শায়ান বাবু যখন নানার দেশে ||@shy-fox 10% beneficiary
আমরা প্রায় দুই মাসের মত হচ্ছে, গ্রাম থেকে শহরে নতুন বাড়িতে চলে এসেছি। এবং যার কারণে মোটামুটি আমাদের আগে যে জায়গায় ছিলাম মানে আমার গ্রামের বাড়িতে, তাদের সঙ্গে একটু দূরত্ব তৈরী হয়ে গিয়েছে । এবং তারা প্রতিনিয়ত আমাকে ফোনে বলে যে, গ্রামে যাওয়ার জন্য । যাইহোক খুব একটা বেশি সময় করে উঠতে পারছিলাম না , বিধায় গ্রামে যাওয়া হচ্ছিল না । তবে যেহেতু আমার প্রিয়তম এবার একটু সময় পেয়েছে , তাই আমরা একদিনের জন্য শায়ানের নানির বাড়িতে যাচ্ছি ।
যদিও শায়ানের নানি বাড়িতে যাওয়ার পিছনে একটু কারণ আছে। মূলত যে কারণটা ,সেটা হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত । আমার বাবার কিছু পৈত্রিক জমি ছিল , সেগুলো আরকি অন্য এক লোকের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছিল। আর সবথেকে বড় বিষয় , সেটা একটা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেই সময়ে বন্ধক রাখা হয়েছিল । যাইহোক মোটামুটি এখন সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে, তাই আমরা সেই জমিগুলো এবার ফিরে নিতেই মূলত গ্রামে চলে এসেছি ।
গত কয়েকদিন থেকে সেই লোকজন গুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছিল এবং আমরা তাদেরকে বলেছি যে, আমরা এবার জমিজমা গুলো ফিরিয়ে নিতে চাই। তারাও আমাদেরকে মোটামুটি ভালোভাবেই আশ্বাস করেছে, যার কারণে আজকে আমরা গ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি ।
আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে, কারণ দীর্ঘদিন পরে আবার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। মোটামুটি শহরের জীবনে একটানা অনেক দিন থাকার পরে, অনেকটা একঘেয়ামি এসে গিয়েছে। আর যেহেতু ঐ গ্রামে আমি ছোট থেকেই বড় হয়েছি, তাই ঐ গ্রামের প্রতি আমার একটা আলাদা দুর্বলতা আছে। আর এটা থাকা, আমি মনে করি ভীষণ স্বাভাবিক । দুপুরের পরে আমাদের অটো গাড়ির ড্রাইভারকে কল করা হয়েছে,মূলত বাড়ি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ।আমাদের একটা অটো গাড়ি আছে, মূলত এটা আমার এক আত্মীয়কেই দেয়া হয়েছে, ভাড়ায় চালিত হিসাবে ।
আজ শায়ান বাবু মোটামুটি ভালই খুশি, কারণ দীর্ঘদিন পরে সে তার নানি বাড়িতে যাচ্ছে। এবং আমরা দুপুরের পরে রওনা দিয়েছি, মোটামুটি আধাঘন্টার মাঝেই আমরা শায়ান বাবুর নানী বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছি এবং আমাদেরকে দেখে মোটামুটি গ্রামের লোকজন খুবই খুশি হয়েছে এবং আমরা ভালোই আনন্দিত হয়েছি, তাদের আপ্যায়নে ।
যাইহোক সর্বোপরি যে কাজের জন্যে এসেছি, তা যেন খুব ভালোভাবে হয়ে যায় সেই চিন্তা এখন মোটামুটি করছি এবং একদিন থাকবো এখানে এবং তারপরে পুনরায় আমাদেরকে আবারো সেই শহরে জীবনে ফিরতে হবে। কারণ বাস্তবতা বড়ই নির্মম । আসলে দিনশেষে বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই থাকতে হবে, এটাই মূলত শেষ কথা ।
মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সীকার হয়।তখন আর অন্য কোন রাস্তা থাকে নাহ।আপনার শায়ানের জন্য দোয়া করি তাকে যেন আল্লাহ সুস্থ রাখে।আপনার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় মিটিয়ে আসুন সেটাই প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
বাবু নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে তার নানু বাড়িতে যেতে পেরে। অনেক সময় চার দেয়ালের মাঝে বন্ধ থাকতে থাকতে ভালো লাগে না। তাই গ্রামের খোলা হাওয়ায় একটু ঘুরে আসলে ভালই লাগে। এছাড়া আপনি যেহেতু গ্রামেই বড় হয়েছেন তাই গ্রামের প্রতি আলাদা মায়া রয়েছে। একদিকে সবার সাথে দেখা করা হয়ে যাবে অন্যদিকে আপনার উদ্দেশ্য হাসিল হবে। আপনি যেন সব সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি করতে পারেন এই কামনাই করি আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
নানার বাড়ির কথা শুনলেই এমনিতেই আনন্দে মনটা নেচে ওঠে। যদিও সায়ন বাবু এখনো বুঝে না তবুও সায়ন বাবুর খুশির সীমা নেই। সায়নবাবুর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন তাড়াতাড়ি আল্লাহ তাকে বড় করে দেন। হোক যাই হোক নিজের বাপের বাড়ির কথা মনে হলে এমনিতেই আনন্দের সীমা থাকে না। তার মধ্যে শহরের জীবন বলতে গেলে জেলখানা। মানুষ বিপদে পড়লে জমিজমা বন্ধক রাখে এবং সচ্ছলতা ফিরে আসে সেটা বন্ধক ছুটিয়ে নেন। এগুলো স্বাভাবিক যদিও উদ্দেশ্য ছিল জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে কাটছিট করা নিয়ে পাড়ি দেওয়া। কিন্তু আনন্দ হচ্ছে বাড়িতে যাওয়া আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখাশোনা করা এবং কি আনন্দ ফুর্তি করা। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া যে আপনাকে সময় করে আপনাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পেরেছে,সেটা শুনে খুশিই হলাম আপু। শায়ান বাবুর জন্য অনেক ভালোবাসা রইল। সে সবসময় ভালো থাকুক এবং সুস্থ থাকুক, এটাই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
শায়ান নানা বাড়ী গেল, এটাইতো অনেক খুশির খবর। ভাল থাক শায়ান বাবু পরিবার।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
হুম আপু ঠিক বলেছেন আপনি, সবার দিনশেষেই বাস্তবতাটাকেই কেন্দ্র করে আমাদের সকলেত চলতে হয়।এটা ছাড়া আর কোনো উপায় ই নেই। শায়ান বাবু দেখি ঘুম ও গেলো।