বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি
হ্যালো
বিয়ে বাড়ি মানে অনেক মজা, আনন্দ আড্ডা আর পরিবারের সবার সাথে ভালো সময় কাটানো। গত কয়েকদিন হল আমার এক আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি। বিয়েটা অবশ্য ইন্টারেস্টিং কারণ বিয়েটা অনেক আগে হয়ে গেছে। হঠাৎ করে বাচ্চা কনসিভ করেছিল যার কারণে আর পাঠানো হয়নি। তো এবার বাচ্চা সহ বউকে স্বামীর ঘরে পাঠানো হবে। বেশ মজার না ব্যাপারটা। তো সেখানে যাওয়ার জন্য আমাদের অনেক প্রস্তুতি চলছিল।
কদিন আগে বাজার থেকে মেহেদী নিয়ে এসেছিলাম হাতে পড়ার জন্য। হ্যাঁ যদি আল্লাহ তায়ালা বেঁচে রাখেন তাহলে আগামীকাল আমরা বিয়েতে যাব। অবশ্য আপনার ভাইয়া যাবেনা। কারণ বৃহস্পতিবারে হ্যাংআউট আছে। তো বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অত লোকের মাঝে সমস্যা হবে এজন্য। যাইহোক কর্মজীবী মানুষদের মনে হয় এমনই হয়। আমাদের সঙ্গে যেতে পারছে না বেচার।
তো আজকে রাতে আমি মেহেদি পড়েছিলাম হাতে আর সেই ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আগে থেকে বৌদির মেয়েকে বলে রেখেছিলাম বৌদির বড় মেয়ে অনেক সুন্দর ছবি আর্ট করতে পারেন এটা আপনারা সবাই। জানেন। ও হাতে সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন করতে পারে। তো যাই হোক সন্ধ্যার দিকে গেলাম ওদের বাসায় মেহেদী পড়ার জন্য। গিয়ে দেখি ওর স্যার এসেছে। আমি সেখানে থেকে চলে আসি এবং বলে আসি যখন স্যার চলে যাবে আমাকে ফোন দিতে। এসে আমি বাসার কাজকর্ম করছিলাম। তো হঠাৎ দেখি দরজা নক করছিল। দরজা খুলে দেখি ওরা এসেছে।
এরপর আমরা সবাই মিলে মোবাইলে সার্চ দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন দেখছিলাম। পরে আমার এই দুটো ডিজাইন পছন্দ হয় এবং এ দুটো ডিজাইনই ও আমার হাতে মেহেদি দিয়ে এঁকে দেয়। মেহেদী হাতে দেওয়ার পর বৌদির ছোট মেয়ে আমাকে কিছু ছবি তুলতে বলে। যে ছবিগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আমি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে সবগুলো ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আর আমি যাচ্ছি সুদূর জয়পুরহাট। যেখানে আমার অনেক স্মৃতি আছে। যেখানে আমি কলেজ লাইফ শুরু করেছিলাম। আবার খুবই মধুর মধুর এবং কিছু কষ্টের স্মৃতি আছে।
আপু এটাই ভালো হয়েছে আগে একজন যেতো এখন দুজন একসাথে যাবে। আমি এমন ঘটনা আরও শুনেছি। তবে সেই বিয়ের দাওয়াতে ভাইয়া যেতে পারবেনা বলে একটু হলে আপনার মন খারাপ হয়েছিল তাই না আপু। আমার মনে হয় ভাইয়ার কাছে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে হ্যাংআউট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই একটা দিন আমরা সবাই একসাথে একই পরিবারে মিলিত হই। তবে আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য খুব সুন্দর ভাবে হাতে মেহেদি পড়েছেন। আপনার মেহেদির ডিজাইন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু খুব খারাপ লাগছে কারন বিয়ের পর এই প্রথমবার মনে হয় ওনাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাচ্ছি। এজন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিয়ের বাড়িতে যাবেন অনেক আনন্দ করবেন সেজন্য হাতে মেহেদি পরিয়েছে দেখেই অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হলে অনেক আনন্দ সব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা হয় অনেক সুন্দর সময় কাটে তাই।তবে বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন আপনার প্রিয় মানুষটি যদি না যায় তেমন ভালো লাগবেনা। যদিও সমস্যার কারণে কাজের কারণে যাচ্ছে না।তবে আপনি ইন্টারেস্টিং বিয়েটাতে যেন ভালো আনন্দ করতে পারেন সেই কামনা করি।
বিয়ের দাওয়াতে যাবার জন্য দেখছি পূর্বে থেকে এই প্রস্তুতি গ্রহণ করে দিয়েছেন আপু। আসলে শুধু বিয়ের পরে কথা নয় যে কোন অনুষ্ঠানে মেয়েরা মেহেদি পরতে খুব পছন্দ করে। আসলে কি সত্যি মেয়েদের একটা শখের ব্যাপার বলে আমি মনে করি।
বিয়ের ঘটনা শুনে খুবই মজা পেলাম আপু। বাচ্চা সহ বিয়ে, হা হা হা। আপনি বিয়েতে একা যাবেন আপনি ও নিশ্চয়ই ভাইয়াকে মিস করবেন। তার উপর হ্যাং আউট এ আমরা আপনাকে মিস করব কারণ গান শুনতে পাব কিনা জানি না। যাই হোক আপনার এবং বৌদির মেয়ের হাতের মেহেদি ডিজাইন খুব সুন্দর হয়েছে। বিয়েতে যাওয়ার প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু।
বিয়েতে যাওয়ার জন্য খুব সুন্দর মেহেদী লাগিয়েছেন হাতে। তবে এই ধরনের মেহেদি ডিজাইনগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। বিশেষ করে মেয়েরা হাতে মেহেদি লাগাতে অনেক পছন্দ করে। তবে মেহেদি ডিজাইন এর ফটোগুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। আর বিয়ে বাড়িতে অনুভূতিগুলো নিয়ে আমাদের মাঝে একটি পোস্ট করবেন আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন এর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু খুবই মজা পেলাম বিয়ের ঘটনা শুনে। তবে আপনার সঙ্গে বিয়ের দাওয়াতে ভাইয়া যেতে পারে নাই জেনে একটু খারাপও লাগছে। আপনার হাতের মেহেদী ডিজাইনটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিয়েতে যাবেন তাই হাতে মেহেদী পরেছেন খুব সুন্দর হয়েছে আপু।আমার ও মেহেদী পরতে খুব ভাল লাগে কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই।😅খুব আনন্দ হবে বিয়ে বাড়িতে।তবে ভাইয়া যেতে পারবে না। কি আর করার দায়িত্ব জিনিসটাই যে এমন।অনেক ভাল লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভদা বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না এটা শুনে একটু কষ্ট লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন, কর্ম ব্যস্ত মানুষের আসলে কোন শান্তি নাই। এত দায়িত্ব ঘাড়ের উপর চাপানো থাকে যে নিজেকে দেওয়ার মত সময় বের করা কঠিন। যাই হোক আপনার হাতের মেহেদির ডিজাইন টা খুব ভালো হয়েছে। আপনি নিজেও কিন্তু মাঝেমধ্য এরকম ডিজাইন হাতে করতে পারেন। তাহলে হয়ত অন্যের উপর ভরসা করতে হবে না। আপনার ইচ্ছা মত ডিজাইন করতে পারবেন।