জ্যোৎস্না || @shy-fox 10% beneficiary
হুট করে যখন মাঝ রাতে, ঐ আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ঐ জ্যোৎস্নার আলোতে কিছুটা মাথায় এলোমেলো চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো । যাইহোক বন্ধুরা, তারই ধারাবাহিকতায় নিচের কথাগুলো লেখার চেষ্টা করেছি । আশাকরি আমার পাঠকদের ভালো লাগবে ।
তাহার ঘরে জ্যোৎস্না যেমন লুটিয়ে পড়ছে
আমার ঘরেও হয়তো পড়ছে,
পরিমাণে তা নিচ্ছক অল্প ।
আমার ঘরটা তো কাঁচের বেস্টনি দিয়ে আটকানো
সঙ্গে আবার পর্দা ।
জ্যোৎস্না বড্ড হাঁপিয়ে যায়,
বিধায় তাহার উপস্থিতি
অবলোকন করতে পারিনা।
তার মানে এই নয় যে,
তার সৌন্দর্য আমি দেখি না?
আসলে ইচ্ছা হয় না,
কিছু ইচ্ছে বলতে নেই , শুনতে নেই ।
এক সময়তো প্রেমে পড়েছিলাম
হুট করে যখন ফাঁকি দিয়েছে,
তাই আর পিছুটান কাজ করে না
ঐ জ্যোৎস্নার ঐ মায়াবী আলোয় ।।
রসিক মানুষটা যখন হুট করে বে রসিক হয়ে যায়, তখন তাহার খোঁজ কেউ জানতে চায় না। কারণ তার ভিতরে তো রস থাকে না, কোন স্বাদ থাকেনা, থাকেনা কোন গন্ধ, সে একদম হয়ে যায় নিষ্প্রাণ । যদি আমাকে নিষ্প্রাণ বলেন, তবে সেটা মন্দ বলবেন না বরং সময়ের সঙ্গে আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। মানিয়ে নিয়েছি চারদেয়ালের ভিতরে থাকা ব্যাপারটা, অভ্যাস করেছি বিরত থাকতে জ্যোৎস্না দেখতে, কারণ জীবন চলছে জীবনের গতিতে ।
এখনো মন চায় যে, উঁকি দিয়ে জ্যোৎস্না দেখি। তবে যাহার জন্য দেখব , তাহাকে তো জ্যোৎস্নার আলোতে খুঁজে পাইনা । ঐ জ্যোৎস্নার আলোতে যা দেখি, তা তো শুধুই অন্ধকার শুধুই বিভীষিকা । কি দরকার, তাকে আর নতুন করে খুঁজতে যাওয়ার । কোন কি দরকার আছে, যে পরিবর্তন করেছে নিজের জায়গাটা, তাকে মনে হয় নতুন করে , মনে করার কোন দরকার নেই। যদি প্রয়োজন পরে, আলতো করে না হয় কাঁচের বেস্টনি সরিয়ে জ্যোৎস্না দেখে, তাহার কথাগুলো একটু মনেকরে, না হয় নিজেকে সান্তনা দিব ।।
আপু এতো সুন্দর লিখেছেন যে কি আর বলবো!মাঝে মধ্যে কিছু লেখা একেবারে মন ছুঁয়ে যায়। কিছু কিছু লেখা আনমনে পুরোটা পড়ে শেষ করে ফেলি,কখন যে শেষ করে ফেলি তা টের ই পাইনা। বিশেষ করে লাস্টের দিকের লাইনগুলো খুব দারুণ ছিলো আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু৷ আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।