মেহমানদারি || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি আজকে আমি খুবই খুশি। আর কি কারণে খুশি সেটা আপনার সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। আসলে আজকে আমার বাসায় আমার বড় ভাইয়া এসেছিলো দাওয়াত করতে। তার ছেলের আকিকা এজন্য করতে এসেছিল। আমি তাদের জন্য অনেক কিছু রান্না করেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব এবং আমার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমি যখন ছোট বাবু নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে শহরে বাসায় চলে এসেছিলাম তখন আমার আত্মীয়-স্বজন সবাই খুব মন খারাপ করেছিল। তারা বলেছিল বাবু টা আরেকটু বড় হোক তারপর তুই যাস। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড কোন কথা শুনেনি। আমাকে ওখান থেকে নিয়ে এসেছে। এজন্য ওরা একটু মন খারাপ করেছিলো।
অনেকদিন পর কালকে আমাকে আমার বড় ভাইয়া ফোন করে বলে যে "আমি কালকে তোর বাসায় যাব তোকে দাওয়াত করতে।"ততক্ষণ আমি খুব খুশি। ভাবলাম আমার ভাইয়ের জন্য অনেক কিছু রান্না করবো। যদিও আমি ছোট বাচ্চা নিয়ে তাদের জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। তবে আমি কিছু কিছু তার পছন্দমতো রান্না করার চেষ্টা করেছি। তো আমার খুবই ভালো লাগছে তার জন্য কিছু করতে পেরে। আমার নিজের কোন ভাই নেই তারা এখন আমার আপন ভাই।
আমি তাদের জন্য মুরগির মাংস, সাদা পোলাও, বেগুন ভাজি, আলু ভাজি এবং সালাদ বানিয়েছিলাম। প্রথমে আমি তাদেরকে চা-নাস্তা দিয়েছিলাম। আমি সামান্য কিছু তাদের জন্য রান্না করেছি। তবে তারা খুব খুশি, আমিও খুশি। এতদিন পর তাদের অভিমান ভেঙেছে। আমি খুবই কৃতজ্ঞ তাদের কাছে। আমি পরশু তাদের বাসায় যাব। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার মুহূর্তগুলো। আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটাবো আশা করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুরক্ষিত থাকবেন এবং নিজের পরিবারের লোকজনদের নিয়ে ভালো থাকবেন। আমার পরবর্তী ব্লগ দেখার জন্য স্বাগতম।
ধন্যবাদ সবাইকে
আপনার বাসায় একদিন মেহমান হিসেবে যেতে হবে তাহলে ভরপুর খাওয়া-দাওয়া করাও হবে আবার আপনার মেহমানদারি ও উপভোগ করা যাবে। শহরে থাকলে গ্ৰামের বাড়ির ২-১ জন লোক বাসায় আসবে স্বাভাবিক। আপনি যে খুব যত্নের সাথে অতিথিদের আপ্যায়ন করেছেন সেটা ছবি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে তাছাড়া খাবারগুলো কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল।
মান-অভিমান যত বেশি তাকে, সম্পর্কে তত বেসি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, অনেক ভালো লাগলো আপনার বড় ভাইয়া সাথে কাটানো মুহূর্তের গল্পটি পরে, আশা করি আপনার ভাইয়ার বাসায় জেয়েও অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটাবেন, ধন্যবাদ আপু
ভালো ছিলো,আপু আসলে নিজের বাড়িতে ভাই আসলে অন্যরকম ভালো লাগে,আর যদি নিজের হাতের রান্না দিয়ে আপ্যায়ন করা যায়।তাহলে তো কথাই নাই। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাসায় মেহমান আসলে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় প্রিয় মানুষগুলো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে। কারণ প্রিয় সেই মানুষগুলোকে তাদের পছন্দের খাবার খাওয়াতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি ছোট বাবুকে নিয়েও অনেক সুন্দর করে অনেক মজার মজার রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগল আপু। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
আপু প্রিয় মানুষগুলো যখন তাদের কাছে আসে সেই মুহুর্ত টা খুবই আনন্দের। তার মধ্যে আপনি সকলকে ছেড়ে চলে আসার দীর্ঘদিন পর দেখা হলে কেমন লাগতে পারে তা তো আর ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
খুবই ভালো লাগলো আপনার অনুভুতি গুলো জেনে। আর খাবারের আয়োজনও বেশ দারুণ হয়েছে।
ধন্যবাদ সবাইকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এবং আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাহ আপনার মেহমানদারী দেখে খুবই ভালো লাগলো ।মেহমানদের খুব সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে খাওয়ালেন। একসময় আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবেন তাহলে অনেক খুশি হব শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনজনেরা এরকম হয় আপু বেশিক্ষণ অভিমান করে থাকে না ,তাদের অভিমান ভেঙ্গে ঠিকই আমাদের কাছে চলে আসে। আসলে এভাবে যদি আমাদের আপনজন আমাদের সাথে দেখা করতে চলে আসে তাহলে খুবই ভালো লাগে। আপনার মুহূর্তটা অনেক আনন্দ ছিল সেটা আমরা আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । আপনার মেহমানদারীর সকল ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল