হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা কিছু ফটোগ্রাফি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।আমি গতকাল হাসপাতালে গিয়েছিলাম এটা আমি গত পোস্টে বলেছি। আমরা যখন গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি আমার শ্বশুর কোন একটা কাজে বাহিরে গিয়েছেন। আমাদেরকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল।কারণ তার রুমে তালা দেওয়া ছিল। এ দিকে বাবা ফোন করে বললেন প্রায় আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা আরো সময় লাগবে তার হাসপাতালে ফিরে আসতে। তখন আমরা বাহিরে হাঁটাহাঁটি করছিলাম।
একজন আঙ্কেল এসে বললেন যে ভিতরে গিয়ে বসতে। তো আমরা ভিতরে গিয়ে বসতে বাবু কিছুতেই ওই রুমের মধ্যে থাকতে চাচ্ছিল না আসলে প্রচুর পরিমাণে গরম ছিল আর কারেন্ট ছিল না। যেহেতু আমরা সবার পরিচিত ছিলাম তাই অনেক ডাক্তার আন্টি আঙ্কেল এবং বিভিন্ন কর্মচারী এসে গল্প করছিলেন। এদিকে আমার ছেলের দুষ্টুমি তো কিছুতেই কমছে না। তারাও তাকে দেখে বেশ খুশি হলো এবং অনেক দোয়া করলো। কিন্তু আমার পক্ষে ওই গরমের মধ্যে থাকা আর সম্ভব হচ্ছিল না। পরে আমি বাবুকে আমার জা এর কাছে রেখে বাহিরে চলে আসলাম। বাতাস করার জন্য একটা হজিরা খাতা জোগাড় করে দিয়েছিলাম।
বাহিরে প্রত্যেকটা বিল্ডিং এর সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান লাগানো ছিল যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি করি এখানে বিভিন্ন ধরনের ঘাস ফুল ছিল, বিভিন্ন ধরনের মানি প্লান্ট ছিলো, গোলাপ গাছ ছিল। গোলাপ গাছটাতে এত গোলাপ ফুটেছিল যে আমার অনেক ভালো লাগছিল দেখতে। তখন আমি আমার জা আর বাবুকে বাহিরে ডেকে নেই এই ফুল গুলো দেখার জন্য। বাবু তো ফুল দেখে ভীষণ খুশি ও বারবার ফুল গুলো ছিড়তে চাচ্ছিল।
এই ফুল গুলোর মধ্যে সবথেকে নজর কেড়েছিল আমার এই হলুদ ফুলটি। আমি জানিনা এই ফুলটার নাম কি। সবুজ গাছের মধ্যে গাঢ় হলুদ ফুল কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝানো যাবে না।এই মাসে যেহেতু আমি বাসা চেঞ্জ করবো তাই ভাবছি কিছুদিন পর গিয়ে আমি এখান থেকে কিছু চারা সংগ্রহ করবো। কারণ এখানে অনেক আনকমন ফুল গাছগুলো আছে যেগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ঘাসফুল।
প্রায় এক ঘন্টা পর আমার শ্বশুর ফিরে এসেছিলেন। তাই আমরা সেখানে গিয়ে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ সেরে বাসায় চলে এসেছিলাম। যদিও কারেন্ট ছিল না বিরক্তিকর অবস্থা ছিল তারপরও এই ফুল গুলো দেখে এবং পরিবেশটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল।
তো এই ছিল আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুলের সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে গোলাপ এবং কসমস ফুলের সৌন্দর্য হৃদয় ছুড়ে গেলো। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জ্বী ভাইয়া ঠিক বলেছেন ভুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক আর যে কোন ফুলই দেখতে সুন্দর লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির ফোনে সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনি বেশ দারুণ দারুণ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা ফুলের ফটো দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে কসমস বলে সৌন্দর্য আমার হৃদয় কেড়েছে। বরাবরই কসমস ফুলটি আমার অনেক পছন্দের। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হাসপাতালের নাম শুনলেই বুকের ভিতর টা কেমন করে উঠে।আর হাসপাতালে গিয়ে অপেক্ষা করাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়।অনেক সময় বসে থাকতে হবে দেখে বাইরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করার সময় অনেক সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে।অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাবি।
ঠিক বলেছেন হাসপাতালের নাম শুনলে বুকের ভিতরটা কেমন জানি করে ওঠে। আর এই গরমে অপেক্ষা করাটা আসলে কষ্টকর ছিল আমার জন্য। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমানে বিদ্যুতের কি অবস্থা কখন আসে কখন যায় বোঝায় মুশকিল।। এত গরমের কষ্ট দূর হতো বিদ্যুতের এত আপডাউন জীবন যেন দুর্বিসহ।। হাসপাতালের মধ্যে কিছুটা সময় অবস্থান করে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ফ্রেমবন্দি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।।।
হাসপাতালে ভিতরের ঘরগুলোতে অনেক গরম ছিল। যার কারণে বাহিরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে এই ফুলগুলো আমি দেখেছিলাম এবং সাথে সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম যা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হাসপাতালে গিয়ে খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাহিরে থাকাটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য যার কারণেই হয়তো ছোট ছোট বাচ্চারা স্থির থাকে না আপনার বাবুর ক্ষেত্রে হয়তোবা সেটাই ঘটেছিল। যাইহোক বাহিরে এসে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাবুর অনেক গরম লাগছিল বুঝতে পারছিলাম কিন্তু তারপরও অনেক দৌড়াদৌড়ি করছিল। আসলে সব সময় বাসার মধ্যে বন্ধ থাকে তো খোলা জায়গা পেলে একদম দৌড়াদৌড়ি করে শুধু। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
হসপিটালে গিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। শ্বশুরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে গরমে রুমের ভিতর থাকতে না পেরে বাইরে এসেছেন এবং বাইরে এত সুন্দর ফুল দেখে ফটোগ্রাফি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ফুল দেখলে খুবই ভালো লাগে। গোলাপ ফুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল। আর কারেন্ট আর গরমের কথা কি বলব কারেন্ট আর গরমের জন্য সবার জীবনে যেন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই গরমে সবার জীবন যেন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টি যে কতটা প্রয়োজন তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ভ্যাপসা গরম। যাইহোক আপু পুরো পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
হাসপাতাল থেকে তো খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন আপু ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আজকাল সব জায়গায় ফুলের বাগান করে রাখেন দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি তো আপনার শ্বশুরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কিন্তু সেই ফাঁকে ফটোগ্রাফি গুলো করে নিলেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করবেন অসাধারণ হয়েছে আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন। হাসপাতালে শশুরের জন্য অপেক্ষা করার মুহূর্তে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। একটা ফুলের ফটোগ্রাফি ছিল অতি চমৎকার