রেসিপিঃ মুচমুচে বেগুনের চপ
"হ্যালো,"
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করব মুচমুচে বেগুনির রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লাগবে। কেননা আমার মনে হয় এটা সবারই পছন্দের খাবার। সামনে যেহেতু রমজান মাস আসছে তাই ভাবলাম যে একবার বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি মাঝে মধ্যেই বিকেলে চায়ের সঙ্গে বানিয়ে থাকি আমার কাছে এ ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো বেশ ভালোই লাগে। যদিও খুব গ্যাস হয় তারপরও ভালো লাগে।
পোস্ট লেখার মত কোন রেসিপি আমার কাছে ছিল না। আমার মা যখন বাসায় আসেন তখন আমি বেশ কিছু রেসিপি বানিয়ে রেখে দেই। যাতে করে আমি পরবর্তীতে সেগুলো শেয়ার করতে পারি। তবে অনেকদিন ধরে আমার মা আমার বাসায় আসছে না। কারণ ছোট বোনের পড়াশোনা শুরু হয়ে গেছে এজন্য আসতে পারছে না। তাই আর কি রেসিপিও খুব একটা করা হচ্ছে না। ছোট বাবুকে সামলিয়ে সময় পাই না যে টুকু সময় পাই নিজেদের খাবারের জন্য কিছু বানিয়ে ফেলি ঝটপট।তো যাই হোক ভাবলাম আজকে একটা রেসিপি আমি তৈরি করে শেয়ার করি।
বন্ধুরা চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরনসমূহঃ |
---|
বেগুন |
বেসন |
চালের গুঁড়া |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবন |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে একটা বাটিতে বেসন নিয়েছি। এরপর কিছু চালের গুঁড়া দিয়েছি।চালের গুঁড়া মিশালে বেগুনি অনেক মচমচে হয়।
ধাপ-২
এরপর গুঁড়া মশলাগুলো এবং বাটা মশলা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার বেগুনগুলো ভাজার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে গেলে কড়াইয়ে তেল দিয়েছি। তেল দিয়ে আমি মিডিয়াম আঁচে তেল গরম করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর কেটে রাখা বেগুনগুলো আমি বেটারের মধ্যে চুবিয়ে একে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপর বেগুনিগুলো আমি ভালোভাবে এপিট ওপিঠ লাল লাল করে এবং মুচমুচে করে ভেজে নিয়েছি। প্রথমে বেগুনীগুলো ফুলছিনা কিন্তু পরের বারের গুলো অনেক ভালো ফুলছিলো। এভাবে সব গুলো বেগুনী ভেজে নিয়ে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকে রেসিপি। আশা করছি ভালো লেগেছে আপনাদের কাছে। অবশ্যই যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে।
বেসন দিয়ে বেগুনের চপ এমন কোনো মানুষ নাই যে পছন্দ করে না ৷ বিশেষ করে গরম গরম
যে এতো সুস্বাদু ৷ অনেক ভালো লাগলো আপু আপনি বেগুনের মুচমুচে চোপ ভাজি রেসিপি শেয়ার করলেন ৷ অনেক ধন্যবাদ
জ্বী ভাইয়া মুখরোচক খাবার গুলো আমরা একটু বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে যে কোনো ধরনের চপ। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে ।সেই গত রমজানে খেয়েছিলাম লাস্ট বেগুনের চপ।খুব ভালো লাগে আমার কাছে বেগুনের চপ দিয়ে মুড়ি মাখা খেতে। আপনার রেসিপিটি দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু লোভনীয় রেসিপি জন্য।
রমজান মাসে বেগুনের চপ দিয়ে মুড়ি মাখা আমারও ভীষণ পছন্দ। ধন্যবাদ আপুর সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে এল। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এভাবেই আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিবেন ।
চেষ্টা করি আপু মাঝেমধ্যে নতুন কিছু রেসিপি আবার আমাদের কমন রেসিপিগুলো শেয়ার করার। কিন্তু কতটা করে উঠতে পারে জানিনা। তবে চেষ্টা করব আপনাদের সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দিতে।
আপু, মুচমুচে বেগুনের চপ দেখে তো লোভ লেগে গেল। গরম গরম বেগুনের চপ খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। আমার মেয়ে বেগুনের চপ পছন্দ করার কারণে আমার অর্ধাঙ্গিনী মাঝে মাঝেই বাসায় তৈরি করে সবাইকে খাওয়ায়। তবে অনেকদিন থেকে আমার অর্ধাঙ্গিনী খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে, যার কারণে বেগুনের চপ অনেকদিন থেকেই খাওয়া হয় না। আপনার পোস্টে বেগুনের চপ দেখে খুবই খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। তাই খুব দ্রুতই অর্ধাঙ্গিনীকে বলতে হবে আমাদের যেন বেগুনের চপ তৈরি করে খাওয়ায়। মুখরোচক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া তাড়াতাড়ি ভাবিকে বলে ফেলেন চপ বানিয়ে আপনাকে খাওয়াতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার বেগুনি গুলো দেখে রোজার দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। রোজার দিনে বেগুনি না হলে আমার চলেই না। ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি আর সাথে মুড়ি। এগুলো ছাড়া মনে হয় আমার ইফতার সম্পূর্ন হয় না। আপনার বেগুনিগুলো দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। সংসার আর ছোট বাচ্চা সামলিয়ে আসলে সময় বের করা খুবই কঠিন। তারপরেও যে আপনি অল্পের ভিতরে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাইয়া রমজান মাসের ইফতার এই মুড়ি মাখা ছাড়া একদম অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সবগুলো বেগুনি এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের মিশ্রণে যে মুড়িটা মাখা হয় সেটা আমার ভীষণ পছন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সামনে রমজান এই রমজান আপনার রেসিপিটি আমাদের বেশ কাজে আসবে। আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দর এবং সাবলীল হয়েছে। ধন্যবাদ আপু প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বিকাল বেলায় বেগুনের চপ খেতে ভালো লাগে।বেগুনের চপ আবার অনুভূতি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার বেগুনের চপ দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া দেওয়াতে খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হবে । এত সুন্দর
পোস্ট মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গরম গরম বেগুনি খেতে খুব মজার।আপনি খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন, দেখে খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বুদ্ধি কাটিয়ে তো বেশ ভালো একটি কাজ করেছেন আপু। যেহেতু শীতকাল আসতেছে সব তো ভাজা পুড়ার কাজ কিন্তু আপনার পারফেক্ট হয় কিনা তাই বেগুন ভাজা তৈরি করেছেন দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে। আমরা সবাই কমবেশি ইফতারের সময় বেগুনি খেয়ে থাকি। আপনি রমজানের আগে মুচমুচে বেগুনি ভাজা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আসলে সব মায়েরা মেয়েদেরকে এত সহযোগিতা করেন। আপনার মা আসতেছে না বলে আপনার রেসিপি জমা নেই। খুব দুঃখের কথা আপু রিসিপি জমা নেই।
জ্বী আপু ছোট বাচ্চার সামলিয়ে আমি রেসিপি করে উঠতে পারি না। তাই যখন মা আসে বাসায় তখন আমি অনেকগুলো রেসিপি করে রেখে দেই। যাতে আমি পরবর্তীতে সেগুলো শেয়ার করতে পারি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।