ছোটদের চড়ুইভাতি || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনা করছি।
আমি গতকাল বাবার বাড়িতে এসেছি।গতকাল আমি ১১ টা নাগাদ বাবার বাড়িতে এসেছি। আসার পর আমি সারাদিন বাড়িতেই সময় কাটিয়েছি। সন্ধ্যায় একটু বাসার বাহিরে বের হয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তো কিছু বাচ্চার চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছিলাম। তো আমি এগিয়ে গিয়ে দেখার চেষ্টা করি যে ওরা কি করছে। তো আমি ওদের কাছে যাই হাঁটতে হাঁটতে কাছে গিয়ে দেখি এই ওরা চুলায় কি যেন রান্না করছে।
আমি ওদেরকে জিজ্ঞেস করলাম "তোরা এখানে কি করিস?" তো ওরা বলল যে ওরা চড়ুইভাতি খাচ্ছে। আমি দেখলাম যে ওরা কি সুন্দর খড় দিয়ে মাটির বড় চুলায় ছোট্ট একটা পাতিলে রান্না করছিল। আমি বললাম "ঢাকনাটা একটু উঠা দেখি কি রান্না করছিস।" ওরা লজ্জা পাচ্ছিলো খুব। ওরা দেখাবে না আমাকে। আমি একপর্যায়ে জোর করে ওদের কাছে দেখি যে ওরা শুধু সাদা ভাত রান্না করছে। আমি বললাম "তোরা এগুলো কি দিয়ে খাবি।" ওরা বলতেছে আলু সেদ্ধ দিয়েছি ভাতের মধ্যে। আলু ভর্তা করে খেয়ে নেবে।
আমি বেশ খানিকক্ষণ ওদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এবং ওদের আনন্দ গুলো দেখছিলাম। এইরকম আমরাও অনেক খেয়েছি ছোটবেলায়। আমি ভাবছি এর পরের বার বাড়ি এলে আমরা সবাই মিলে এরকম বড় করে চড়ুইভাতী করব। তো আমি দেখছিলাম ওরা কি সুন্দর অল্প অল্প করে খড় নিয়ে জ্বাল দিচ্ছিল আর বারবার ঢাকনাটা খুলে দেখছিল যে রান্নাটা কতদূর। আমি অবশ্য পরে ওদের খাওয়া দাওয়া দেখেছিলাম। ওরা কি সুন্দর করে ভর্তা বানিয়ে খাচ্ছিল কিন্তু আমি পরে মোবাইলটা নিতে ভুলে গেছিলাম এজন্য পরের ছবি গুলো তুলতে পারিনি।
আসলে ছোটবেলাটা কত সুন্দর ছিল। আমার ওদের এত আনন্দ দেখে ক্ষণিকের জন্য মনে হচ্ছিল আমি ওদের সঙ্গে ছোট হয়ে যাই। যাইহোক কি আর করা। চাইলেই তো ছোট হয়ে যেতে পারবো না কিন্তু ছোটবেলার আনন্দ হয়তো একটু হলেও আমরা নিতে পারব। এই জন্য ভেবেছি আমি পরের বার আসলে বড় করে একটা চড়ুইভাতী করব। যেগুলো আমি আপনাদের সাথে পরবর্তীতে অবশ্যই শেয়ার করব।
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ছোটবেলায় আমরাও অনেক চড়ুইভভাতে খেলেছি আপু। আমরা ভাত রান্না করতাম, শাক রান্না করতাম, মাছ রান্না করতাম,আলু ভাজি করতাম, যখন একটু বড় হয়েছে তখন থেকে মুরগির মাংস ও রান্না করতাম। যাইহোক ওদের চড়ুইভাতি দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। শুধু ভাত রান্না করেছে, তাও তিন চুলায় রান্না বসিয়েছে,এদেরকেই বলে অবুঝ শিশু 😁।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলে ওদের পাতিল টা এত ছোট ছিল যে অন্য চুলায় বসছিল না। তাই আর কি এই চুলায় দিয়েছিল। যাইহোক আমার ওদেরকে কাছে খুব ভালো লেগেছে।
আমি যখন ছোট ছিলাম নানুর বাড়িতে একবার এর রকম চড়ুই ভাত রান্না করে খেয়েছিলাম। যাই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই ভালো লাগে। ছোট ছোট সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আসলে আর বেশি খাওয়া হয়নি। আমরা যারা শহরে থাকি তারা এগুলো করার সুযোগ থাকে না। ওদের চড়ুইভাত রান্না করা দেখে ছোটবেলার কথাটি মনে পড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন ছোট ছিলাম তখন অনেক চড়ুইভাতি খেয়েছিলাম। এখন বড় হয়ে গেছি এই আনন্দগুলো মজাগুলো আর পাইনা। আর আমাদের শহরের বন্দী জীবনে এসবের কোন প্রশ্নই ওঠে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটদের চড়ুইভাতি দেখে আমার শৈশবকালের কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও ছোটবেলায় অনেক চড়ুইভাতি খেলেছি।আসলে আমরাও ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে চড়ুইভাতি খেলতাম।ভাত,মাছ,মাংস ও ভর্তা এগুলো বানাতাম।অনেক ভালো লাগত। আগের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার এই পোস্ট দেখে মনে হয়েছিল অল্প সময়ের জন্য কল্পনার মধ্যে দিয়ে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। আমরা ছোটবেলায় অনেক চড়ুইভাতি খেলেছি। এই চড়ুইভাতি খেলার শেষে সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের সময় এই চড়ুইভাতি খেলতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আমিও কিছুক্ষণের জন্য ওদের সঙ্গে ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম।অনেকক্ষণ ওদের সঙ্গে বসে সময় কাটিয়েছিলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের গ্রামের বাড়ি একটা বাঁশ বাগান ছিল, সেই বাঁশ বাগানের ভিতর আমরা বন্ধুরা মিলে এরকম রান্না করে খেতাম। তেতুলের খোলার ভিতর চাল এবং হালকা একটু জল দিয়ে তার ভিতর একটু
নুন দিতাম। তারপর সেগুলো আগুনের উপর বসিয়ে দিতাম মোটামুটি ১০ মিনিটের ভিতরে ভাত রান্না করা হয়ে যেত এবং সেটা খেতে একটু টক টক লাগতো। তাছাড়াও দিদিদের সাথে অনেক সুন্দর এরকম চড়ুইভাতি করে খেয়েছি। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপনার এই পোস্ট পড়ে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে আমাদের ছোটবেলা গুলো কত মধুর হয়।😪
ছোটবেলায় আমরাও এভাবে চড়ুইভাতি খেতাম। সত্যি ছোটবেলার দিনগুলো অনেক মধুর ছিল। এখনো মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা। সবার বাড়ি থেকে একটু একটু করে লবণ, মরিচ, তেল, সবকিছু নিয়ে আর একটি করে ডিম ও চাল নিয়ে রান্না করে খেতাম। আসলে সেই দিনগুলো আর কখনো ফিরে আসবে না। আপনার পোস্ট পড়ে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল আপু।
সবার বাড়িতে যখন লবণ-মরিচ এগুলো তুলতে যেতাম মাঝে মাঝে কারো কারো মা অনেক গালি দিত। আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে আবার সেগুলো আনতাম। বেশ ভালো ছিল সময় গুলো। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ছোটবেলায় এরকম চড়ুইভাতী সবার জীবনেই ঘটেছে মনে হয় । তবে বাচ্চারা যে শুধু আলু দিয়ে ভাত খাবে বিষয়টা আমার কাছে বেশ খারাপ লাগলো। এর পরের বার গেলে আপনি বড় করে চড়ুইভাতী করে বাচ্চাদের নিয়ে খাবেন বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো । ভালো ছিল ধন্যবাদ।
আপু এগুলো ওদের নিত্য দিনের কাজ। ওরা দু একদিন পরে এরকম ভাবে খায়। আর আমি ওদেরকে এবার বলে এসেছি আমি এবার বাড়িতে গেলে বড় করে চড়ুইভাতি করব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি ওদের সঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছি গল্প করেছি এবং ছবি তুলেছি। ওরা অনেক খুশি হয়েছিল ছবি তোলা দেখে। ওরা সুন্দরভাবে হাসছিল এবং কিছু কিছু কথা বলছিল যেগুলো শুনে আমিও হাসছিলাম। খুবই ভালো সময় কেটেছিল আমার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে চেলেবেলায় হারিয়ে গেলাম।ছোটবেলা নানু বাড়ি গেলে আমরা ছোটরাও এভাবে চড়ুইভাতি খেলতাম।আপনার পোস্টটি পড়ে সেই ছেলেবেলায় চলে গেলাম।ফটোগ্রাফিগুলো সেই দিনগুলিতে নিয়ে গেল।মধুর সেই দিন আর আসবে না ফিরে। কি যে ভাললাগা ছিল তা মনের পাতায় থেকেই যাবে।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যাক সবাইকে কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।