চিকেন পপকর্ন তৈরির সহজ রেসিপি
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের সবার দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাই কেমন আছেন একটি রেসিপি লাগে স্বাগতম আজকে আমি শেয়ার করব একটি নতুন রেসিপি হচ্ছে চিকেন পপকর্ন। আশা করছি রেসিপিটি ভালো লাগবে সবার।আমার ছোট বোন এসেছে বাসায়। আর ও আসলে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো ওকে বানিয়ে খাওয়াতে হয়। কারণ আমরা যখন রেস্টুরেন্টে খেতে যাই বাসায় এসে ওর সাথে ফোনে কথা বললে ওই গুলো খেতে চায়। আসলে আমাদের বাড়ি যেহেতু গ্রাম এলাকায় আর এ ধরনের ফাস্ট ফুডগুলো আমাদের বাজারে পাওয়া যায় না। যার কারণে আমি ওকে এখানে আসলে মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাই কিংবা বাসায় বানিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করি।
তো আজকে সন্ধ্যায় ও আমার কাছে চিকেন পপকর্ন খেতে চেয়েছিল।। যার কারণে ভাবলাম ওকে বানিয়ে দেই আমাদেরও খাওয়া হবে ও খাবে। তো তাই আর কি বানিয়ে ফেললাম আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
উপকরণ |
---|
চিকেন |
ময়দা |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
লেবুর রস |
সয়াসস |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আমি কয়েক পিস ফ্রেশ মাংস নিয়েছি এবং ভালোভাবে ধুয়ে সেগুলোকে টুকরো করে কেটে নিয়েছি ছোট ছোট আকারে।
ধাপ-২
এরপর আমি সামান্য পরিমাণে আদা রসুন বাটা, শুকনা মরিচের গুঁড়া, লবণ এবং জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর আমি কয়েক ফোটা লেবুর রস এবং সামান্য সয়াসস দিয়েছি।
ধাপ-৪
সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ম্যারিনেট করে এক ঘণ্টার মতো ঢেকে রেখে দিয়েছিলাম।
ধাপ-৫
এরপর একটা বাটিতে কিছুটা ময়দা নিয়ে আমি সামান্য লবন দিয়ে ময়দাটাকে মেখে নিয়েছি। আমি এখানে গুঁড়া মরিচ দেয়নি কারণ এটা বাবু খাবে। এরপর চিকেন গুলো ময়দার সাথে ভালোভাবে হাত চেপে চেপে মেরিনেট করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর একটা বাটিতে পানি নিয়ে আমি ময়দার সাথে ম্যারিনেট করা চিকেনগুলো আবার পানির মধ্যে দিয়ে আবার পুনরায় ময়দার সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এরপর চিকেন গুলোকে ভাজার জন্য আমি চুলায় একটি সসপ্যান বসিয়েছি। সসপ্যান গরম হয়ে গেলে আমি দিয়েছি তেল। তেল গরম হয়ে গেলে আমি মিডিয়াম আছে চিকেনগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। এরপর সেগুলোকে সময় নিয়ে ভাজতে হবে যাতে করে ভিতরে চিকেনটা ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।
ধাপ-৮
এরপর চিকেন গুলো আমি লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি। তারপর আমি একটা বাটিতে টিস্যু পেপার বিছিয়ে সবগুলো পপকর্ন তুলে নিয়েছি। তারপর আমি এগুলোকে গরম গরম পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনার ছোট বোন বাসায় আসলেন সেই কারণে আপনি খুব চিকেন পপকর্ন রেসিপি তৈরি করেছেন। ছোট বোনগুলো যখন বড়দের বাসায় বেড়াতে আসে তখন তাদেরকে অনেক বেশি আপ্যায়ন করতে হয়। আসলে রেস্টুরেন্ট খাওয়ার গুলো দেখে বাসায় বানালে খেতে অনেক মজাই হয়। ছোট বোন আসার কারণে আপনি খুব সুন্দর করে চিকেন পপকর্ন রেসিপিটি চমৎকারভাবে বানিয়েছেন। রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করেছেন।
জ্বী আপু ছোট বোনেরা সবসময় বড় বোনদের কাছে নানান রকমের আবদার করে। আমার বোনও তাই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক তো আপনার ছোট বোন যেহেতু গ্রামে থাকেন সেখানকার দোকান গুলোতে চিকেন থাকে না।সেই বাজার গুলোতেও চিকেন পপকর্ন পাওয়া যায় না।খুব ভালো একটি কাজ করেছেন বাসায় চিকেন পপকর্ন তৈরি করেছেন এবং সাথে আপনারা ও খেতে পারবেন।অনেক সুন্দর করে কিভাবে চিকেন পপকর্ন কিভাবে তৈরি করেছেন সেই ধাপা গুলো অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম এলাকায় এ ধরনের রেস্টুরেন্ট নেই যেগুলোতে ফাস্টফুড পাওয়া যায়। তাই আমি মাঝেমধ্যে ওকে বিভিন্ন ধরনের খাবার বানিয়ে খাওয়াই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামের বড় রেস্টুরেন্ট ছাড়া এগুলো সহজে পাওয়া যায় না। যাইহোক আপনি নিজে বাসায় তৈরি করে ছোট বোনকে খাইয়েছেন। রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট বোনগুলো এমনিতে বড় ভাই বোনদের আদরের হয়ে থাকে। আপনার ছোট বোন বাসায় আসার কারণে আপনি খুব সুন্দর করে চিকেন পপকর্ন রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে বাইরের খাওয়ার থেকে বাসায় বানালে শরীরের জন্য অনেক ভালো হয়। ছোট বোন গ্রাম থেকে আসার কারণে আপনি খুব পছন্দের জিনিস বানিয়ে খাওয়াচ্ছেন ছোট বোনকে। অনেক সুন্দর করে রিসিবিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমিও এটা মনে করি বাহিরের খাবারের থেকে বাসায় বানানো খাবার অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার বোনের জন্য খুবই ভালোভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন পপকর্ন তৈরি করেছেন। আপনাদের বাড়ি যেহেতু গ্রামের দিকে তাই মনে হয় এগুলো পাওয়া যায় না ভালোই করলেন আপনার বোনকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলো তৈরি করে খাইয়ে। আপনি আপনার বোনকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান আপনাদের বাসায় আসলে এবং কি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও কিছু জিনিস তৈরি করে খাওয়ান তার ভীষণ ভালো লাগে মনে হয়। রেসিপিটি দেখেই বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুবই মজা করে খেয়েছেন কালার কম্বিনেশন ও অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আপু এই চিকেন পপকর্ন গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমার মনে হয় রেস্টুরেন্টের তৈরি খাবারের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে খেলে ভীষণ ভালো হবে। আপনার ছোট বোন যখন আপনাদের বাসায় আসে তখন আপনি ওকে বেশ ভালো ভালোই খাবার খাওয়ান তাহলে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন পপকর্ন তৈরি করে ফেললেন। আপনার ছোট বোন বেশ মজা করেই খেয়েছে তাহলে। কারণ রেসিপি দেখেই বুঝতে পারছি খুবই মজা হয়েছে রেসিপিটি। মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্ট কেউ নিয়ে যান তাহলে ওকে। এখানে আসলে বেশ ভালোই সময় কাটাতে পারে। রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে।
জ্বী ভাইয়া ও খুবই মজা করে খেয়েছে। সাথে আমরাও খেয়েছি। যদিও প্রথমবার বানিয়েছিলাম তারপরও এটা খেতে খুবই টেস্টি হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলে সব জায়গায় ফাস্ট ফুড পাওয়া য়ায় না।কিন্তু ছোট ছেলেমেয়েরা এসব খাবার খুব পছন্দ করে।আর তাছাড়া বাইরের খাবারের চাইতে ঘরে করে খাওয়ানো ভাল।আপু চিকেন পপকর্ন বানানোর ধাপগুলো আপনি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন খুব ভাল লাগলো। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় ও হয়েছে। আপনার ছোট বোন খুব মজা করে খেয়েছে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
চিকেন পপকর্ন তৈরির সহজ রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে বাসায় তৈরি করে খেতে পারব। আপনার তৈরি করা চিকেন পপকর্ন গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে খুব ইয়াম্মি হয়েছে। বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। আসলে আমি মনে করি, এই ধরনের রেসিপি বাসায় তৈরি করে খেতে পারলে ভালো, কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার তেমন স্বাস্থ্যকর নয়। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এতো মুখরোচক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।