ছেলের জন্মদিনের কিছু মূহুর্ত❤️❤️❤️
"হ্যালো",
ইতিমধ্যে সবাই জানেন ২৮ আগস্ট আমার ছেলের জন্মদিন ছিল। সবাই ওকে অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা জানিয়েছেন। এতে সত্যিই আমি আপনাদের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। সন্তানের যেকোনো বিশেষ দিনে বাবা-মার অনেক ব্যস্ততা থাকে। আমাদেরও তেমনটাই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আজ তিন দিন যাবত প্রচুর মাথা ব্যথায় ভুগছি কিন্তু তারপরও ছেলের জন্মদিনে আনন্দ করতে হবে। ভেবেছিলাম সন্ধ্যায় পোস্ট লিখতে বসবো কিন্তু অনুষ্ঠান করে এসে আবারো প্রচুর মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিল তাই এই মাঝরাতে লিখছি।
তো আমরা প্রথমেই রেডি হয়ে সবাই চলে গিয়েছিলাম চাটনি রেস্টুরেন্টে। কিছু কাছের আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত করেছিলাম সবাইকে সেখানে চলে যেতে বলেছিলাম। তো আমরা গিয়ে দেখি তখনও কেউ আসেনি। আমরা কিছু ফটোশুট করে নেই। কিন্তু আমার ছেলের সামনে ক্যামেরা ধরলে তার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সে যে কি দুষ্টুমি করে আপনারা সেটা না দেখলে কখনো বুঝতে পারবেন না। এযাবত কখনো স্থির ভাবে ওর কোন ছবি তুলতে পারিনি আমি। যাইহোক এই দুষ্টুমির মধ্যে যেই গুলো ছবি তুলেছিলাম সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ফটোগ্রাফি করতেই মোটামুটি সবাই চলে আসেন। এরপর নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে আমরা মূল পর্বে চলে যাই। তো প্রথমে আমাদের কেক কাটার পর্ব চলে এরপর আমরা সবাই মিলে আরও কিছু ফটোগ্রাফি করি। বাবু বেলুনে ভীষণ ভয় পায়। তাই আজকের ডেকোরেশনে আমরা কোনো বেলুন বা অন্যান্য কোনো আর্টিফিশিয়াল কিছু রাখিনি।রেস্টুরেন্টে যেমন ভাবে সাজানো ছিল ঠিক সেভাবেই আমরা অনুষ্ঠানটি করেছি।
যেহেতু খাবার আগে থেকে অর্ডার করা ছিল তাই কেক কাটার পর্ব শেষ হয়ে গেলে সবাইকে খাবার দেওয়া হয়।মেনুটা আপনাদেরকে আগেও বলেছি আবারো বলছি আমাদের মেনুতে ছিল ভুনা খিচুড়ি, চিকেন কষা, ডিম ,সালাদ,চাঁটনি।এখানে অনেক খাবারই খাওয়া হয়েছে তবে জন্মদিনে অর্ডার করা প্লেটার এর খাবারটা বেস্ট ছিল।
এরপর সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে বাবুকে সবাই কিছু উপহার দিয়েছিল। যদিও আগে থেকেই বলেছিলাম কারো কাছে কিছু নিব না। তারপরও অনেকেই ভালোবেসে বাবুকে অনেক উপহার দিয়েছে। ভালোবেসে দিলে তো আর না করা যায় না। 😉
তো যাই হোক আমি বলেছিলাম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব ভালো সময় কাটাবো। আসলেই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি সবার সঙ্গে। বারবার ফিরে আসুক আমার ছেলের জীবনের এই দিনটা। বাবা মা এবং সন্তানকে নিয়ে কখনো লিখতে বসলে লেখা শেষ হবে না। তাই আমিও আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। আমার অনুভূতি গুলো অন্য একদিন সুন্দরভাবে শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনাদের সাথে। ছেলে আমার সব সময় সুস্থ থাকুক সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক এই শুভ কামনায় আমি মা হিসেবে আমার সন্তানের জন্য করব। আপনারা আমার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন সে যেন সুন্দর এবং সুস্থভাবে পৃথিবীতে বেড়ে ওঠে।
আজ এখানেই শেষ করছি। প্রচন্ড অসুস্থ লাগছে আর বেশি কিছু লিখতে পারছি না। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পর্বে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রথমেই জানাই বাবুকে জন্মাদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এমন দিন বারবার ফিরে আসুক ওর জীবনে সেই দোয়ায় করি। আসলে আপু বাচ্চারা স্হির ভাবে বসে থাকার লোক না। যাইহোক আপু সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শায়ানকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভালো একজন মানুষ হয়ে বড় হয়ে উঠুক এই কামনাই করি।সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। খাবার ও খুব ভালো ছিল।পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।
হ্যাঁ আপু দোয়া রাখবেন সব সময় যেন আমি আমার পরিবার এবং সন্তান নিয়ে ভালো থাকি। আপনার পরিবারের জন্যও শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে বাবুর জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আগামী দিনগুলো যেন বাবুর অনেক ভালো কাটে শুভকামনা রইল বাবুর জন্য।জন্মদিনের আন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়ে সুন্দর অনুভুতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।আপনার কাটানোর সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমাদের ছোট্ট কিউট শায়ান বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। আমার খুব ইচ্ছে ছিল শায়ান বাবুর জন্মদিনে অংশগ্রহণ করার। এবং সেভাবে সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছিলাম তবে ঠিক সেই মুহূর্তে বিধি যেন বাম হয়ে দাঁড়ালো, আমার অর্ধাঙ্গিনী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই আর মনের আশা পূরণ করতে পারলাম না আপু। তবে একদিন সময় সুযোগ করে অবশ্যই যাবো। আমাদের প্রিয় শায়ান বাবুর জন্মদিন ভালোভাবে উদযাপন হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। শায়ান বাবুর জীবনে এই খুশির দিনটি যেন বার বার ফিরে আসে এই প্রত্যাশা করছি। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে খুবই খুশি হতাম। যাই হোক ভাইয়া ভাবীর দ্রুত সুস্থ কামনা করছি। সময় সুযোগ হলে অবশ্যই চলে আসবেন ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে করেই নিলেন বাবুর জন্মদিনের প্রোগ্রাম। তাও আবার আমাদের কে ছাড়া। তাতেও কোন অসুবিধে নেই বাবু শান্তি তো সব শান্তি। বেশ হাসিখুশিভাবে পরিবারের সকলের সাথে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন মনে হচ্ছে। দোয়া রইল বাবুর জন্য বাবু যেন সব সময় থাকে দুধে ভাতে।
আপদেরকে ছাড়া কোথায় করলাম আপু আপনার তো সব সময় মনে মনে ছিলেন। ❤️ জ্বী আপু বেশ হাসিখুশি ভাবে পরিবারের সঙ্গে সময়টা ভাগ করে নিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে বাচ্চাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এসব ছোট করে হলেও আনন্দ দেওয়া দরকার। তারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়। তবে বাবু এখনো ছোট তাই আবদার করতে পারছে না। কিন্তু আরেকটু বড় হলে অনেক ধরনের আবদার করবে আপু। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন মাথা ব্যাথা থাকার সত্বেও। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ভালো লাগলো। বাবুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
তবে সন্তানের ছোট ছোট আবদার পূরণ করতে অনেক ভালো লাগে।এখনই আমার বাবুর যে অবস্থা বড় হলে যে কি হবে সেটাই শুধু দেখার অপেক্ষা। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাবুকে আবারো জানাই তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তার জন্মদিনে দেখছি বেশ ভালো আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনারা। আর ছেলের জন্মদিনে মা আনন্দ করবে না এটা তো হয় না। খাওয়া-দাওয়া ও নিশ্চয়ই অনেক ভালোভাবে করেছিলেন। আবারো বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। যেন সে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আর তার জীবনটা হাসিখুশি ভাবে কাটে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই জানাই বাবুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।বাবু যেন সবসময় সুস্থ থাকে এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে এই শুভকামনা রইল ।বার বার জন্মদিন ফিরে আসুক এবং আপনারা সবাই আনন্দ করুন এটাই প্রত্যাশা। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের জন্মদিনের কাটানো মুহূর্তগুলো।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আল্লাহ তায়ালা আপনার ছেলেকে নেল হায়াত দান করুক, আমিন! এমন দিন যেন বারবার ফিরে আসে এমনটাই আশা করছি! সবাইকে নিয়ে দারুণ মোমেন্ট অতিবাহিত করেছেন।
জ্বি ভাইয়া সবাইকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ভালোবাসার শায়ান বাবুর জন্য। জন্মদিনটা হাসিখুশি ভাবে কাটিয়েছিলেন দেখে বুঝতে পারছি। শায়ান বাবুর জন্য অনেক অনেক আদর এবং ভালোবাসা রইল সব সময়। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই দোয়া করি যেন শায়ান বাবু মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। আর আপনাদেরকে সারা জীবন এরকম ভাবেই যেন হাসিখুশি রাখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। দোয়া রাখবেন ভাইয়া বাবুর জন্য।