দীর্ঘদিন পর গ্রামীন মেলাতে ❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। অনেকদিন পর গ্রামীণ মেলাতে এসেছি এবং সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব।অনেকেই জানেন অসুস্থতার জন্য কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে ছিলাম।দুদিন আগে আমার মা ফোন করে বলেন আমাদের গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হবে আমি যেন বাবুকে নিয়ে তাদের জামাইকে নিয়ে সেখানে আসি।যেহেতু বেশ কিছুদিন আগেই থেকে গিয়েছি তাই আর আসার কোন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বাবু যখন থেকে শুনেছে তখন থেকে বারবার বায়না করছিল।
গতকাল কিছুতেই তাকে ধরে রাখা গেল না। বারবার শুধু আমাকে বলছে "আম্মু নানি বাছসাত যাব।"কি মিষ্টি করে বলছিল আর না করতে পারলাম না।বাধ্য হয়ে গতকাল এসেছি আবার ও বাবার বাড়িতে। বাবু গ্রামে আসলে খুবই খুশি হয়। প্রতিবারের মতোই এবার এসেও সে খুবই খুশি। ওয়াজ মাহফিলকে ঘিরে কিছু খাবারের দোকান এবং কসমেটিক্সের দোকান বসে। সারাদিনে না গেলেও সন্ধ্যায় সবাই মিলে গিয়েছিলাম সেই মেলায়। সেখানে গিয়ে বারবার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ছিল। যখন ছোট ছিলাম তখন এই মেলাগুলোতে কত আনন্দ করেছিলাম।
দিনে কতবার যে সেই মেলায় গিয়েছিলাম তারপরও ঠিক নেই। আর এখন একবারও ইচ্ছে করে না যেতে। মেলায় গিয়ে অনেক পরিচিত লোকজনদের সাথে দেখা হয়েছিলো।মেলায় গিয়ে আমরা বেশি কিছু কিনি নি শুধুমাত্র দেখেছি আর কিছু খাবার খেয়েছি। যেমন ফুচকা পাপড়, বাদাম ভাজা ইত্যাদি। আমি নিজের জন্য কিছু না কিনলেও ছোট বোনের জন্য কসমেটিকস এবং বাবুর জন্য কিছু খেলনা কিনেছিলাম।
বাবুর অনেক খেলনা বাসায় আছে। তারপরেও এই খেলনা গুলো দেখে বারবার নিতে চাইছিল। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কিছু খেলনা কিনে দিয়েছিলাম। এবার কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে বাড়ির জন্য কিছু খাবার কিনে চলে এসেছিলাম। খুব ইচ্ছে ছিল মাহফিল শোনার কিন্তু এখন রাতে কুয়াশা পড়ে তাই বাবুকে নিয়ে কুয়াশার মধ্যে বসে থাকা কিছুতেই সম্ভব না। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুনতে পারিনি। বাসায় বসে যতটুকু শুনতে পেরেছি অতটুকুই।
হয়েছিল আমার আজকে গ্রামীণ মেলাতে কিছু ঘোরাঘুরি মুহূর্ত। আর সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শীতকাল চলে আসছে এখন গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হবে। সত্যিই শীতকাল আসলে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত কাটে এবং আপনি দীর্ঘদিন পর গ্রামীণ মেলাতে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে। সায়ান বাবু তো আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়ে গেছে। ওয়াজ মাহফিলে গেলে। কিছু খাবারের দোকান ও কসমেটিক দোকান খেলনা এগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে আপু। আস্তে আস্তে যখন বড় হয়ে যায় না আর সেই সময়টা থাকে না কিন্তু ছোটবেলায় মেলায় যেতে কতটা ভালো লাগতো। আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন গ্রামীণ মেলাতে
শীতকাল আমার পছন্দের ঋতু।আর সেই সময় গ্রামে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হয় এবং মেলা বসে যার পরিবেশটা আমার খুব ভালো লাগে। পরিবার নিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই গ্রাম অঞ্চলে নানা রকমের ওয়াজ মাহফিলের কারনে বিভিন্ন জায়গাতে মেলা বসে।আপনি চমৎকার সময় কাটিয়েছেন মেলায় গিয়ে।যার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আসলে বাচ্চাদের যতই খেলনা থাক না কেন দেখলে কিনতে হবেই।যাক বোনকে কসমেটিকস কিনে দিলেন আর ছেলের জন্য খেলনা কিনলেন।বাসার জন্য কিছু খাবার নিয়ে বাসায় চলে গেলেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু ওদের যতই খেলনা থাক নতুন খেলনা দেখলে কিনতেই হবে। সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুনেছি গ্রামীন এই মেলাগুলো নাকি ভালোই হয় । আর এসব মেলাতে গেলে কেনাকাটার থেকে ঘোরাঘুরি হয়ই বেশি । আর পাপড় বাদাম এগুলোতো কমন আইটেম মেলাতে গিয়ে এগুলো তো খেতেই হবে । আমাদের বাসার পাশে জসিম পল্লী মেলায় আমরা ছোটবেলায় খুব গিয়েছি । কোথাও গেলে বড়দের জন্য কিছু কেনা হোক আর না হোক বাচ্চাদের জন্য খেলনা তো কিনতেই হবে যতই ওদের থাকুক না কেন ।
জ্বী আপু এসব মেলাতে পাপড় বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি অনেক কিছু কিনেছিলাম মেলা থেকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই সময় মেলাগুলোতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। মেলাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখা যায় দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক গ্রামের বাড়িতে মেলাতে গিয়েছেন। ওয়াজ মাহফিলের সময়েও অনেক ধরনের দোকান বসে। নিজের জন্য কেনাকাটা না করলেও বোনের জন্য এবং নিজের আদরের বাচ্চার জন্য খেলনা কিনেছেন। আসলে আপু সবাই নিজের বাবুর জন্য প্রথমে কিনে জিনিসপত্র। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন নিজের জন্য কোন কিছু কেনার আগে ছেলের জন্য কিনতে হয়। আর এসব মেলাতে বড়দের থেকে ছোটদের জিনিস অনেক ভালো পাওয়া যায়। যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর আর এগুলো ভালো লাগে না। একসময় মেলায় যাওয়ার জন্য আমিও বাইনা করতাম কিন্তু এখন নিজে একাই যেতে পারি কিন্তু সেই ইচ্ছা টা আর নেই। শায়ান এর বাইনার কথাটা শুনে ভালো লাগল আম্মু নানা বাছসাত যাব হা হা। বাচ্চারা এভাবে আবদার করলে ফেরানো মুশকিল। দীর্ঘদিন পর গ্রামীণ মেলাতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জ্বী ভাইয়া গ্রামে যখন এই ওয়াজ মাহফিলের মেলাগুলো হত কতবার যেতাম। আর একবার গেলে এখন আর ইচ্ছা করে না পরবর্তীতে যেতে। ও খুবই মিষ্টি করে কথা বলে তাই আর ওর বায়না গুলো ফেরাতেও পারিনা ভাইয়া।তাই বাধ্য হয়ে নিয়ে যেতে হয়।
গ্রামের মেলাগুলো দেখতে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আপনার আম্মা কল করার কারণে আপনার বাচ্চা বায়না ধরেছে মেলাতে যাবে। তবে মেলাতে সন্ধ্যার পরে গেলে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান ও অন্যান্য দোকান যেগুলো থাকলে এমনিতে পরিবেশ সুন্দর হয়ে যায়। শুনে ভালো লাগলো আপনার বাবুর জন্য খেলনা কিনেছেন এবং ছোট বোনের জন্য কসমেটিক কিনলেন। আমাদের এদিকে এই সময় অনেক বড় বড় মেলা বসে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই জাতীয় গ্রামের মেলায় ভ্রমণ করতে এবং সেখান থেকে ঝাল জাতীয় জিনিস কিনে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমিও ভাবছি কয়েক দিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে এমন জাতীয় পোস্ট শেয়ার করব। যায়হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ফটোগুলো ও মেলার বিবরণ
জ্বি ভাইয়া এসব গ্রামের মেলাতে ঘুরতে এবং ঝাল জাতীয় জিনিস গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আর এখন শীতকাল পড়ছে প্রায় গ্রামেই এসব মেলা বসবে এবং ওয়াজ মাহফিল হবে। শুভকামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
গ্রামীণ মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে। সামনে শীতকাল আসছে এবং শীতকালে বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আর তখন কমবেশি সব জায়গায় মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। একসময় আমরাও সারাদিন মেলায় ঘুরাঘুরি করতাম এবং বিভিন্ন কিছু কিনে খেলতাম। আসলে সেই দিনগুলো অনেক ভালো ছিলো। মেলা চলাকালীন সময়ে প্রতিদিনই ঈদ মনে হতো। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া শীতকালে বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং সেখানে মেলার আয়োজনও করা হয় সাথে। আর এসব মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।