ছবি যখন কথা বলে
ছবির যে মানুষগুলোকে দেখছেন, এই মানুষগুলো আমার বাড়ির খুব কাছেই থাকে আর এদের জীবনটা অনেকটা অন্যরকম এবং আমি সেই বিষয়ে কিছুটা চেষ্টা করব ধারণা দেওয়ার জন্য। ছবির যে বয়স্ক ভদ্রলোক কে দেখছেন সে হচ্ছে এই বাড়ীর কর্তা। তার একটা ছেলে আছে এবং তার ছেলেটা জন্মগতভাবে বোবা এবং কিছুটা অটিজমে আক্রান্ত।
কিন্তু ছবিতে যে মহিলা কাজ করছে, সে হচ্ছে তার ছেলের বউ। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে এই সময়ে এসে এই মহিলাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ছেলের সঙ্গে। আসলে বিষয়টা অনেকটা জোর পূর্বক বলা যায়, কারণ মেয়েটার বাড়ির আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। যার কারণে তার ফ্যামিলির লোকজন কিছুটা চাপের মধ্যে পরেই সেই অটিজম ছেলের সঙ্গে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছে।জগত সংসারে কার ভাগ্যে কি লেখা আছে, এটা আগে থেকে বলা খুব মুশকিল। হয়তো মেয়েটার অন্য কোনো ভালো জায়গায় বিয়ে হতে পারতো। যদি মেয়েটার বাবার আর্থিক অবস্থা ও মেয়েটার শিক্ষাগত যোগ্যতা কিছুটা ভালো থাকতো। কিন্তু নিয়তির পরিহাস বড়ই নির্মম।
ঘুম থেকে উঠে যখন আমি বাড়ির সামনে বের হয়েছি, তখন দেখি সেই বয়স্ক লোক ও তার ছেলের বউ মিলে কাজ করছে। এবং তারা যে কাজটা করছে, সেটা হচ্ছে একটা বেড়া বানানোর চেষ্টা করছে। কারণ গত রাতে ঝড় বৃষ্টিতে তাদের বাড়ির সামনের বেড়া ভেঙে গিয়েছে। এজন্য তারা নতুন করে নিজেরাই বেড়া বানাচ্ছে। বাড়ির কাজে অবশ্য কোনো লজ্জা নেই কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু চিন্তাভাবনা আমাকে নাড়া দিয়ে যায়। কারণ এই যে বয়স্ক লোক এই মেয়েকে দিয়ে এই কাজগুলো করে নিচ্ছে, এই জিনিসটা আমাকে অনেকটা সময় চিন্তায় ফেলে দেয় কারণ সেই মেয়েটা কিছুটা নিজের শখ আল্লাদকে বির্সজন দিয়ে, এমন সব ভারী কাজে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। এমন ঘটনা শুধু আমার বাড়ির পাশেই না, আমি মনে করি এর থেকেও আরো অনেক কঠিন কঠিন ঘটনা আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
নারী শব্দটার সঙ্গেই বহু ত্যাগ তিতিক্ষা।
একদম সঠিক কথা বলেছেন।
জগৎটা বড়ই বিস্ময়কর এবং ধাঁধালো।কিছুই বুঝে উঠা যায় না।
একদম সঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনের তাগিদে মানুষ কষ্টের কাজ করতে ও দ্বিধা বোধ করে না! এইটাই মানুষের জীবন।