সুন্দর একটি বিকেল কাটানোর মূহুর্ত
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। মাঝেমধ্যে বাহিরে ঘুরতে যাওয়া হয়। আজকেও বিকেল বেলা একটু বাহিরে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।সেখানে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি এবং বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আর সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বাবু সারাদিন ঘরে থাকলেও বিকেল তিনটার পর ও অস্থির হয়ে যায় বাহিরে বেরোনোর জন্য। আর আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ওকে বাহিরে খোলামেলা পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার। আমি মাঝেমধ্যে সংসারে কাজে ব্যস্ত থাকলে ওর বাবাই বেশিরভাগ সময় ওকে বাহিরে নিয়ে যায়। আমিও চেষ্টা করি সব কাজগুলো আগেভাগে সেরে ফেলার কারণ আমারও বিকেল টাইমে বাসায় থাকতে একদম ভালো লাগে না। আর ওরা যখন একা একা আমাকে ফেলে চলে যায় তখন আমার সময় কিছুতেই কাটতে চায় না। তাই আমিও ওদের সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়।
আমাদের ছোট্ট শহরে বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরার মত তেমন কোন জায়গা নেই দু একটা স্কুল মাঠ ছাড়া। তাই বারবার ঘুরেফিরে সেই জায়গাগুলোতেই যাওয়া হয়। আমরা বেশিরভাগ সময়ই মুক্তমঞ্চের এই মাঠটাতেই বেশি যাই। কারণ এই জায়গাটা অনেক সুন্দর আর এখানে অনেক বয়সের লোকজন ঘোরাফেরা করে অনেক মহিলারা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসেন। আমার ছেলের এখানে আসলে খুবই খুশি হয়। এই মাঠে প্রত্যেকদিন একটা গরু বাধা থাকতো।হয়তো গরুটা আশেপাশে কোন এক লোকের। কিন্তু আজকে যখন আমরা মাঠে যাই তখন গরুটা ছিল না। বাবু বারবার আমাকে বোঝাতে চাইছিল গরুটা আজকে নেই কেন। তো কিছুক্ষণ পর একটি মহিলা দেখি সেই গরুটি বাঁধতে এসেছে। আর বাবু গরু দেখার সাথে সাথে অনেক খুশি হয়ে যায়।
যাইহোক আমরা সেখানে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটিয়েছি। আপনারা প্রথমের ফটোগ্রাফিটি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছিল। আর গাছের ফাঁক দিয়ে লাল সূর্যটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে আপনাদের ভাইয়া বলল কফি খাবে। তো আমরা একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকি।এরপর দুইটা কফি অর্ডার দিয়ে বাবুর জন্য একটি নুডুলস অর্ডার করলাম এবং তাদেরকে বললাম যেহেতু বাবু খাবে তাই তেল মসলা যেন কম দেয়। তো উনারা সেই ভাবেই সুন্দর করে বাবুর জন্য একটি নুডুলস বানিয়ে দিয়েছিলেন। আর বাবুও সেটা খুব মজা করে খেয়েছে।
এরপর রেস্টুরেন্টের খাবারদাবার শেষ করে আমরা বাসায় চলে আসি। তো এই ছিল আমার আজকের ঘোরাঘুরির মুহূর্ত। সত্যি কথা বলতে আমার ছেলের সঙ্গে ঘোরাফেরা থেকে শুরু প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমি বেশ উপভোগ করি। যাইহোক বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন আপু শহরে ঘোরার জায়গা খুব কম থাকে। এজন্য একই জায়গায় বারবার যেতে হয়। তাছাড়া এরকম মাঠ পাওয়া তো বেশ মুশকিল। আপনারা তো তাও সুন্দর একটি মাঠ পেয়েছেন। বেশ ভালই করেছেন বাবুকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে। আবার শেষে বেশ লোভনীয় খাবার ও খেয়েছেন। ভালো লাগলো দেখে।
জ্বি আপু আমাদের বাসা একদম মেইন রোডের সঙ্গেই। ইচ্ছা থাকলেও বাসার সামনে রাস্তায় বের হতে পারি না। তাই বাবুকে নিয়ে এরকম খোলা মাঠে যেতে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
শহরকেন্দ্রিক জায়গাগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ফাঁকা জায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে যাইহোক মাঝে মাঝে এই খেলার মাঠে গিয়ে সময় কাটান জেনে ভালো লাগলো তবে যদি ফটোগ্রাফি করেন তাহলে নদীর পাড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো ফটোগ্রাফি করা যায় আবার নদীর পাড়ে সময়টাও বেশ ভালো কাটে। বাবুর জন্য কম তেল এবং মসলা দিয়ে নুডুলস অর্ডার করেছিলেন তাহলে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টটা বেশ ভালো যেহেতু আপনার মনের মতই হয়েছিল।
নদীতে যেতে হলে আমাদের শহর থেকে একটু দূরে যেতে হয়। তাই সবসময় সময় হয়ে ওঠে না সেখানে যাওয়ার। তাইতো এই মাঠেই বেশিরভাগ সময় যাওয়া হয়। যাইহোক ভাইয়া ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
মন এবং মাইন্ড ফ্রেশ রাখতে হলে ভালো থাকতে হলে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই বাহিরে ঘুরতে হবে আর বিকেলের সময়টা হলে তো কোন কথাই নেই।
বিকেলের সময় বাবুকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন।
শেষে এসে খাবারের ফটোটা দেখে ইচ্ছে করছে আমিও বসে যাই আপনাদের সাথে খাবারটা খেতে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই ভাইয়া আপনি আমাদের সঙ্গে বসতে পারেন। 🤭
বিকেল বেলা খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু যেটি আপনার ফটোগ্রাফি দেখেও বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার পরিবারের জন্যও শুভকামনা রইল।
আসলে আপু সারাদিন পরিশ্রম করার পরে বিকেলে যদি একটু রেস্ট নিতে পারা যায় তাহলে খুব ভালো লাগে। সবাই চেষ্টা করে সারাদিন কাজকর্ম শেষ করে শেষ বিকেলের দিকে একটু ঘুরতে। বা কোথাও খোলা আকাশের নিচে গিয়ে একটু বসতে। যতটুকু এই সময়টাই ব্যয় করা যায় এই সময়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে অনেকটা ফ্রেশ লাগে। মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে। একঘেয়ে জীবন কখনোই মানুষের সুখ বয়ে আনতে পারে না। তাই আমাদের উচিত বিকেল বেলার দিকে একটু ঘোরাফেরা করা এবং মানসিকভাবে সতেজ থাকা যায়।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া একঘেয়েমি জীবন কখনোই মানুষের সুখ বয়ে আনতে পারেনা। আসলে সারাদিন এত কাজকর্ম করার পর বিকেলবেলা একটু মন ভালো করার জন্য প্রকৃতির মাঝে যাওয়ার জন্য মনটা কেমন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলেই এই বয়সের বাচ্চাদেরকে বিকেল বেলায় ঘরে আটকে রাখানো খুবই মুশকিল হয়ে যাই। বাইরে যেয়ে খেলা করতে চাই এবং ঘোরাফেরা করতে চাই। নিজেরা হলে তো ঘরের মধ্যে থাকা যায় কিন্তু বাচ্চারা যখন থাকে তখন আর ঘরের মধ্যে তেমন একটা থাকা সম্ভব না। খুব সুন্দর সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন বাবুকে নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
জ্বী আপু এই বয়সের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকানো খুবই মুশকিল।সকাল থেকে তিনটা পর্যন্ত কোন ভাবে আটকাতে পারি কিন্তু তিনটার পর তাকে কোনোভাবেই ঘরে রাখা যায় না। তাইতো বিকেলে বাহিরে বের করতে হয় একটু খোলামেলা পরিবেশে। খুব সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শহর এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর মতো অনেক জায়গা আছে তবে সন্ধ্যার প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য দরকার সবুজ প্রকৃতি। যেটা শহর এলাকায় অনেকটাই কম। শহর এলাকায় তো মানুষের অধিক বৃদ্ধির কারণে ফাঁকা জায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে আপনার বিকেল বেলার কাটানো মুহূর্তগুলো বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিকেল বেলায় যদি একটু বাইরে বের হওয়া যায় তখন তারা একটু বাহিরের পরিবেশটা উপভোগ করতে পারে। আর আপনারা যেহেতু বাসায় থাকেন তাই মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে বের হলে বাবুর কাছে খুব ভালো লাগবে। ভাবো অনেক খুশি হয় বাহিরে গেলে এটা তো হওয়ারই কথা। বাচ্চারা পশু পাখি দেখলে অনেক খুশি হয়, তাই তো গরুটাকে দেখে সে অনেক খুশি হয়েছিল। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কপি খেয়েছিলেন এবং বাবু নুডুলস খেয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।
যে বাচ্চাগুলো শহরে বড় হয় তারা গরু ছাগল ইত্যাদি দেখলে একটু বেশি খুশি হয়।আমার বাবার বাড়িতে যখন যায় তখন তাকে নিয়ে গরুর সামনে বসে থাকতে হয়। যাইহোক আপু ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বিকেলে একটু ঘোরাঘুরি না করলে আসলেই ভালো লাগে না। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য এমন খোলামেলা পরিবেশে নিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এখন খোলামেলা জায়গার খুবই অভাব। আপনারা পুরোটা বিকেল দারুণ কাটিয়েছেন। তারপর হালকা খেয়ে বাসায় ফিরেছেন। পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মানসিক বিকাশের জন্য খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাঘুরির বিকল্প কিছু নেই। তাইতো হাজার ব্যস্ত থাকলেও বিকেলের সময়টুকু তাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি আমরা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।