লেইস ফিতা কিনতে প্রতিবেশি আন্টির বাসায় || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সবার দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে কোন রেসিপি শেয়ার করব না আমি আজকে কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে তুলে ধরব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আসলে আমার বাসার সামনে এক আন্টি থাকেন উনি খুব ভালো এবং আমার সাথে উনার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। তো উনি আমাকে একজনের হাতে খবর পাঠান যে উনি কিছু লেইস ফিতা এনেছে বিক্রির জন্য যেন আমি এগুলো দেখতে যাই।
কদিন ধরে যাব যাব করে সময় হয়ে উঠছিল না। আজকে এক পর্যায়ে বিকেলে সময় করলাম একটু ওনার বাসায় যাওয়ার জন্য। তো বাবুকে রেডি করিয়ে শীতের জামা কাপড় পড়ালাম। কারণ বাহিরে প্রচুর শীত তাই একটু মোটা কাপড় পরিয়েছি। যেহেতু আমি সেখানে যাচ্ছি গল্প করতে করতে একটু সন্ধ্যা হতে পারে। মেয়ে মানুষ বলে কথা বুঝতেই তো পারছেন একবার গল্প ধরলে শেষ হওয়ার কোন নাম নেই। তাই বাবুকে রেডি করিয়ে আমি রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম সেই আন্টির বাসায়।
তো আন্টির বাসায় গিয়ে দেখি আন্টি সেলাই মেশিনে কাজ অর্ডারের কাপড় সেলাই করছেন। আসলে আন্টির একটা জিনিস আমার খুব ভালো লাগে উনি খুব পরিশ্রমি। উনার তিন মেয়ে এক ছেলে। খুব অভাবের সংসার বলতে গেলে। যদিও আংকেল চাকরি করে তারপরও উনার সংসার চালানো খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। উনি গ্রাম থেকে এসেছেন শুধুমাত্র বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য। উনার ছেলে মেয়েরাও পড়াশোনায় খুবই ভালো এবং আচার ব্যবহারে খুবই ভালো। তো আন্টির সঙ্গে অনেক গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে আন্টি আমাকে লেইস ফিতা দেখাচ্ছিলেন। আমার খুব একটা পছন্দ হচ্ছিল না। অনেক খুঁজে খুঁজে কয়েকটি পছন্দ করেছিলাম।
আসলে যেহেতু কয়েকদিন আগে আন্টি আমাকে খবর পাঠিয়েছিলেন এবং আমার যেতে দেরি হয়েছিল তাই অন্য মহিলারা যার যার মতো পছন্দ করে নিয়ে গেছে। কি আর করার। তবে আন্টি বললো আবারো আনবে আর আমার জন্য রেখে দেবে।
এই লেইস গুলা কেনার কারণ হলো গজ কাপড় লেইস দিয়ে ডিজাইন করে বানালে খুব ভালো লাগে। তো কয়েকটি ডিজাইনের লেইজ নিয়ে আমি বাসায় চলে আসি এবং বাসায় চলে এসে সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আর এই লেইস ফিতা গুলো দিয়ে জামা বানালে অবশ্যই জামার ডিজাইন গুলো আপনাদেরকে দেখাবো।
তো বন্ধুরা আজকে পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন।
আমি তো আপনার প্রথম লেইস ফিতা দেখে মনে করেছিলাম হয়তো সাদা কোনো ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। কিন্তু পরে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এটি লেইসন ফিতা। আমি কিছু দিন আগে এমন লেইস ফিতা কিনে এনেছি। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
লেইস ফিতা দিয়ে জামা তৈরি করলে খুব ভালো লাগে দেখতে তাই কিনে আনলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
এই সাদা রংয়ের নেটের লেস কাপড় গুলো আজকাল অনেক ড্রেসেই দেখতে পাওয়া যায় আর সেগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। অনেকে পর্দার কার্টনেও লাগায়।সেটাও দেখতে ভালো লাগে। অভিজ্ঞতাটা পড়ে ভালো লাগলো।
জ্বি দিদি এখন লেইস দিয়ে ডিজাইন করা জামা কাপড় খুব চলছে।তাই নিজের জন্য কিছু লেইস কিনলাম।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পরিশ্রমী লোকের উন্নতি হবেই।আপনার আন্টিরও দেখবেন অভাব কেটে যাবেই একসময়।দেরিতে যাওয়ার কারনে ভাল ভাল লেইস গুলো নিতে পারলেন না।এরপর খবর পাঠানোর সাথে সাথেই যাবেন।ধন্যবাদ আমাদের সাথে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হুমম দেরিতে গিয়ে দেখি সব বিক্রি হয়ে গেছে। পরের বার আর দেরি করবো না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আজকাল কুর্তি বানাতে এধরনের লেইস ব্যবহার করা হয় ।দেখতেও বেশ ভাল লাগে। আমিও আমার জামার ডিজাইন করতে এধরনের লেইস ব্যবহার করি। আপনার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু লেইস দিয়ে জামা তৈরি করলে বেশ ভালোই লাগে দেখতে। আমারও খুব পছন্দের। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আমি তো আপনার বিষয়টা দেখে মনে করেছিলাম বাংলা সিনামায় দেখা আগের দিনে যে লেইস ফিতা ওয়ালারা বাড়ী বাড়ী যেয়ে চুড়ি আর কসমেটিকস বিক্রি করতো সেগুলো মনে হয়। কিন্তু না পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনি পাশের বাড়িরর আন্টির কাছ থেকে কাপড়ে লাগানো লেইস ফিতা আনতে গেছেন। হা হা হা।