চালের গুঁড়া ডিম দিয়ে তেল পিঠা
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সবার দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করবো পিঠার রেসিপি। আমি ডিম দিয়ে চালের গুঁড়া দিয়ে তেল পিঠা বানিয়েছি। যেটা আমি এবং আমার পরিবারের সবাই এই পিঠা খেতে খুব পছন্দ করি। আর শীতকালে পিঠাপুলি খেতে খুব ভালো লাগে। আমি খুব একটা ভালো বানাতে পারিনা। আমার নানিমা সুন্দর পিঠা বানাতে পারেন। কতদিন ওনার হাতের পিঠা খাওয়া হয়না। যাইহোক এখন রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
চালের গুঁড়া |
ময়দা |
ডিম |
চিনি |
কুসুম গরম পানি |
আদা-রসুন বাটা |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে একটা বাটিতে চালের গুঁড়া এবং সামান্য ময়দা নিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর সামান্য চিনি এবং গুঁড়া মশলা দিয়ে শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে একটা গোলা তৈরি করে নিয়েছি। তারপর দিয়েছি একটি ডিম। ডিম এবং আদা রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে সেগুলো মিশিয়ে নিয়ে একটা পাতলা গোলা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর চুলায় ছোট্ট একটি কড়াই বসিয়েছি পিঠাগুলো ভাজার জন্য। কড়াই গরম হয়ে গেলে আমি অনেকটা তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর একটা গোল চামচ দিয়ে অল্প অল্প করে চালের গুঁড়ার গোলা দিয়ে আমি পিঠাগুলো এপিট ওপিঠ ভেজে নিয়েছি।
আমি এরপর গরম গরম পিঠাগুলো পরিবেশন করেছি।
তো দেখলেন তো বন্ধুরা কত সহজে এবং খুব কম উপকরণ দিয়ে সুন্দর সুস্বাদু পিঠা বানানো যায়। প্রথমে আমার পিঠাগুলো ফুলে উঠছিল না কিন্তু পরে আস্তে আস্তে সবগুলো পিঠা সুন্দরভাবে ফুলেছিল এবং এটা খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার বাড়ির সবাই এটা খুব পছন্দ করেছিল। তো বন্ধুরা আপনারা চাইলে খুব সহজে এই রেসিপিটা বানিয়ে নিতে পারবেন।
রেসিপিটা কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আর আপনারা রেসিপিটি অবশ্যই বাসায় বানিয়ে চেষ্টা করবেন খাবার। এটা খুবই ভালো লাগে খেতে। তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
কে বলেছে আপনি পিঠা তৈরি করতে পারেন না? আপনি কিন্তু দারুন পিঠা তৈরি করেছেন আপু। আসলে নানি কিংবা দাদীদের হাতের পিঠাগুলো সব সময় সেরা হয়। তবে আপনিও কিন্তু বেশ ভালো পিঠা তৈরি করেছেন। এই পিঠাগুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জ্বী আপু আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের নানী-দাদীরা এ ধরনের পিঠা পুলি গুলো ভালো বানাতে পারেন। আমার নানি মনিও সুন্দর পিঠা বানাতে পারেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদিন ভাই কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাইরে থেকে,একদিন ভাবি বানাচ্ছে আর আমি বেচারা শুধু দেখছি🙂।কপাল সবই কপাল।একদিন আমার বৌ হবে,আমিও দেখাবো সবাইকে।
ভালো থাকবেন😒❤️
আমরা খাওয়াচ্ছি না তোমাকে কিন্তু তোমার বউ আসার পর আমাদেরকে খাইয়ে খাইয়ে দেখিয়ে দিবে যে তোমরাও পারো।😜
কে বলেছে আপু আপনি ভাল পিঠা বানাতে পারেন না। আমি তো দেখছি সব রকমের মসল্লা দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর পিঠা বানিয়েছেন। আর পিঠা গুলোও অনেক ফুলে উঠেছে। দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। তবে আপনার পিঠার রেসিপিটি কিন্তু আমার কাছে একেবারে আনকমন। যাই হোক আপনি যেহেতু এত সুন্দর করে পিঠা বানাতে পারেন তাহলে তো ভাইয়া কে আর বাহিরের পিঠা খেতে হবে না। হা হা হা
আপনার ভাইয়া পিঠাপুলি খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। তবে যদি বাসায় বানিয়ে দেই দু-একটা হয়তো খেয়ে আমাকে জানাই কেমন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনারা যাকে তেল পিঠা বলেন, আমাদের এলাকার লোক তাকে পাকান পিঠা বলে। যাইহোক তেল পিঠা বলেন, আর পাকান পিঠায়ে বলেন, এই পিঠাটি কিন্তু আমার খুব প্রিয় একটি পিঠা। শীতের সময় গরম গরম তেল পিঠা খেতে বেশ মজা লাগে। আপনি ডিম দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে তেল পিঠা বানিয়ে আমাদেরকে দেখিয়েছেন ধাপে ধাপে। এত সুন্দর তেল পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাইয়া একেক এলাকায় একেক নামে ডাকা হয়। আমার এলাকায় তেল পিঠাও বলে কেউ কেউ পাকান পিঠাও বলে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও ঝাল ঝাল তেলের পিঠা খেয়েছি অনেকবার। কিন্তু আপনি যে উপকরণগুলো দিয়েছেন এইভাবে না অন্যভাবে ঝাল ঝাল পিঠা তৈরি করি। আপনি তো অনেক মসলা একসাথে দিয়েছেন। চিনি দেওয়ার কারণে আপনার পিঠা মনে হয় একটু মিষ্টি মিষ্টি হয়েছে। ঝাল মিষ্টি একসাথে খেতে ভালোই লাগে মনে হয়।
জ্বি ভাইয়া আমি সামান্য পরিমাণে চিনি ব্যবহার করেছি যাতে একটু ঝাল ঝাল মিষ্টি মিষ্টি লাগে খেতে। আর আমার কাছে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পুলি পিঠা রেসিপি দেখে তো জিভে জল এসে গেলো ৷ আসলে গ্রামে এসব পিঠা সবাই বানায় ৷ কারন গ্রামের মানুষ এসব পিঠা বানাতে ভালোই পারে ৷ তবে অনেকে পোয়া পিঠা বলে ৷ আমি জানি এ পিঠা বানাতে গুড় লাগে ৷ তবে আপনার টা একটু ভিন্ন ডিম দিয়ে পিঠা বানিয়েছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ আপু
জ্বি ভাইয়া এই পিঠাগুলো গুঁড় দিয়ে বানানো যায়, চিনি দিয়েও বানানো যায় আবার ডিম দিয়ে এভাবে ঝাল মিষ্টিও বানানো যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার কাছেও এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের উপকরণ একদম ভিন্ন। আপনার পিঠা দেখে মনে হচ্ছে ঝাল আর মিষ্টি মিলানো। আমরা শুধু মিষ্টি পিঠা তৈরি করি। এভাবে ঝালমিষ্টি কখনো খাওয়া হয়নি। পিঠা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আমার এখনি খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপু আপনার মতো আমিও তেমন বেশি পিঠা বানাতে পারিনা। তবে আমার মা খুব ভালো পিঠা বানাতে পারে। ধন্যবাদ আপু এত লোভনীয় ও মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শুধু ঝাল পিঠ হওয়া বানিয়ে থাকি এভাবে তেরা ডুবিয়ে কিন্তু আমার আর চিনি দিলে একটু বেশি ভালো লাগে খেতে তাই আমি একটু চিনি দিয়ে বানায়। বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন এটা খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিকেলবেলা গরম গরম তেলের পিঠাগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। এই তেলের পিঠাগুলোকে আমরা পোয়া পিঠা বলি। তবে আমরা হলুদ মরিচ লবন ও জিরা এগুলো ব্যবহার করিনা। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। তবে রেসিপিটি এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব।
এই পিঠাটা আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে এবং আমার নানীর কাছে শেখা এই পিঠা রেসিপিটি। আমার নানীর সাথে আমার যখনই দেখা হয় তখনই আমি আমার নানীকে এই পিঠাটা বানিয়ে দিতে বলি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার পিঠা তৈরির প্রসেসটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটি মিষ্টি পিঠা হবে। পরে দেখলাম না এটা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছেন তেলের পিঠা ।খুবই ইউনিক একটি পিঠা ।এরকম পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি ।আপনার নানী মা সুন্দর পিঠা বানাতে পারেন জেনেও ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।