাকরি পেয়েছিল এবং সেখানে অনেকগুলো অর্থ জমিয়েছিল।
যদিও ওরা শহর ছেড়ে আসতে চেয়েছিল না। তবে শহর ছেড়ে না এসেও তাদের কোন গতি ছিল না। কারণ করোনার সেই ভয়াল ছোবল তাদেরকে গ্রাস করেছিল এবং তারা বাধ্য হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে এসেছিল। তবে তাদের কিন্তু আর অন্যদের মতো সমস্যা হয়নি কারণ তাদের সেই জমানো অর্থ গুলো তারা গ্রামে এসে বিভিন্ন কাজে লাগিয়েছিল এবং তারা মোটামুটি এখন ভালোই আছে।
গ্রামে জমির দাম স্বল্প হওয়ার কারণে 22 শতক জায়গার উপর, তারা বাড়ী করেছে এবং মূলত তাদের বাড়ীটা ছোট কিন্তু জায়গার পরিমাণটা বড় হওয়ার কারণে বাড়িতে গরুর খামার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছে। যার কারণে মোটামুটি এই দিকটা থেকে একটা অর্থনৈতিক সাপোর্ট পায় তারা এবং মূলত ও সবদিক থেকে গ্রামে থাকার জন্য খুব বেশী কিছুর দরকার হয় না। তবে শুধুমাত্র নিজেদের ইচ্ছে শক্তি থাকলেই ভাল ভাবে বেঁচে থাকা যায় গ্রামীণ পরিবেশে।
যাইহোক আজকে সকালবেলা, যখন আমার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলাম গল্পগুলো তার মুখ থেকেই শুনেছিলাম। সব মিলিয়ে তার কাছে গল্প গুলো শুনতে ভালোই লাগল। কারণ দীর্ঘদিন পরে তাদের মুখে, তাদের জীবনের কথা শুনলাম এবং তারা যে এখনো ভালোভাবে সুস্থভাবে বেঁচে, এটাই অনেক কিছু।
আপনার গল্পটা আমার খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে
এই টুকু পরে খুবই কষ্ট লেগেছে। আসলে কোভিট-১৯ এর কারনে অনেকেই তাদের স্বপ্ন পূরন করতে পারে নাই,অনেকের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। হয়তো চাইলেও সেই স্বপ্ন আর পূরণ হবে না।
সঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে আপনার বান্ধবীর জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।ছোটবেলার বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকে। পুরনো এবং ছোটবেলার বান্ধবীদের সাথে দেখা হলে গল্প যেন শেষই হয়না। আপনার এবং আপনার বান্ধবীর জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনার বান্ধবীর জীবন সংগ্রামের কাহিনীটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।আপনার বান্ধবীর মধ্যে ছিল প্রবল ইচ্ছা শক্তি।তার ইচ্ছা শক্তি এবং আল্লাহর অশেষ রহমত তার ভাগ্যে পরিবর্তন এনেছে।খুব ভালো লিখছেন আপু।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য সেই সাথে আপনার বান্ধবীর জন্য রইলো শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
অনেক সংগ্রামের জীবন বলা যায় আপনার বান্ধবীর। আপনার হয়তো অনেকদিন পর আপনার বান্ধবীর সাথে দেখা। এতে করে আপনি খুবই আনন্দিত। করোনার এই ভয়াল থাবাতে অনেক পরিবার বাধ্য হয়েই গ্রামে চলে এসেছে।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।