হঠাৎই শাশুড়ী মাকে নিয়ে হাসপাতাল যেতে হলো
"হ্যালো",
বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না।আমার শাশুড়ী মা আজ হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পরেন।সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমার শাশুড়ী মা একজন প্রাইমারির হেডটিচার। সকাল বেলা উনি খাওয়া করে স্কুলে চলে যায়।উনি যাওয়ার পর আমরা সকালের নাস্তা সেরে মাএ উঠেছি এরমধ্যেই স্কুলের একজন সহকারি শিক্ষক আপনাদের ভাইয়াকে ফোন করে বলেন উনি মানে আমার মাথা ঘুরে পরে গেছে।উনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এরপর হাসপাতাল থেকে আমার শশুর এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে স্কুলে গিয়ে আমার শাশুড়ীকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ইমার্জেন্সি রুমে নিয়ে যান।এদিকে আমার বড়, আমি এবং আমার ছোট জা সবাই মিলে হাসপাতাল যাই।হাসপাতাল গিয়ে দেখি উনার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।আমরা বেশ ভয় পেয়েছিলাম কারণ উনি হাইপ্রেসার এর রুগি।আগে দু'বার স্ট্রোক করেছিলেন।
যাইহোক এ যাএায় আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার বললেন ভয়ের কিছু নাই ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।আমরা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম।এরপর একটা ঘুমের এবং গ্যাসটিকের ঔষধ দিয়েছে।এরপর বাসায় এসে উনি ঘুমিয়ে পরেছিলেন।এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।আশা করছি বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবেন।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই আমার শাশুড়ী মায়ের জন্য দোয়া করবেন যেনো উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
যারা হাই প্রেসারে রোগী তাদেরকে একটু সাবধানে রাখতে হয়। বিশেষ করে ঘুম কম হলেই সব ধরনের সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। শুনে ভালো লাগলো আলহামদুলিল্লাহ কোন কিছু হলো না স্বাভাবিক আছে। একটু দেখাশোনা করতে হবে কারণ এই ধরনের রোগী যদি স্ট্রোক করে বেশ খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। শুভকামনা রইল আন্টির জন্য।
এর আগেও দুবার স্ট্রোক করেছে আপু তাই আমরা অনেক ভয়ে ছিলাম। যাক আল্লাহর রহমতে এবারের মত রক্ষা পেয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হঠাৎ করে আপনার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আপু। অবশেষে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যেহেতু জানা গেছে ভয়ের কোন কারণ নেই তাই ভালো লাগলো। উনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। হঠাৎ করে কেউ এভাবে অসুস্থ হলে চিন্তা বেড়ে যায়।
হ্যাঁ ভাইয়া এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন ভয়ের কিছু নেই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
স্কুলে গিয়ে আপনার শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল আপু। যেহেতু এর আগেও উনার দু'বার স্ট্রোক হয়েছিল তাই ওনাকে আরও বেশি সাবধানে থাকতে হবে। ঠিক সময়ে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই উনি হয়তো বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এটা ঠিক বলেছেন সময় মতো হাসপাতালে নিতে পেরেছিলাম বলে অনেক বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেলাম। উনি এখন অনেকটাই সুস্থ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
স্কুলে গিয়ে আপনার শ্বাশুড়ি মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নেয়া হলো।তবে পরীক্ষা করে ডাক্তার চিন্তার কারন নেই বলল।যাক আলাহ সুস্থ করে দিন।ঘুম ঠিকমত হলেই হাই প্রেশারটা ঠিক থাকবে।দোয়া করি আপু।
হ্যাঁ আপু ঘুম দেওয়ার পর অনেকটা সুস্থ হয়েছেন উনি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব দুঃখজনক ঘটনা।আন্টির সুস্থতা কামনা করছি।হাই প্রসারের রোগিদের জন্য খুব রিক্স পড়ে যাওয়াটা তার উপর আবার দুদুবার স্ট্রেকের রুগি।ডাক্তার বলেছেন সমস্যা নেই জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আমরা তো অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন সবকিছু ঠিক আছে।
একটু এইজ বেশি হয়ে গেলেই হাই প্রেসার দেখা যায় ।আপনার শাশুরির কোনো সমস্যা হয়নি শুনে ভালো লাগলো।এধরনের রোগীদের চেকআপের মাধ্যমে রাখতে হয় সবসময়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
উনাকে রেগুলার ডাক্তার দেখানো হয়।আসলে রাতে ঘুম হওয়ার কারণে মূলত এমনটা হয়েছিলো। এখন ঠিক আছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একে তো হাই প্রেসার এর রোগী, তার উপর আবার দুইবার স্টোক করেছে, এরকম মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে আসলে চিন্তার বিষয়। তবে আপু বর্তমানে যা গরম পড়েছে তাতে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক, ডাক্তার যেহেতু বলে দিয়েছি আর কোন সমস্যা হবে না, তাহলে আর চিন্তার কিছু নেই। এখন একটু সেবা যত্ন করলেই আশা করা যায় উনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। যাক এ যাএায় কিছু হয়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
এরপর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শাশুড়ি মাকে রাখবেন, তাহলে আশা করি আর টেনশনে পড়তে হবে না আপনাদের।