তার দুষ্টামির কিছু অংশ
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সবার দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
ছেলের দুষ্টুমি নিয়ে নতুন কিছু আর কি বলি। আসলে তার দুষ্টুমি শুধু আমি আর আমার আশেপাশে যারা থাকে বা ওকে যারা একবার দেখে তারাই একমাত্র জানে যে ওকি পরিমাণে দুষ্টমি করে এবং কতটা দুষ্ট। ছোট বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমার ছেলেটা একটু অতিরিক্ত দুষ্টমি করে। আমি এইটুকু বয়সের কোনো বাচ্চাকে এত দুষ্টুমি করতে কখনোই দেখিনি। যা আমি ওর ক্ষেত্রে দেখতে পাই।
ছোট বেলায় বেশ শান্ত শিষ্ট ছিল। কখনো বোঝা যেত না যে বাসায় কোনো ছোট বাচ্চা আছে কিন্তু নয় মাস বয়স থেকে যখন হাঁটা শিখল। তখন থেকে ওর দুষ্টুমি শুরু হয়ে গেল। সেই থেকে চলছে তো চলছেই। আমার ছেলেটা হামাগুড়ি দেয়নি 8 মাস বয়সে দাঁড়িয়েছে এবং 9 মাস বয়সে হেঁটেছে। সেই সকাল থেকে শুরু হয় তার কর্মকাণ্ড।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি উঠতে উঠতেই ও দৌড়ে আগে বাবার রুমে যাবে। গিয়ে বাবাকে ঘুমের মধ্যে নাক ধরে টানবে কান ধরে টানবে মোবাইল নিবে আরো কত কাজ তার বাবার রুমে। এরপর সেখান বের করে এনে ফ্রেস করাতে বেসিনে নিয়ে যায় শুরু হয় তার পেস্ট ব্রাশ আর ফ্রেসওয়াস নেওয়ার বায়না। যদিও ওর বাবা ওর একটা আলাদা ছোট ব্রাশ আর পেস্ট এনে দিয়েছে।
তো এই ভাবে চলে তার দুষ্টামি। এক দিনে বলে শেষ করা যাবে ন। পরে আরেকদিন বলব। তো আজকে যখন আমি ওকে ঘুমাতে ডাকছিলাম। আমি এসে ও পিছন পিছন আসছিল রুমে একটু পর দেখি ওর হাতে একটা ঝুরি এবং বালতি নিয়ে বিছানায় উঠেছে। দেখে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ। ওকে আমি বলছি ঘুমাতে হবে এগুলো রাখো কিন্তু না ও এগুলো দিয়েই খেলবে।
ওর অনেক খেলনা কিন্তু ওর সবথেকে পছন্দ হাড়ি-পাতিল আর এ ধরনের জিনিসপত্র। কদিন ধরে দেখছি হালকা-পাতলা একটু বল দিয়ে খেলছে এবং গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছে। তো যাই হোক আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন ও যেনো একটু দুষ্টুমি টা কম করে।😂
আপনি ঠিক বলছেন এই বয়সে বাচ্চারা একটু বেশি দুষ্টামি করে তবে কিছু কিছু বাচ্চারা আছেন ভিন্ন ধরনের বেশি দুষ্টামি করে।তবে যে সব বাচ্চারা ছোট থাকতে একটু শান্ত থাকে তারা যত বড় হয় তত বেশি দুষ্ট হয়।ঘুম থেকে উঠে প্রথমে বাবার রুমে যায় শুনে তো অনেক ভালো লেগেছে।সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু ঘুম থেকে উঠেই বাবার কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গতকাল যে আমার পায়ে ডাইস মেরেছিল,তখন তো বুঝিনি। এখন ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যাথা করছে অনেক🥺।
ফলমূল নিয়ে দেখতে আসিয়েন তো🤕।
ফলমূল কি জিনিস গো🤔
আচ্ছা বাংগি আর তরমুজ নিয়ে আসবোনি🤪
আপু ছোট মানুষ দুষ্টমি একটু করবে স্বাভাবিক, তবে অনেক চঞ্চল বাচ্চা তাই হয়তো একটু বেশি করে। আসলে আপু বাচ্চা বলে কথা। তবে শায়ান হচ্ছে ছেলে মানুষ তারপর হাড়িপাতিল দিয়ে বেশি খেলে।সত্যি আপু আপনাকে রান্নার সাহায্যে করবে আরকি।তাও তো বাবু বালতি নিয়েছে কিন্তু পানি নেইনি-হা হা হা।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আর বইলেন না আপু কোথাও কোনো জিনিস রেখে শান্তি নাই। পানি সে পানি দেখলে মহা খুশি।ধন্যবাদ আপু।
ছেলে বাচ্চারা একটু দুষ্টু বেশি হয়। আমার দুইটা ছেলে তো আমি জানি এরা কি পরিমান দুষ্টামি করতে পারে। তাছাড়া ছোটবেলায় সব বাচ্চাদেরকেই দেখি এই হাড়ি পাতিল নিয়ে খেলতে। আমার বড় বাচ্চা তো আলু পেঁয়াজ নিয়ে খেলত ছোটবেলায়। মাত্র নয় মাস বয়সে হাঁটা শিখেছে শুনে অবাক হলাম এত ছোট বয়সে কাউকে হাটতে দেখিনি। বাচ্চারা দুষ্টামি না করলে আবার ভালো লাগে না। দোয়া রইল বাবুর জন্য।
হ্যাঁ আপু দুষ্টুমি করলে সহ্য হয়না আর না করলে ভালো লাগে না। আমার ছেলেও পাতিলের মধ্যে আলু পেঁয়াজ নিয়ে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকে। দিনে কত বার যে রান্নাঘরের পেঁয়াজ রসুন আলুর তাক গোছায়।
আপু শায়ন তো কম করছে ৷ আসলে শুনেছি ছেলে বাচ্চা বেশি দুষ্টামি করে ৷ যা হোক এখন তার বয়স টাই তাই ৷ বাবার নাক,কান ধরে ঘুম থেকে উঠায় তাহলে শুনে হাসি পাচ্ছে ৷ সত্যিই শায়ন দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলো ৷ যা হোক আপু তাকে এই শীতের একটু যত্নে রাখবেন ৷ শায়ন বাবার জন্য অনেক শুভকামনা ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। দোয়া রাখবেন সবসময় ওর জন্য।
ছোট বয়সে বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনার বাচ্চা দেখছি একটু বেশি দুষ্টুমি করে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে যে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সে ভাইয়ের রুমে গিয়ে ভাইয়াকে নাক কান ধরে টেনে টেনে ঘুম থেকে উঠায় হা হা হা, আসলে আমি মনে করি ছেলে হিসেবে সকালবেলা বাবাকে ঘুম থেকে উঠানো এটা তার দায়িত্ব হাহাহা। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ব্লগটি পড়ে আসলেই সে ভারি দুষ্টু হয়ে গিয়েছে দেখছি।
আরও আছে ভাইয়া এটা তো সামান্য বলেছি। আমি তো অর্ধেক পাগল হয়ে গেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শায়ান খুব মিষ্টি একটি বাচ্চা সেটা ভাইয়া এবং আপনার বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি। বাচ্চাদের দুষ্টুমি টা স্বাভাবিক । অতিরিক্ত যেগুলো করে এখন থেকেই বুঝাতে হবে তাছাড়া আর কোন অপশন নেই আর খেয়াল রাখতে হবে ব্যথা যেন না পায়। ওর ছবিগুলো দেখে আমারও হাসি পেয়েছে। অনেক কিউট লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। মিষ্টি বাচ্চার আড়ালে হাজারো দুষ্টুমি ভাইয়া।