আনন্দঘন মুহূর্ত || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আমি বাহিরে গিয়েছিলাম বাহিরে বলতে আমি আজকে আমার প্রতিবেশী ভাবির মেয়ের স্কুলে গিয়েছিলাম। ওদের স্কুলে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় হচ্ছিল। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল সেটাই দেখতে গিয়েছিলাম। ওখানে আমরা বাসার সবাই গিয়েছিলাম। ভাবিরা গিয়েছিল ভাবির মেয়েরা গিয়েছিল এবং শায়ান বাবুও ছিল আমার সাথে। আমরা খুবই মজা করেছি এবং সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরব।
ভাবির মেয়েরা ঐ স্কুলে পড়ে এ কারণে ওরা সকাল সকাল চলে গিয়েছিল। আমরা পরে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমাদের ঢুকতে দিচ্ছিলো না। অনেক কষ্ট করে ম্যানেজ করে আমরা ভিতরে ঢুকে ছিলাম। তারপরে আমরা অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলাম। প্রথমে কারেন্ট গিয়েছিল অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছিল না। পরে আবার অনেকক্ষণ পর শুরু হয়েছে। যাই হোক অপেক্ষার প্রহর শুরু করে আমরা নাচ গান উপভোগ করছিলাম।
শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেখে আমার নিজের হাই স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। খুব মনে পড়ছিল এক সময় আমরাও এরকম বিদায় ছাত্রী ছিলাম এবং আমাদের স্কুলেও এরকম অনেক অনুষ্ঠান হত যেগুলো আমরা অনেক মজা করতাম শাড়ি পরতাম সাজুগুজু করতাম এবং দিনশেষে অনেক কান্না করে স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে ছিলাম। কারণ স্কুল জীবনের মতো কোনো জীবন মনে হয়না আছে। তখন আমরা অনেকটাই হাসি খুশি ছিলাম প্রাণবন্ত ছিলাম।
আমরা অনেকগুলো খাবার খেয়ে ছিলাম যেমন বাদাম ভাজা, পেয়ারা-মাখা এবং বিভিন্ন ধরনের চিপস্ এবং কোক। আসলে খুবই মজা হয়েছিল বেশ কিছুদিন পর বাইরে বের হয়েছিলাম। মাঝে মধ্যে এরকম বাইরে বেরোলে ভালো লাগে সবাই মিলে অনেক মজা করা হয়। আমরা সবাই খুবই মজা করেছি বিশেষ করে শায়ান খুবই খুশি হয়েছিল। যখন বাদ্য বাজতেছিলো তখন ও বাদ্যের তালে তালে নাচছিলো।
আমরা প্রায় তিন ঘন্টা ওখানে ছিলাম অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলাম। তারপর আমরা সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় চলে আসি। দিনটা অনেক ভালো ছিল আমাদের জন্য। তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
স্কুল জীবনের মত আর কখনোই হয় না। স্কুল জীবনে সব সুখের স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিল আজকে। আপু আপনি আপনার প্রতিবেশীর মেয়ের স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। শায়ান নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। শায়ানকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
আপনার এত সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানো দেখে আমারও ইচ্ছে করছিল আমিও যদি যেতে পারতাম। তবে হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন সোনালী অতীতের কথা কি ভুলতে পারি। আর স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকে। আর স্মৃতিকে আরো ভালোভাবে মনে রাখার জন্য এত সুন্দর আনন্দঘন অনুষ্ঠান করেছে এবং আপনিও তাদের সাথে উপভোগ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগছে। আর শায়ন বাবাজীতো গাস তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক আনন্দ করেছে। আমাদের সাথে আপনার আনন্দঘন মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষই তার স্কুল জীবনের কথা এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে বিদায় নেওয়ার আনন্দঘন মুহূর্তের কথা সারা জীবন ধরে মনে রাখে। আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্তে যোগদান আমাকে সেই দিনের কথাগুলো ভীষণ মনে করিয়ে দিচ্ছে। জীবনের সেরা মুহূর্ত গুলো বোধহয় স্কুলজীবনেই কাটিয়ে এসেছি। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত টুকু খুবই সুন্দর ভাবে পার করেছেন এবং আমাদের সায়ান বাবু অনেক অনেক আনন্দিত হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি মনে করি হাই স্কুল লাইফের জীবনটা জীবনের সর্বোচ্চ আনন্দময় জীবন যে জীবনে একবার হারিয়ে যায় আর ফিরে আসে না। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা মনে নেই। প্রি ক্যাডেট এর বাচ্চাদের পড়াতে যেয়ে ছোটবেলাকে কিছুটা অনুভব করতে শিখেছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে আমার অনুভুতি বুঝে মন্তব্য করার জন্য।