আজকে আমি আমার মা এবং আমার মায়ের খালাকে নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে আমার মা এবং আমার মায়ের খালা তারা সমবয়সি। একসাথে তারা খেলাধুলা করেছে পড়াশোনা করেছে কিন্তু তাদের জীবনযাত্রা এবং জীবনের অনেক কিছুই আলাদা আলাদা। আলাদা বলছি কারণ আমার মায়েরও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায় এবং আমার নানুর ও পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। দুজনের পরিক্ষার আগেই বিয়ে হয়ে গেলেও আমার নানু পড়াশোনাটা বিয়ের পর চালিয়ে গেছে কিন্তু আমার মা শত ইচ্ছা থাকার পরও আমার বাবার বাড়ির সমস্যা থাকার কারণে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারিনি।

আমার নানু পড়াশোনা চালিয়ে গেছে শুধু তাই নয় উনি এখন অনেক বড় একটা চাকরি করে। জয়পুরহাট সরকারি কলেজের একজন কেশিয়ার এবং উনি জয়পুরহাটে দোতলা বাড়ি করেছেন। আসলে আমি বলছি না যে আমার মা খুব খারাপ অবস্থায় আছে। তবে আমার মা যদি পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারত তাহলে জীবনে আরও উন্নতি করতে পারতো এবং স্বাবলম্বী হতে পারত।

আমার নানু আমার মাকে এত পরিমান ভালোবাসে যে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মায়ের যত সমস্যা বা যত আবদার আমার মা আমার সেই নানুর কাছে করতে পারেন। আমরাও ছোটবেলা থেকে অনেক কিছু পেয়েছি তার কাছ থেকে। আমি আমার জীবনের অনেক বড় একটা অধ্যায় তার সাথে পার করেছি। সেটা নিয়ে আরেকদিন লিখব।

এই ছবিটা তুলেছিলাম আমার নানুর মেয়ের বিয়েতে। আপনারা কিছুদিন আগে দেখেছেন আমি জয়পুরহাটে বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম তো এই নানুরই মেয়ে ছিল। এত ব্যস্ততার মাঝেও আমি তাদের এই ছবিটা কভার করেছিলাম। কারণ আমার মনে হয়েছিল তাদের এই দুজনার একটা ছবি আমার কাছে রাখা দরকার।কারণটা বলছি কারণ হচ্ছে উনাকে আমি আমার মায়ের পরের জায়গাটা দিয়েছি। আমি মনে করি উনি আমার আরেকজন মা।

উনাকে আমার দ্বিতীয় মা বলার কিছু কারণ আছে ওই যে আমি বললাম আরেকদিন লিখবো। আসলে একদিনে এত কথা লেখা আর সম্ভব না। আমি পরবর্তীতে আবার অবশ্যই চেষ্টা করবো এই বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।তিনি আমাকে ছোটবেলা থেকে যে ভালবাসাটা দিয়েছে এবং এখনো যে ভালোবাসাটা দেয় এটাতে আমি তার কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।