মিলাদের খাওয়া-দাওয়া || @shy-fox 10% beneficiary
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। সবার সময় ভালো যাচ্ছে, এই কামনাই করি৷ আজকে ভিন্ন রকম একটা গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি বিষয়টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ঘটনাটি কিছুদিন আগের, খুব যে বেশিদিন আগের তা কিন্তু বলব না৷ কারণ গত সপ্তাহে আমরা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন আরকি ঘটনাটি ঘটেছিল। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এটার সম্পূর্ণ ক্রেডিট কিন্তু আমার মায়ের।
ঐদিন শুক্রবার ছিল আর যেহেতু শুক্রবার জুম্মার দিন, জুম্মার নামাজের দিনে মসজিদে আরকি কিছু তবারক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সকল মুসুল্লির জন্য৷ বিশেষ করে এই মিলাদ পড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল মূলত শায়ান বাবুর জন্য।
আসলে বাবু যখন আমার পেটে ছিল তখন আমার মা মানসিকভাবে নিয়ত করেছিল যে, যদি বাবু সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে চলে তাহলে আমার মা মসজিদে একটা মিলাদ দিবে বাবুর জন্য। এককথায় হুজুরের কাছ থেকে দোয়া পড়িয়ে নেবে বাবুর জন্য ।
যদিও আমি এটা নিয়ে একটা ভিডিও পর্ব বানিয়েছি। সেখানে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আপাতত এই সময় আমি কিছু কথা শেয়ার করছি সেটা হচ্ছে, আমরা যেহেতু বাড়িতে গিয়েছি দীর্ঘদিন পর। আর মা সুযোগ পেয়েছে, তাই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। যাইহোক খুব ভালোভাবেই মিলাদ সম্পন্ন হয়েছে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করা হয়েছে শায়ান বাবুর জন্য, যেন ওর আগামী দিন যেন ভাল হয়।
কিছু খাসির মাংস কেনা হয়েছিল এবং খাসির মাংস দিয়ে পোলাও রান্না করা হয়েছিল মসজিদের মুসল্লিদের জন্য। যারা জুম্মার নামাজ পড়েছিল তাদের জন্য তবারক পাঠানো হয়েছিল৷
যেহেতু অনেকগুলো মানুষের খাবার রান্না করা হয়েছিল তাই খাবারটা খুব স্বাভাবিক নিয়মে রান্না করা হয়েছিল তবে সেটা রান্না করেছিল আমাদের এক চাচা।
হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে এটা আমি রেসিপি পোষ্ট বানিয়েছি। তবে এটা একদম ভুল, আমি আসলে মুহূর্তগুলো ধারণ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ এই দিন মূলত বাড়িতে অনেকটাই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল এবং আমরা পরিবারের সকলে মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম৷ তাছাড়া আমাদের আশেপাশে বাড়ির আত্মীয় স্বজনেরা এসেছিল আমাদের বাড়িতে সর্বোপরি বেশ ভালো একটা সময় কাটানো হয়েছে এবং মসজিদে খাবার পাঠানো হয়েছিল এবং হুজুরের কাছ থেকে শায়ানের জন্য দোয়া পড়ে নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি সময়টা আমাদের কাছে ভালো ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ আন্টি যথাসময়ে নিয়ত পালন করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের বাবা-মা সহ মুরুব্বিদের মাঝে এখনো এই প্রচলনটা রয়ে গেছে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। শহরে এখনতো আর তেমন মিলাদ-মাহফিল দেখাই যায় না। নিয়ত পালন করার পাশাপাশি অনেক মজা হয়েছে বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনার মজার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার এবং বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।