টক ঝাল মিষ্টি জলপাই আচার || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
আজকে আমি একটি আচারের রেসিপি শেয়ার করবো। আমি জলপাইয়ের আচার বানিয়েছি। আমি কয়েকদিন আগে বলেছিলাম আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গেছিলাম। আমাদের গ্রামের অনেক ফলের গাছ আছে। সময়ের অভাবে খুব একটা যাওয়া হয়না আর গাছের ফলমূল খুব খাওয়া হয় না। যতক্ষনে শ্বশুর মশাই এনে ততক্ষণে আমরা খাই। আমার শ্বশুরের গ্রামের বাড়ি বাগান বাড়ির মত। সুন্দর একটি বাড়ি, বাড়ির সামনে পুকুর আমার অনেক গাছ। সব প্রকার গাছ সেখানে।
তো বাবুকে নিয়ে ঘুরছিলাম আর দেখছিলাম। হঠাৎ করেই চোখে পরলো জলপাই গাছ। বাড়ি গিয়ে দেবর কে ডেকে নিয়ে আসলাম। গাছটা বিশাল বড় ছিলো তাই আর ওকে গাছে উঠতে দেইনি। একটা বাঁশের কোটা দিয়ে অনেকটা জলপাই পেড়ে এনেছি।আর সেটা দিয়েই আচার বানিয়েছি। তো বন্ধুরা চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরনসমূহঃ
জলপাই
চিনি
গোটা শুকনো মরিচ
গোটা জিরা
গোটা ধনিয়া
পাঁচফোড়ন
হলুদ গুঁড়া
লবণ
সরিষার তেল
প্রস্তুতপ্রনালিঃ
ধাপ-১
প্রথমে জলপাইগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি এবং এগুলো সিদ্ধ করার জন্য চুলায় পাতিল বসিয়ে পানি দিয়ে গরম করে জলপাই গুলো দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
কিছুক্ষণ পর জলপাইগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি হাত দিয়ে জলপাইগুলো ভেঙ্গে নিয়েছি।
ধাপ-৩
আচারের জন্য যে মশলাটা বানিয়েছি সেটার জন্য নিয়েছি শুকনা মরিচ,ধনিয়া,জিরা এবং পাঁচফোড়ন আমি শুকনো খোলায় টেলে নিয়েছি। এরপর আধা ভাঙা করে গুঁড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি এবং দিয়েছি বেশি পরিমাণ সরিষার তেল। তেল গরম হয়ে গেলে কয়েকটা শুকনা মরিচ এবং তেজপাতা দিয়েছি ফোড়ন হিসেবে। এরপর জলপাইগুলো দিয়েছি। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে লবণ এবং হলুদ গুঁড়া দিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর অনবরত নাড়তে থাকবো নাড়তে নাড়তে যখন অনেকটাই কমিয়ে আসবে তখন আমি পরিমাণ মতো চিনি দিয়েছি। আমি বেশি মিষ্টি দেব না কারণ আচার একটু টকটক থাকলে আমার কাছে ভালো লাগে। তো তারপর আমি আবারও অনেকক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর যে মসলা গুঁড়া করে রেখেছিলাম সেগুলো দিয়ে ভালোভাবে আবারো মিশিয়ে নেড়েচেড়ে অনেকক্ষণ রান্না করে নিয়েছি। তারপর আচারটা যখন আমার আঠা আঠা হয়ে গেছে তখন আমি এটা নামিয়ে নিয়েছি।
আসলে আচার অনেক ভাবেই করা যায় আমার সময় ছিল না আর যেহেতু জলপাই অনেকগুলো ছিল এজন্য আমি সহজ পদ্ধতিতে আচারটা বানিয়েছি। আপনারা চাইলে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে বানাতে পারেন। আচারগুলো আমি দু তিন একটু করে রোদে দিবো তারপর সরিষার তেল দিয়ে সংরক্ষণ করবো। তাহলে আচার বছর ধরে খাওয়া যায়। নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। আচারের রেসিপিটা ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
গ্রামের বাড়ি দেখতে যেমন সুন্দর লাগে আপু তেমনি ঘুরতে ও ভালো লাগে।নিজেদের জলপাই গাছ থেকে যদি জলপাই নিয়ে আচার বানানো হয় তাহলে খেতে অনেক মজা হবে।জলপাই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো।খেতে অনেক মজার হবে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি ঠিক বলেছেন আপু নিজেদের গাছ থেকে যে কোনো পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।
টক-ঝাল মিষ্টি জলপাই আচার রেসিপি দেখেইতো জিভে জল চলে আসছে। আচারের নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই আছে। আপনার দেবর আপনাকে জলপাই পেড়ে দিয়েছে, আর সেই জলপাই দিয়ে আপনি খুবই সুস্বাদু জলপাই আচার তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি জলপাই আচার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব মজার হয়েছে। টক-ঝাল মিষ্টি জলপাই আচার তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হুমম ভাইয়া আচার টা খেতে খুবই ভালো হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করছেন আপু। আমার তো এই আচার দেখে মুখে পানি এসে গেল। আমিও গতকাল জলপাই নিয়েছিলাম কিন্তু এখনো আচার করা হয়নি। কালকে ইনশাল্লাহ আচার করব,রেসিপি ও তৈরি করব। খুব লোভনীয় একটি রেসিপি আজকে শেয়ার করেছেন।
আপনার রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। রেসিপির জন্য শুভ কামনা।
টক ঝাল মিষ্টি জলপাই আচার দেখে তো জিভে পানি চলে এসেছে আপু। আচার খেতে ভীষণ মজা লাগে। যদিও আমি কম খাই তবে মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আমিও তৈরি করবো।
আশা করছি আচার তৈরি করলে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বয়ামের তলায় একটু রেখে দিয়েন তো।আমি আপনার বাসায় গেলে একটা পিরিচে করে দিয়েন,নিজে থেকে চাইতে পারবোনা🤕।
বাসায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
একবার চাইছি দেয়নি
আর একবার চাইবো
দিলে দিবে না দিলে নাই
আমার আবার এত খাওয়ার ইচ্ছে নাই😜
আচ্ছা রাখবোনি।
আমি চাইবোই না কিন্তু লোভ আছে😹
আপু আপনার শ্বশুর বাড়ির গাছের জলপাই দিয়ে আচার তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে গ্রামীণ পরিবেশে যখন বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ দেখতে পাওয়া যায় তখন খুবই ভালো লাগে। আপু আপনার তৈরি করা আচারের রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও বেশ মজার হয়েছিল।
হুমম আপু গ্রামে গেলে খুব ভালো লাগে। কিন্তু নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা খুব খারাপ এজন্য ভালো লাগে না। তাই সকালে গেলে বিকেলে চলে আসি।ধন্যবাদ আপু।
জলপাই আমার প্রিয় একটা টক ফল। বাজারে দেখতে পেলেই আমি কিনে আনি। জলপাই এর টক ও আচার আমার খুব পছন্দের। আপনার আচার আশা করি খেতেও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামত পোষন করার জন্য।
আসলে আপু আচারের কথা শুনলে কিংবা আচার দেখলেই জিভে জল চলে আসে ৷ আপনি সত্যিই অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ জলপাইর আচার আমার কাছে দারুন লাগে ৷ আপনি চমৎকার ভাবে জলপাইর আচার তৈরি করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
আমরা আচার খিচুড়ির সাথে খেতে খুবই পছন্দ করি। এজন্য সব ধরনের আচার বাসায় রাখার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার টক ঝাল মিষ্টি জলপাই এর আচার দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু আমি কয়েক দিন আগে এভাবে জলপাই আচার বানিয়েছিলাম। অনেক মজা লাগে। আচারের প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলে আপু টক খাবার দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল।