সুস্বাদু দুধ চিতই পিঠার রেসিপি
হ্যালো
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করব শীতকালে সবার পছন্দের খুবই মজাদার একটি খাবার সেটি হচ্ছে দুধ চিতই। এটি এমন কোন লোক নেই যারা পছন্দ করেন না। আর শীত মানেই নানান পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে। আমার তো ভীষণ পছন্দের একটি পিঠা হলো দুধ চিতই। আমার মা এসেছেন আজকে বাসায়। তো মাকে বললাম দুধ চিতই বানাতে। তো তিনি বানিয়েছেন আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তো চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরন |
---|
চালের গুঁড়া |
দুধ |
খেজুরের গুঁড় |
বেকিং পাউডার |
এক চিমটি লবণ |
ধাপ-১
প্রথমে একটা বড় বাটিতে ছোট একটা বাটি দিয়ে দুই বাটি চালের গুঁড়া নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর দিয়েছি এক চামচের অর্ধেক বেকিং পাউডার।
ধাপ-৩
এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে একটা বেটার তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর দিয়েছি এক চিমটি লবণ। লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি বেটারের সাথে।
ধাপ-৫
এরপর আমি একে একে চিতই পিঠা গুলো ভেজে নিয়েছি।
এখানে চিতই পিঠা বানাতে মাটির সড়া ব্যবহার করেছি। আমরা যে বাজার থেকে দই কিনে থাকি সেই দইয়ের মাটির পাএটি পিঠা ভাজার কাজে ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে বাজার থেকে চিতই পিঠা বানানোর যে পাএ গুলো পাওয়া যায় সে গুলোও নিতে পারেন।
ধাপ-৭
এরপর চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে আমি এক লিটারের মত দুধ গরম করে নিয়েছি। দুধ গরম হয়ে গেলে দুধগুলো আমি নামিয়ে রেখে একই চুলায় আমি একটি সস্ প্যান বসিয়ে খেজুরের গুঁড়ের সিরা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
এরপর সিরাগুলো আস্তে আস্তে দুধের মধ্যে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর চিতই পিঠাগুলো দিয়ে দিয়েছি একে একে। এরপর ঢাকা দিয়ে ঢেকে রেখে দিয়েছি।
ঠান্ডা হয়ে গেলে এগুলোকে আমি পরিবেশন করেছ। এই পিঠাটি বাসি হলে আরো খেতে ভালো লাগে।
তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আমার রেসিপি। কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দেবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
শীতকাল মানে পিঠা পুলির উৎসব।আপনি ঠিক বলছেন আসলে চিতই পিঠা দেখছি সবার প্রিয়।চিতই পিঠা আমারও অনেক প্রিয় বিশেষ করে দুধ চিতই ও খেজুর রস দিয়ে।আপনি অনেক মজার করে খেজুরের গুড় দিয়ে দুধ চিতই তৈরি করে দেখিয়েছেন।অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু খেজুরের গুড় দিয়ে আমার কাছেও যে কোন পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি বলতে আপু মাত্র কিছুদিন হলো দুধে ভেজা চিতই পিঠা খেয়েছি ৷ সত্যি কি যে স্বাদ তা আর বলে বোঝাতে পারবো না ৷ তবে আপনার রেসিপি তে দেখে পুরনো স্বাদ টা জিভে এসে গেছে ৷ আমরা কি করি৬ পিঠা ভেজে নিয়ে দুধে চিনি দেই এরপর আগুনে জ্বাল ৷ আর তারপর চিতই পিঠা গুলো দিয়ে দেই ৷ যা হোক আপনারা গুড় দিয়েছেন সেটাও ভালো ছিল ৷ সবমিলে জিভে জল এনে দেয়া রেসেপি ৷ অনেক ভালো লাগলো আপু ৷
ধন্যবাদ
চিনির থেকে খেজুরের গুড় দিয়ে চিতই পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে। একদিন বাসায় বানিয়ে খাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে চলে গেলাম সেই শৈশবে। ছেলেবেলায় দেখতাম মা শীতের রাতে দুধের মধ্যে চিতেই পিঠা ভিজিয়ে রাখতো। আর সকালে প্লেট ভরে সেই পিঠা খাওয়া হত। এই পিঠা আমার বাবা মা দুজনেরই অনেক পছন্দ ছিল। আজ মা ও নেই আর সেই পিঠা খাওয়ানোর মানুষও নেই। বেশ সুন্দর উপস্থাপনা ছিল। ধন্যবাদ
খুব খারাপ লাগলো আপু আপনার মায়ের কথা শুনে। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন। আপনি একদিন চলে আসেন আমার বাসায় আমার মা আপনাকে বানিয়ে খাওয়াবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দুধ চিতই পিঠা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি টি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছি না। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার দুধ চিতই পিঠার রেসিপি টি খুবই চমৎকার হয়েছে । এই পিঠাটি আসলেই সবারই খেতে বেশ ভালো লাগে । আর শীত মানেই পিঠাপুলির সময় । এই সময় শীতের পিঠা না খেলে কি হয় । তবে আমরা এই পিঠা কে বলি ভেজানো পিঠা । যাইহোক আপনার মা এসেছে আর পিঠা খাওয়ার বায়না তুলে বেশ ভালোই পিঠা খাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ ।
জ্বী আপু অনেক সময় বানানোর ইচ্ছা থাকলেও বাবুকে নিয়ে বানাতে পারি না। তাই মা আসলে মাঝেমধ্যে অনেক কিছু খাবার বায়না ধরে ফেলি। তাই গতকাল পিঠা খাওয়ার বায়নাটা করে ফেলেছিলাম। আর মাও সুন্দর দুধ চিতই পিঠা বানিয়ে দিয়েছিলেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চিতই পিঠা আমার খুবই পছন্দের, এবং এটা কে যখন দুধ চিতই তৈরি করা হয় তখন এর স্বাদ আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়, চমৎকার ছিল আজকের রেসিপিটি, শীতের সময় এগুলো খুবই মজাদার হয়ে থাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতকালে দুধ চিতই খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতের মৌসুমে শীতের সকালে চিতই পিঠা যেটা ভেজানো রসালো খেতে দারুণ মজা। হয়তো এই চিতই পিঠা শীতের মৌসুমে এমন কোন বাড়ি নেই যারা না খেয়ে শীতের মৌসুম শেষ করে। অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন রসালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন শীতের মৌসুমে এমন কোন বাড়িতে নেই যে এই দুধ চিতই তৈরি বা শীতকালীন পিঠাপুলি গুলো বানানো হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতের দিন মানেই পিঠা খাওয়ার দিন। দুধ চিতই পিঠা অনেক দিন খাওয়া হয় না। আমি পিঠাপুলি একদম বানাতে পারিনা আগে মা যখন আসতো বা আমি বাড়িতে যেতাম তখন অনেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতো এখন মা নেই তাই আর খাওয়া হয় না।চিতই পিঠা গুলো বেশ ভালোই হয়েছে এমনিতেও খেলে ভালো লাগতো। দুধ চিতই পিঠা রেসিপি টি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। অনেক সুন্দর করে পুরো রেসিপি টি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাবি।
হ্যাঁ বৌদি চিতই পিঠা এমনি এমনি খেতেও বেশ ভালো লাগে। আমি অবশ্য ভাজতে ভাজতে দুই একটা খেয়ে ফেলেছি।ধন্যবাদ ভাবি আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন শীতকাল আসলেই যেন চারিদিকে পিঠাপুলিয়ে ধূম পড়ে যায়। দারুন একটা দুধ চিতই পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই পিঠাটি আমার খুবই প্রিয় একটা পিঠা।
এই পিঠাটি প্রায় সবারই খুবই পছন্দের একটি খাবার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।