ওল কচুর সুস্বাদু রেসিপি || @shy-fox 10% beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনা করছি।

সবাইকে আমার রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি নতুন একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। তাজকে আমি রান্না করেছি ওলের তরকারি। তো সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। অনেকেই মনে করেন যে ওল খেলে গলা ধরে। যেগেতু আমরা পড়েছি "ও তে ওল, ওল খেলে গলা ধরে"। আমি মনে করে শুধু এটা পড়াতে শোভা পায় বা আমাদের মুখে শোভা পায়। কারণ আমি এ যাবত যতদিন ওলের যত রেসিপি খেয়েছি যেমনঃ ভর্তা, ভাজি,ওল দিয়ে মাছের ঝোল কিংবা ওলের ঝোল। কখনোই আমার বা বাসার কারো গলা ধরে নাই। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমি কিভাবে এই রেসিপি টা বানিয়েছি।

20221117_132326.jpg

উপকরনসমূহঃ

ওল
পেঁয়াজ কুচি
কয়েকটি গোটা কাঁচামরিচ
আদা-রসুন বাটা
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া
শুকনা মরিচের গুঁড়া
গরম মসলা
গোটা জিরা
হলুদ গুঁড়া
লবণ
তেল

ধাপ-১

প্রথমে আমি ওল গুলো পিস পিস করে কেঁটে নিয়েছি এবং ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।

InShot_20221121_155935496.jpg

ধাপ-২

এরপর ওল গুলো লবণ, হলুদ এবং শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে আমি ওল গুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।

PhotoCollage_1669024706305.jpg

ভাজা হয়ে গেলে আমি এমনি কয়েক পিস খেয়েছিলাম। আমার ভিষন ভালো লাগে।

ধাপ-৩

ওল গুলো ভাজা হয়ে গেলে আমি তুলে নিয়ে একই তেলে গোটা জিরা এবং গরম মসলা ফোড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে আমি পেঁয়াজ কুচি এবং গোটা কাঁচামরিচ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

PhotoCollage_1669024747622.jpg

ধাপ-৪

পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে আমি একে একে সব মসলা দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা ভালোভাবে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি। এরপর আগে থেকে ভেজে রাখা ওল গুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।

PhotoCollage_1669024917945.jpg

ধাপ-৫

এপর্যায়ে আমি রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত। আমি এখানে এই পানি দিয়ে রান্নাটা করে নেবো। কারণ ওল গুলো যেহেতু আমার আগে থেকে ভাজা হয়ে গেছে সেগুলো অনেকটাই সেদ্ধ হয়ে গেছে তাই আর বেশি পানি দেবোনা আমি। পরিমাণ করে পানিটা দিয়েছি যেহেতু আমি এটা ভুনা টাইপের করবো এজন্য অল্প পানি দিয়ে আমি রান্নাটা করে নিয়েছি। এরপর আমি কিছুক্ষণ রান্না করার পর যখন ঝোল গায়ে গায়ে লেগে থাকবে ওলের তখন আমি রান্না টা নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করেছি।

PhotoCollage_1669024979897.jpg

আমার এই রেসিপিটা খেতে দুর্দান্ত সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা অবশ্যই রেসিপিটা বাসায় একদিন ট্রাই করবেন। আর যদি আমার রেসিপিটা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দেবেন।দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে।

সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 2 years ago 

আপু আগে শুনতাম যারা ঝগড়াটে তাদের নাকি ওল কচু বা যেকোনো কচু খেলে গলায় ধরে।আসলে তা ভুল।সত্যি এটাই,যাদের এলার্জি আছে, একমাত্র তাদেরই গলায় ধরে। যাই হোক আমি ওলকচু কখনও খাইনি আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে খুব মজার হয়েছিল। সুযোগ
হলে কখনও ট্রাই করে দেখব। অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আসলে আপু এগুলো মানুষের কিছু কথার কথা। যাইহোক একদিন খেয়ে দেখবেন আমার বিশ্বাস এটা আপনি পছন্দ করবেন। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

যেকোনো কচু জাতীয় তরকারি আবার ভীষণ পছন্দ।ওল কচু খেতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আসলে আপু ঠিকভাবে রান্নার পদ্ধতি জানলে এই কচু খেতে গলায় ধরে না।আপনার রন্ধন প্রণালী আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। দেখেই খাওয়ার উপযুক্ত মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

আমারও সব জাতীয় কচুই খেতে ভালো লাগে। সেটা কচুশাক থেকে শুরু করে সব। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

সত্যি বলেছেন আপনি। ওতে ওল খেলে ধরবে গলা। এটি আসলে বইতে মানায়। আমিও যতদিন ওল কচু খেয়েছি আমারও কখনো গলা ধরে নি। তবে আপনার মত করে ওলকচু ভেজে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমি আমার মাকে এভাবে ওল ভেজে রান্না করতে দেখেছি। তাই আমিও এভাবেই রান্না করি। খেতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

অনেকে বলে যে বেশি ঝগড়াটে ওল কচু কিংবা কচু তার গলায় ধরে😅। আর আপনি তো অনেক ভালো মানুষ। তাই তো আপনার গলা ধরে না আপু। সেই সুবাদে আপনার পরিবারের সবাই আরাম করে খেতে পারে। ওল কচুর রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন আপু। দারুন ছিল আজকের রেসিপি। আপনার রেসিপি মানেই তো লোভনীয় কিছু। জিভে জল আনার মত রেসিপি শেয়ার করেন আপনি। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।

 2 years ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।🙏 আপনিও অনেক ভালো আপু। আপনাদের কাছ থেকেও কিন্তু নতুন নতুন রেসিপি শিখতে পারি।❤️

 2 years ago (edited)

আপু ছেলেবেলায় মায়ের মুখ শুনতাম, ওল খেলে তাদেরই গলা ধরে যারা ঝগড়াটে। যেহেতু আপনার গলা ধরেনি, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি ঝগড়াটে নয়। যাই হোক ওল আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। আপনি বিভিন্ন মসলার সমন্বয় একটি ইউনিক এবং অনেক সুন্দর রেসিপিটি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ওল খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে।

 2 years ago 

ওল কচুর সুস্বাদু রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু।খুব সুন্দর ভাবে রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন আপনি। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আমি এই পর্যন্ত অনেক বার ওলের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু আমারও কখনো গলা ধরেনি।আপনার ওলের রেসিপি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে ওলের তরকারি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

সবাই বলছে যারা নাকি ভালো তাদের গলা ধরে না। তার মানে আপনিও খুব ভালো তাই আপনারও গলা ধরে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ওল কচুর নামটি শুনলেই মনে হয় কেমন যেন গলা ধরবে । আসলে এই কচুগুলোতে খুব একটা গলা ধরে না । তবে আপনার আজকের রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে । খুব সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন । প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন । বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।

 2 years ago 

হুমম আপু আমি যতবার খেয়েছি একবারও আমার বা আমার বাসার কারো গলা ধরা দেখি নাই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 64103.87
ETH 2762.96
USDT 1.00
SBD 2.65