বেশ কিছু কাজ গুছিয়ে অবশেষে শহরে ফেরা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। দীর্ঘ ১৭ দিন পর আজ শহরে ফিরছি। আমি এসেছিলাম মূলত বেশকিছু কাজ হাতে নিয়ে। যেহেতু সামনেই ঈদ তাই বাসায় ফিরতে হবে। বেশ কিছু কাজ পরে গেছে বাসায়। আর তাছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার একটা ব্যাপার থাকে কারণ ঢাকা থেকে আমার ভাসুরের পরিবার আসবে ঈদে।তাই সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে বাসায় গিয়ে। গ্রামে বেশ কিছু জমি নিয়েছি সেগুলো আমার বাবাকে দিয়েছিলাম চাষাবাদ করতে। গতকাল ধানের কাজ মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে। তাই ভাবছি এখন বাসায় ফেরা যাক। ঈদের পর আবার আসতে হবে কারণ গ্রামের বাড়িটা ঠিকঠাক করা চিন্তাভাবনা করছি।
ভাবছি একেবারে গ্রামে শিফট হয়ে যাব। কারণ শহরে কাজকর্ম সেরে একা হাতে বাবুকে সামলানো আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।আর শহরের বাসায় থাকলে আমার ছেলেটা মোবাইলের প্রতি অনেক আসক্ত হয়ে পড়ে। যেটা চাইলেও ছাড়াতে পারিনা। এটা যত দিন যাচ্ছে ততই বেড়ে যাচ্ছে। তো যাইহোক গতকাল ছিল আমাদের ধান বিক্রি করার পালা। ধান বিক্রি করার পুরো দায়িত্বটা আমার এবং আপনাদের ভাইয়ার ওপরে ছিল। এরপর সবগুলো ধান বিক্রি করে টাকা বুঝে নিয়েছিলাম ব্যাপারীর কাছে থেকে।
সত্যি কথা বলতে এটা আমার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিল। এই প্রথমবার নিজেদের চাষ করা ফসল বিক্রি করলাম।ভেবেছিলাম আরো কিছুদিন থেকে বাড়ির জন্য ইট সিমেন্ট বালি কিনে রাখবো। হঠাৎ করে গতকাল থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই ভাবলাম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঈদের পরে একেবারে কাজ শুরু করব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
দায়িত্বটা আপনাদের উপরে থাকাই আপনার অনুভূতিটা সত্যি অনেক দারুন ছিল। আর আমার মনে হয় শহর অঞ্চল থেকে গ্রাম অঞ্চলে অনেক বেশি আরামদায় আর আপনি যদি এবার গ্রামের শিফট করেন সে ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন যেগুলো হয়তো বা শহরে থাকাকালীন পেতেন না। যেমন খোলা আবহাওয়া এবং কোনরকম যানজট ছাড়া জীবন যাপন যেটা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই অনুভূতিটা আমার কাছে অন্যরকম ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে থাকার আলাদা আনন্দ ।ঈদের সময় গ্রামে যায় আমার আর আসতে ইচ্ছে করেনা নিজের বাড়ি থেকে।দায়িত্ব আপনাদের উপর থাকায় বেশ কিছু কাজ গুছিয়ে শহরে এলেন।আর গ্রামে একবারে শিফট করলে তো আলাদা শান্তিতে থাকতে পারবেন।ভালো লাগলো পোস্টটি ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুব তাড়াতাড়ি গ্রামে শিফট করবো আপু। আশা করছি সেখানে আমার ভালো সময় কাটবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যখন কেউ একা হাতে বাচ্চাকে সামলায় তখন বাচ্চারা মোবাইল কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে যায়। আপনার বাবুর ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে আপু। আর বাবু ওর নানীকে অনেক পছন্দ করে। আশা করছি গ্রামের বাড়িতে শিফট হলে আপনার অনেক সুবিধা হবে। ফসল বিক্রির টাকা হাতে পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু বাবু ওর নানীকে এবং খালামণিকে খুবই পছন্দ করে যেটা। যেটা ওর দাদু বাড়িতে পায় না কারণ সবাই এখানে চাকরিজীবী। কেউ সেই ভাবে তাকে সময় দিতে পারেনা। আশা করছি সব মিলিয়ে বেশ ভালো হবে গ্রামে থাকাটা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শহর এলাকার থেকে গ্রামের পরিবেশটা বাচ্চাদের জন্য সত্যি অনেক ভালো। আপু এবার আপনি নিজের হাতে নিজেদের তৈরি করা ধান ফসল বিক্রি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে কিছুদিনের মধ্যে আপনারা ইট এনে বাড়ি তৈরি করবেন জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপু।
শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামে বেশ ভালোই চাষাবাদ করেছে দেখছি। ধান তো অনেক হয়েছে। আসলে শহরে বাচ্চারাই বা কি করবে। রুমের মধ্যে বন্দি থাকে তাদের কিছু করার থাকে না তাই ফোনে আসক্ত হয়ে যায়। আর সেটা নিয়ে চিন্তা হয় বাবা-মার। এই বার বাড়ির ইট, সিমেন্ট কেনা হয়নি তো কি হয়েছে ঈদের পরে যেয়ে কিনেন। প্রথম চাষাবাদ থেকে ফসল উৎপন্ন করে সেগুলো নিজের হাতে বিক্রি করার আনন্দটাই অন্যরকম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এবারের ফসল বেশ ভালো হয়েছে। আর বেশ ভালো দামেও বিক্রি করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে বিষয়টা আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ বেশ ভালো লাগলো আপু জানতে পেরে আপনারা যে গ্রামে শিফট করবেন। গ্রামের পরিবেশ বেশ ভালো লাগে যেহেতু গ্রামে অনেক জায়গা জমি কিনলেন একেবারেই গ্রামে শিফট হলেই ভালো হবে। হয়তো বাবু বড় হয়ে গেলে চিন্তা ভাবনা করে আবার শহরে আসবেন। আর ধান বিক্রির টাকা পেলেন অনেকগুলো আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে আপু।
বাবু যখন পড়াশোনা শুরু করবে তখন শহরের দিকে আসার চিন্তাভাবনা আছে আপু। ততদিন পর্যন্ত গ্রামে থাকবো। মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত রইলো আপু যে কোন সময় চলে আসবেন। ধন্যবাদ।
শুভ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে আগেই জানতে পেরেছিলাম আপনারা গ্রামে শিফট হবেন। এই সিদ্ধান্তটা সত্যিই দারুণ হয়েছে। এতে করে আপনার চাপ অনেকটা কমে যাবে। কারণ গ্রামে তো শায়ানকে সামলানোর মানুষ আছে। যাইহোক ধান বিক্রি করে তো বেশ ভালোই টাকা পেয়েছেন আপু। এই অনুভূতিটা আসলেই অসাধারণ। দোয়া করি গ্রামে তাড়াতাড়ি যেনো শিফট হতে পারেন এবং শুভ ভাইয়ের উন্মুক্ত পাঠাগারের কাজ তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য। সত্যি গ্রামে গেলে আমার উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে।
নিজেদের চাষ করা ফসল যেহেতু প্রথমবারের জন্য বিক্রি করলেন, এক্ষেত্রে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হবে, এটাই স্বাভাবিক আপু। তবে আপনি যে গ্রামে শিফট হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা চিন্তা করছেন, এটা জেনে আমি খানিকটা অবাক হলাম। কারণ আপনাদের বাবু আস্তে আস্তে বড় হবে, তাকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রামে থাকলে কি সেটা সম্ভব...? যাইহোক, আপনি যেহেতু একা হাতে সবকিছু করতে পারছেন না, এক্ষেত্রে আপনার যেটা ভালো মনে হয় সেটাই করবেন।
বাবু স্কুলে ভর্তি হতে আরো অনেকটা সময় আছে ভাইয়া। ততদিন পর্যন্ত আমাকে গ্রামে থাকতে হবে কারণ বেশ কিছু জমি চাষাবাদ করার চিন্তা মাথায় এনেছি এবং ততদিনে সংসারটা একটু গুছিয়ে নিতে হবে। তারপর আবারও হয়তো শহরে ফিরব।যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
একা ঘরে একা একটি বাচ্চা থাকলে এক সময় না এক সময় যেকোনো ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে পরে।আর গ্রামের বাড়ির ধুলা-বালি মেখে বড় হলে ডিভাইসের কথা আর মাথায় ও আসবে না।আপনারা গ্রামে শিফট হবেন জেনে ভালো লাগলো। এরপর ছেলে বড় হলে তখন যা ভালো হয় তাই করা যাবে।নিজের জমির ফসলের টাকা হাতে পেয়েছেন, যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপাতত গ্রামে গিয়ে থাকার চিন্তা ভাবনা করছি। এরপর ছেলে বড় হলে তার ভালো পড়াশোনার জন্য অবশ্যই শহরে ফিরব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।