গ্রামীন বাজারে কাঁটানো কিছু মহূর্ত
"হ্যালো",
অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে এসে বেশ ভালই সময় কাঁটছে। আর আমি আপনাদেরকে কথা দিয়েছিলাম এখানকার কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। এখানে এসে আমার কিছু কেনাকাটা ছিল তাই আমাদের পাশে একটি বাজার আছে সেখানে গিয়েছিলাম। আজকে বিকেলে সেখানে কাঁটানো মহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।আগে থেকে ঠিক করা বিকেলে রোদ পড়ে গেলে আমরা বাজারে যাব। তো আমি আমার মা আমার ছোট বোন আমার ভাস্তি এবং আপনাদের ভাইয়া মিলে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে যাওয়ার পথে গ্রামের অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম।
তো যেতে যেতে রাস্তার পরিবেশটা খুব সুন্দর লাগছিল। গ্রামের এই মেঠো পথ গুলো এমনিতে অনেক সুন্দর দেখতে। কিছুটা দূরে গিয়ে দুইটি রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে বাজারে যাওয়ার। একটি বড় রাস্তা এবং একটি জমির মধ্যে আইল।বাজারে যাওয়ার জন্য ভ্যান পাওয়া যায় কিন্তু আমার ইচ্ছে হচ্ছিল হেঁটেই বাজারে যাব। বেশি দূরে ছিল না এক কি.মিটারের মত রাস্তা ছিল। তো সবাই হাঁটতে হাঁটতে রাস্তা দিয়ে না গিয়ে আমরা জমির আইল দিয়ে গিয়েছিলাম।আমি যে স্কুলে পড়াশোনা করতাম সেই স্কুলটির এই বাজারে অবস্থিত। এই আইল দিয়ে কত স্কুলে যাওয়া আসা করেছি শর্টকাট রাস্তা ছিল এটি এজন্য। খুব মনে পড়ছিল সেই স্কুল জীবনের কথা।তাই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়েই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
বাজারে গিয়ে অনেক পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল। অনেকে তো এত বড় হয়ে গিয়েছে যাদেরকে আমি চিনতেই পারছিলাম না। কারণ যে যার মত কর্ম করে বিয়ে করেছে বাবা হয়েছে।আমার ছেলেকেও তারা বেশ আদর করেছিল। এরপর আমরা একটু দোকানে গিয়ে আইসক্রিম খেয়েছিলাম। আমার কিছু গজ কাপড় নেওয়ার ছিল এজন্য একটি কাপড়ের দোকানে গিয়ে বসে ছিলাম। তারপর সেখান থেকে কিছু গজ কাপড় কিনে নিয়েছিলাম। আমার মা পান সুপারি কিনেছিলেন আমরা আবারো কিছু হালকা পাতলা খাবার খেয়েছিলাম এবং শেষে খেয়েছিলাম কোক।
তো সব কাজ শেষ হলে যখন আমরা বাসায় আসবো আপনাদের ভাইয়া বলছিল ভ্যানে আসবে কিন্তু আমার কেন জানি না হেঁটেই যেতে ইচ্ছে করছিল বাসায়। আবারো জেদ ধরে বসলাম যে হেঁটে বাসায় যাব। যাইহোক আবারো সবাই টুকটুক করে হেঁটে বাসায় চলে এসেছিলাম। আর সবাই মিলে এভাবে হেঁটে হেঁটে রাস্তা চলতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে। অনেকদিন পর এতটা পথ হেঁটে বাজারে গিয়েছিলাম আবার বাজার থেকে ফিরে এসেছিলাম।
সব মিলিয়ে বিকেলটা বেশ ভালোই কেঁটেছে।আজ এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষনে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
মাঝে মাঝে আমিও হেঁটে বেড়াই এলাকার মধ্যে, অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। যদি ও এখনো ছাত্রজীবন আরো কয়েক বছর পর হয়তো আপনার এই অনুভূতিগুলো আর প্রবল ভাবে বুঝতে পারব।
জ্বি ভাইয়া ছাত্র জীবনে যখন এই রাস্তাগুলো দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম তখন কতইনা মজা করতাম। এখন সেগুলো শুধু স্মৃতি। এই অনুভূতি গুলো অনেক ভালো লাগার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সময় হলেই মাঝে মাঝে বাবার বাসা থেকে ঘুরে আসবেন, এতে করে মন অনেক ভালো থাকবেন। সত্যিই আপনি সবার সাথে অনেক ভালোভাবে মিশতে পারেন এবং আপনাদের জীবনকে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ করার চেষ্টা করি না। সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পুরো ব্লগটা পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। আসলে এটা সত্য যে একটা সময় সময়ের ব্যবধানে সবাই বড় হতে থাকে। আপনি বাজারে গিয়ে আপনার পুরনো বন্ধুবান্ধব দেখে অবাক হলেন আর অবাক হওয়ারই কথা। এত বছর পরে তারা তো আর ছোট থাকবে না। তাদের বাচ্চাকাচ্চা আছে আর পুরনো বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা হয়ে গেলে অন্যরকম মজা অনুভূত হয়। যাই হোক আশা করছি অনেক ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া অনেকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমার বন্ধুবান্ধবদের দেখে কারণ সেই আট বছর আগে তাদের সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল। এর মধ্যে তারা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এবং অনেকে বিয়ে করেছে বাবা হয়েছে।সব মিলে বেশ ভালো মুহূর্ত কাঁটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামীণ পরিবেশে খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন। এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগে। আসলে গ্রামের দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য পোষণ করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন অনেকদিন পরে গ্রামে গেলে এরকম পথ দিয়ে হাঁটতে ভালো লাগে । এই গ্রামের সাথে তো আপনার অনেক বছরের সম্পর্ক । এই রাস্তার সাথে আপনার কত বন্ধন আবেগপ্রবণ তো হওয়ারই কথা । আর এ ধরনের জমির মধ্যে ছোট পথ দিয়ে হাঁটতে কিন্তু ভালই লাগে । ছোটবেলা যখন আমরা গ্রামে যেতাম তখন এসব পথ দিয়ে কত হেটেছি ভালো লাগতো বেশ ।
আমরা বড় রাস্তা দিয়ে কখনো স্কুলে যাওয়া আসা করতাম না। এই জমির মধ্য দিয়ে যাওয়া আসা করতাম। আমরা খুবই আনন্দ করে এ পথ দিয়ে যাওয়া আসা করতাম। অনেক দিন পর সেই আবেগটা ধরে রাখতে পারলাম। তাই তো এই জমির আইল দিয়ে হাটার লোভটা ছাড়তে পারলাম না। সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার বাবার বাড়ি মানে সেটা আপনার জন্মভূমি প্রতিটা জায়গা প্রতিটা মানুষ আপনার কাছে অনেক আপন । প্রতিটা মানুষের কাছে তার প্রিয় জন্মভূমির মানুষগুলোর সাথে সাক্ষাৎ হলে সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমনটা আপনি বিকেল মুহূর্তে বাজারে যাওয়ার সময় প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কুশল বিনিময় করেছেন । অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে সত্যিই এই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের হয়ে থাকে।
জ্বি ভাইয়া আপন গ্রামে এই লোকগুলোর সঙ্গে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলতে আমি খুব পছন্দ করি। অনেকদিন পর সেদিন বিকেলে খুব ভালো সময় কাঁটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
গ্রামীন পরিবেশের দৃশ্যগুলো সত্যিই অসাধারণ। গ্রামের এই পরিবেশের মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। আর গ্রামের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু হেটেঁ হেটেঁ প্রকৃতি দেখতে দেখতে গ্রামীন বাজারে যাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। সাথে ছোট বোন আর ভাস্তিও ছিল। তবে কোন ছবির মধ্যেই প্রিয় শায়ন বাবুকে দেখতে পেলাম না। কাপড় কিনে আইসক্রিম খেয়ে বিকাল টা ভালই কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু।
আমি আমার মা, ভাস্তি এবং ছোট বোন হেঁটে গিয়েছিলাম। আপনার ভাইয়া বাবুকে নিয়ে আমার এক চাচার মোটরসাইকেলে করে বাজারে চলে গিয়েছিলেন। তাই ছবিতে আপনারা বাবুকে দেখতে পাচ্ছেন না। হ্যাঁ ভাইয়া খুব ভালো সময় কাঁটিয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
তবে আপু মেয়েরা বাবার বাড়িতে গেলে তাদের কাছে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। ছোটকাল থেকে যেখানে বড় হয়েছে ওই পরিবেশ খুব ভালো করে উপভোগ করে। আপনি বাজারে আপনার মা এবং বোন ও ভাতিজি এবং আমাদের প্রিয় ভাইকে নিয়ে গেলেন। আসলে সবাই কথা বলতে বলতে এরকম হেঁটে গেলে অনেক মজাই লাগে। হালকার নাস্তা খেয়ে কিছু কিনা কাটা করে ভাইকে নিয়ে কথা বলতে বলতে আবার বাড়িতে চলে আসলেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু বাবার বাড়িতে গেলে সবার সাথে দেখা হয় এবং পরিবেশটা আবেগঘন হয় এবং সবার সাথে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে। আর সবাই মিলে এমন হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে বাজারে মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
তবে মেয়েদের সবচাইতে ভালো লাগার জায়গাটি হচ্ছে বাবার বাড়ি। বাবার বাড়িতে মেয়েরা গেলে তাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক বিকেল বেলা আপনাদের ফ্যামিলির মা বোন এবং ভাতিজি ও আমাদের প্রিয় ভাইকে নিয়ে বাজারে গেলেন। যদিও কথা বলতে বলতে সবাই হেঁটে গেলেন। তবে মাঝেমধ্যে আমি আমার আম্মাকে নিয়ে বাজারে গেলে প্রথমে সে তার পান সুপারি কিনে। আপনার আম্মু তাই করেছে পান সুপারি কিনলেন। বাজারে হালকা নাস্তা এবং কেনাকাটা করে আবার সবাই কথা বলতে বলতে হেঁটে হেঁটে বাড়িতে চলে আসলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার মা প্রচুর পরিমাণে পান সুপারি খান। তাই উনি যেখানেই যান না কেন তার পান সুপারি আগে নিতে হবে। যাইহোক এরপর আমাদের টুকটাক কেনাকাটা করে হালকা কিছু খাবার খেয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।