রেসিপিঃ ছোট আলুর দম
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আমি বলেছিলাম একটু ফ্রি হলে আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করব। এখন মোটামুটি কাজ গুছিয়ে ফেলেছি।তবে আরো টুকটাক কাজ বাকি আছে যেগুলো ভেবেছি আস্তে আস্তে করবো। আজকে আমি আলুর দম বানিয়েছি আর সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বাসায় অন্যান্য রান্নাও হয়েছে। তবু ভাবলাম নতুন একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যদিও আমি এর আগে কখনো এভাবে আলুর দম রান্না করিনি এই প্রথমবার করেছি আর বেশ ভালোই লেগেছিল খেতে।
তো চলুন বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ |
---|
ছোট আলু |
পেঁয়াজ কুচি |
গোটা কাঁচামরিচ |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
গরম মসলা |
পাঁচফোড়ন |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আলু গুলোর খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে আলুগুলো ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
আলুগুলো প্রথমে ভেজে নেব এজন্য চুলা একটি কড়াই বসিয়ে কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আলুগুলো ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ঢেকে মাঝেমধ্যে নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি যাতে করে আলু অনেকটা সেদ্ধ হয়ে যায়।
ধাপ-৩
আলু ভাজা হয়ে গেলে আলুগুলো তুলে নিয়ে একই তেলে পাঁচফোড়ন এবং গরম মসলার ফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
বাদামি করে পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে একে একে বাটা মশলা এবং গুঁড়া মশলা দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মশলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মসলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে আগে থেকে ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে আরো পাঁচ মিনিট কষিয়ে রান্না করেছি।
ধাপ-৬
কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করার পর আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত আমার রান্নাটা হতে সময় লাগে ততক্ষণ।
ধাপ-৭
ঝোল প্রায় যখন শুকিয়ে গেছে গা মাখা হয়েছে তখন আমি ভাজা জিয়ার গুঁড়া ছিটিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার আলুর দম। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সুন্দর মতামতের আমাদের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
বাসা চেঞ্জ করা এবং বাসা গোছানো খুব কষ্টের একটি কাজ আপু। আশা করি আপনি আস্তে আস্তে সব গুলো গুছিয়ে নিতে পারবেন টেনশন করার কিছু নেই। আপনি ব্যস্ততার মাঝেও সুন্দর একটি মজাদর ছোট আলুর দম রেসিপি তৈরি করলেন। কালার কম্বিনেশন উপস্থাপনা এত সুন্দর হয়েছে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
হ্যাঁ আপু বাসা চেঞ্জ করা এবং গোছানো খুবই কষ্টের কাজ।আজ ক'দিন ধরে গোছগাছ করছি তাও যেন শেষি হচ্ছে না। পুরো রেসিপি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আলুর দম খেতে আমার খুবই খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে লুচি দিয়ে হলে তো কোন কথাই নেই।।
আপনার প্রস্তুত করা খাবার দেখে খুব লোভ লাগছে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আলুর দম লুচি দিয়ে খেতে বেশি মজা লাগে। তবে আমরা ভাতের সাথে খেয়েছিলাম। খেতে বেশ মজা লেগেছিল।
গোল আলু এমন একটা তরকারি যা সবকিছুতেই রান্না করা যায় এবং নিজে সে রান্না হয়ে থাকে। আমার মনে হয় গোল আলু আছে বলে দেশের মধ্যবিত্ত গরীব মানুষেরা খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। আপনার ছোট আলুর দম তৈরি করেছেন তৈরির প্রক্রিয়াটি বেশ ভালো ছিল। দেখে বয়সে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আলুর দম খুব মজাই লাগে খেতে। যদিও আমি আলু কম খাওয়ার ই চেষ্টা করি।তবে আমার রান্না আলুর দম ছেলে, আমার ননদ খুব পছন্দ করে। আসলে সবাই করে।আপনার রেসিপি দেখে মনে পরে গেলো।এইতো সেদিনও রান্না করলাম ননদ বলল বলে।খুব সুন্দর হয়েছে আপু আপনার আলুর দমের রেসিপিটি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
যে কোনো রেসিপিতে আলু একটু বড় করে কেঁটে দিলে বাচ্চারা খেতে অনেক পছন্দ করে। আর আলুর দম হলে তো কোন কথাই নেই। আমার ছেলেও আলু খেতে খুব পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হায় হায় আপু এত সুন্দর করে আলুর দম করে খেয়ে নিলেন। তাও আবার আমাকে ছাড়া। সেই ছেলেবেলা থেকেই আলু আমার অনেক প্রিয়। আলু ছাড়া তো আমি সবজি খেতেই পারি না। আর আলুর দম হলে তো কথাই নেই। আমার তো আপনার আলুর দম দেখে জিভে জল টলমল করছে গো। একটু কি পাঠানো যায়? ভেবে দেখবেন তো।
যদি জানতাম এটা আপনার পছন্দের খাবার তাহলে আগে থেকে আপনাকে জানাতাম। চলে আসতেন একসাথে খেতাম। যাই হোক পরের বার রান্না করলে আপনাকে জানাবো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে করে আলুর দম রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার কাজগুলো গুছিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কালারটা কিন্তু অনেক দুর্দান্ত হয়েছে দেখেই মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি হয়েছে।
হ্যাঁ আপু কাজগুলো মোটামুটি গুছিয়ে ফেলেছি তাই ভাবলাম একটা রেসিপি শেয়ার করি। রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটি পোস্ট কাজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমার অনেক ভালো লেগেছে। আলু দিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন আপনি। প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় বাজারে গেলে এই আলুর দম কিনে খেতাম খুবই সুস্বাদু লাগতো বাসায়ও কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম রান্না করার তবে বাজারের মতো অতটা স্বাদ লাগেনি কখনো। আপনার এই ছোট আলুর দম রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। রেসিপিটি আপনি দারুণভাবে প্রস্তুত করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাইরে যে কোন খাবারই খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে তবে আমার মনে হয় বাসায় তৈরি করে খাবার খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যকর। যাইহোক ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আলুর দম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব চমৎকারভাবে আলুর দম রেসিপি করেছেন। তবে আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যে আমরা এভাবে আলুর দম বানিয়ে থাকি। বিশেষ করে ছোট ছোট আলু গুলো দিয়ে আমরা আলুর দম বানিয়ে থাকি। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে ছোট আলু কাটতে আমার একদম ভালো লাগে না। তাই যখন ছোট আলু থাকে বাসায় এভাবে শর্টকাটে রেসিপি তৈরি করে ফেলি। এতে করে বেশ সুবিধা হয় ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।