হঠাৎ দুঃসংবাদ 💔
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।হঠাৎই এখন এমন সব খবর পাচ্ছি মনটা নিমিষেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এইতো কিছুদিন আগে আমাদের দাদার বাবার মৃত্যুর ঘটনাটা শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। ওনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। তবে চাইবো উনার বাবা যেন পরপারে ভালো থাকেন। আসলে মৃত্যু যে কোন সময় আমাদের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। তবে হঠাৎই মৃত্যু গুলো মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। মানুষ যখন অনেকদিন অসুস্থ হয়ে থাকে কিংবা বয়স হয়ে যায় তখন সেই মৃত্যুটা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু যখন হঠাৎ করে কোন মানুষ তুমি নিজের কাছের কেউ চলে যায় সেটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।
যাইহোক আপনাদের হয়তো মনে থাকবে যে আমি কিছুদিন আগে বৃষ্টির দিনে আমার স্মৃতিচারণ নিয়ে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। সেই গল্পে আমি এক দাদুকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমার মায়ের ফোন পেলাম। তখনো ঘুমটা ভাঙেনি মায়ের ফোনেই ঘুমটা ভেঙেছে। ফোনের ওপার থেকে শুনতে পেলাম সেই দাদুটা মারা গেছেন আজ রাত ২:৩০ মিনিটে। এটা শোনার পর নিমিষেই মনটা খারাপ হয়ে গেল এবং জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছিল।
মা বললেন সুস্থ হয়েছিল হঠাৎ করে কিছুদিন আগে খেতে পারছিল না তখন ছেলেরা বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে উনি ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং এটাই উনার লাস্ট স্টেপ। চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না। বাসায় নিয়ে গিয়ে যেন যা যা খেতে চাই খাওয়ান।যাইহোক এভাবেই নাকি চলছিল কদিন পরেই আজ রাতেই উনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সবচেয়ে খারাপ লাগছিল আমি কিছুদিন আগে গ্রামে ছিলাম যদি খবরটা শুনতে পেতাম তাহলে একটা নজর দেখতে পারতাম। কেন জানিনা খুব আফসোস হচ্ছিল। তার গাছের পেয়ারা চুরি করেছিলাম হয়তো এটা তাকে বলা উচিত ছিল আমার। যদিও সেটা আমি খেলার ছলেই করেছিলাম।
যাইহোক পরিশেষে ওনার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমার। খুব ইচ্ছে ছিল দেখতে যাব কিন্তু আপনাদের ভাইয়া কিছুদিন আগেই গ্রাম থেকে এসেছে আর বাসায় শাশুড়ি মা অসুস্থ তাই আর যাওয়া হলো না। কি আর করার। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেনো উনি জান্নাতবাসী হোন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আসলে আপু মৃত্যু চিরন্তন সত্য। আমাদের সবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।আর এটা সত্যি হঠাৎ মৃত্যু আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। সত্যি আপনার দাদুর মৃত্যুর কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার দাদুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে কাছের মানুষের মৃত্যুর খবর ভীষণ কষ্টদায়ক হয় ।তারপরেও শেষ দেখাটা দেখতে পারলে ভালো লাগতো হয়তো আপনার। কিছুদিন আগেও গ্রাম থেকে বেরিয়ে এলেন তার সঙ্গে দেখা হলো না । হয়তো এটাই ছিল ভাগ্যে । যাই হোক উনার জন্য বেশি বেশি দোয়া করুন আল্লাহ যেন ওনাকে বেহেশত নসিব করেন । ধন্যবাদ।
হঠাৎ দাদার বাবা মারা যাওয়ার কথাটি শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আজকে আবার আপনার দাদুর মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পেলাম এটা যেন আরো বেশি মন খারাপ হয়ে গেল। মৃত্যু এমন একটা জিনিস যার স্বাদ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। তবে আমার কাছে মনে হয় মানুষের বয়স হয়ে গেলে বা বুড়ো হয়ে গেলে মারা গেলে অতটা কষ্ট হয় না যতটা হঠাৎ করে কেউ মরা গেলে কষ্ট হয় হয়। আপনার দাদুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু।
কিছুদিন আগেই আপনার পোস্টটি পড়েছিলাম আপনার এই দাদুর সম্পর্কে আজকে আবার দাদুকে নিয়েই আপনার পোস্ট দেখে খুব খারাপ লাগলো আপু। আসলে কেউ মারা যাওয়ার পর আফসোস হয়ে যায় অসুস্থ জানলে অবশ্যই আপনি দেখতে যেতেন। আপনি তো খেলার ছলে চুরি করেছিলেন এতে কোন পাপ নেই তবে আপনার আফসোস হচ্ছে বুঝতে পারছি।বেশ খারাপ লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ কষ্টে ভাগ করে নেয়ার জন্য ।
আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ এর সেই পোস্টটি আমি গতকাল রাতে পড়েছিলাম এবং আপনাদের সেই দাদুর ব্যাপারে জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক খবরটি শুনে বেশ খারাপ লাগলো। আল্লাহ তায়ালা উনাকে যাতে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন, সেই কামনা করছি। যেহেতু আপনারা ছোটবেলায় মজা করে উনার গাছের পেয়ারা চুরি করে খেয়েছেন,তাই এটা নিয়ে আফসোস না করলেও হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই খারাপ সংবাদ গুলো এমনই আপু নিমিষে মনটা খারাপ করে দেয়। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন কোন কারো মানুষের মৃত্যুর সংবাদ শুনি আমরা। কিছুদিন আগে দাদার বাবা মারা গেলেন। আজকে আবার আপনার সেই দাদুটা মারা গেল শুনে খারাপ লাগলো। ঠিকই বলছেন মৃত্যু কখন যে দরজায় এসে কড়া নাড়াই সেটা আমরা কিভাবে জানতে পারব। সেটা আপনার ক্ষেত্রে হতে পারে আমার ক্ষেত্রেও হতে পারে। আর ক্যান্সার রোগ গুলো এমনই যাকে ধরে সে একেবারে শেষ হয়ে যায়।
সময়টা সত্যি ই আপু খারাপ যাচ্ছে।চারিদিকে দুঃসংবাদ শুনতে পাচ্ছি। আপনার ওই পোস্ট আমি পড়েছিলাম।আপনার সেই দাদুর এই ভাবে চলে যাওয়া খবরটা খুবই দুঃখজনক।মৃত্যু নামক এই অজানা ব্যাপারটি আমাদের কে খুব কষ্ট দেয়।দোয়া করি আপনার দাদু ওপারে ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব মন খারাপ হলো। দাদার বাবার মৃত্যু এবং আপনার দাদুর হঠাৎ চলে যাওয়া সত্যিই কষ্টের। এমন সময়গুলোতে সান্ত্বনার ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন, তবে আপনি তার জন্য দোয়া করছেন, এটাই বড় কথা। আমাদের জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত আসে যা মেনে নেওয়া কঠিন, তবে আমরা তাদের স্মৃতির মধ্যে বেঁচে থাকতে পারি। আমি দোয়া করি, আপনার দাদু জান্নাতবাসী হোক এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আশা করি, আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দেবেন। ধন্যবাদ, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
[@redwanhossain]
ভীষণ খারাপ একটা খবর। মৃত্যু সংবাদ বড় কষ্টের৷ একটা দীর্ঘ বর্ণময় জীবনের অন্ত হয়ে যায় একটা মৃত্যুতে৷ সেই হারিয়ে যাবার দেশ থেকে প্রিয় মানুষটা আর সাড়া দেয় না হাজার আকুতির৷ তবে সবটাই যেন মেনে নিতে আমরা বাধ্য। আপনার দাদুর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম জ্ঞাপন করলাম। তিনি যেখানেই থাকুন, ঈশ্বর তাঁকে পরম শান্তি প্রদান করুন৷
আসলে কিছু কিছু মৃত্যু আছে শুনলে খুব খারাপ লাগে। আপনার দাদুটি এভাবে দুনিয়া থাকে চলে গেল শুনে আপনার কাছে খারাপ লাগলো এটাই স্বাভাবিক। তবে সবার মরণ আছে একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। তবে আপনার দাদুটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেল । আর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এখন বেশি দেখা যায়। আর এই রোগের এখনো সঠিক ট্রিটমেন্ট নেই। তার গাছের পেয়ারা চুরি করেছেন এই কথাটি আপনার বেশি মনে পড়তেছে। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসি করুক দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।