মুরগির কলিজা ভুনা || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আবারও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যে রেসিপিটি শেয়ার করব সেটা হচ্ছে মুরগির কলিজা ভুনা। তো আমি এটা কিভাবে করেছি আমি জানি এটা সবাই রান্না করতে পারেন তবে আমি কিভাবে রান্না করেছি সেটাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটি।
উপকরনসমূহঃ
মুরগির কলিজা
পেঁয়াজ কুচি
মরিচকুচি
রসুনের কোয়া
আদা-রসুন বাটা
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া
হলুদ এবং মরিচের গুঁড়া
তেজপাতা,সাদা এলাচ,দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ
লবণ এবং তেল
প্রস্তুতপ্রনালিঃ
আমি প্রথমে কলিজা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এবার আমি গরম পানির মধ্যে এগুলো দিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ রান্না করে নেব। তাতে হবে কি কলিজার ময়লা গুলো সব বের হয়ে যাবে। তো আমি চুলায় গরম পানি দিয়েছি কড়াইয়ে।পানি গরম হলে তার মধ্যে আমি কলিজা গুলো দিয়ে পাঁচ দশ মিনিটের মত রান্না করে নিয়েছি এবং কলিজা সেদ্ধ হয়ে গেলে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি আবারও।
এরপর আমি রান্নার জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণের নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং রসুনের কোয়া এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
এরপর আমি গুঁড়া মসলা এবং বাটা মসলার মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিয়ে ভাজা পেঁয়াজ এর মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
মসলাগুলো ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে আমি আগে থেকে সিদ্ধ করে এবং পরিষ্কার করে রাখা কলিজা গুলো মসলার মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে মসলা সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি। কিছুক্ষণ রান্না করার পর আমি সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ঢেকে দিব। আমি বেশি পানি এখানে ব্যবহার করব না কারণ আমি কলিজা গুলো আগে থেকে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। তাই আমি অল্প পানি দিয়ে রান্না করে নিয়েছি।
আমি ঢেকে 10 মিনিটের মত রান্না করে নেয়ার পর আমার রান্না হয়ে গেছে। আমি রান্নাটা নামানোর আগে সামান্য পরিমাণে ভাজা ধনিয়া এবং জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করেছি। আপনারা চাইলেই সুন্দর রেসিপি রান্না করতে পারেন। তবে অবশ্যই কলিজা গুলো আগে থেকে গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। দেখলেন তো আমার রান্না করার জন্য কলিজা থেকে কত ময়লা বের হয়েছে।
তো সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এবং সুরক্ষিত থাকবেন।
পরবর্তীতে এই রেসিপির ভিডিও আসবে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার রান্না দেখতে খুবই সুন্দর ছিল, প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনার মুরগির কলিজা ভুনা রেসিপি টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, খুব সুন্দর ভাবে দক্ষতার সহিত ও আপনি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনার করা রেসিপি টা সত্যি অসাধারণ ৷প্রতিটা ধাপ গুলো ভালো লেগেছে দেখে মনে হয় ভালোই সুস্বাদু হয়েছে ৷ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
অনেক অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন আপু। মুরগির কলিজা ভুনা অনেক প্রিয় একটি খাবার। আমিও কিছুদিন আগে মুরগির কলিজা ভুনা করেছিলাম। আপনি যেভাবে কলিজা ভুনা করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো। এই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুরগী কলিজা খেতে আমার তেমন ভালো লাগে না।তবে মনে হচ্ছে এভাবে ভুন করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির কলিজা ভুনা রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার এই রেসিপি ভিডিও আকারে প্রকাশ করবেন এই প্রতীক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
মুরগির কলিজা ভুনা অসাধারণ হয়েছে। কিন্তু এভাবে কখনও মুরগির কলিজা ভুনা করে খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ভাবছি এভাবে একদিন রান্না করে খাব। ভালো থাকবেন আপু।
আপু আমি সাধারণত কলিজা খাইনা। আমার কাছে একটুও ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার আজকের কলিজা রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই মজাদার। আপনি খুব সুন্দর হবে তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আমি অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করে দেখব । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুধু মুরগির কলিজা আলাদাভাবে রান্না করা হয়নি কখনো। একসঙ্গে এতগুলো কলিজা কোথায় পাই? আপনার আজকের কলিজা ভুনা টি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কালারটিও খুবই চমৎকার এসেছে।
আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। কলিজা ভুনা অনেক সুস্বাদু খাবার। আপনার কলিজা ভুনা রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।