ফেরিওয়ালা
আমি মনে করি ফেরিওয়ালা নামটি সঙ্গে, সবারই কমবেশি একটা আন্তরিকতা ও এই বিষয়ে ধারণা আছে।বিশেষ করে যারা গ্রামে বড় হয়েছে তারা তো, মোটামুটি ফেরিওয়ালার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছে কোন না কোন সময়।যাইহোক বন্ধুরা, আমি আজকে চেষ্টা করব আমার নিজের অভিজ্ঞতা, ফেরিওয়ালা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়ার জন্য আপনাদের সঙ্গে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বেড়ে উঠেছি এবং স্কুল ও কলেজ জীবন পর্যন্ত আমি গ্রামে থেকেছি। যার কারণে দীর্ঘ সময় গ্রামে থাকার কারণে, মোটামুটি ফেরিওয়ালার সঙ্গে আমার আন্তরিকতা অনেক ভাল ছিল। কারণ তার কাছ থেকেই আমার দৈনন্দিন জীবনের অনেক ব্যবহার্য জিনিস ক্রয় করেছিলাম বিভিন্ন সময়ে। তাই তার সঙ্গে আমার আন্তরিকতা থাকা ভীষণ স্বাভাবিক ছিল।বৈবাহিক জীবনের পরে যদিও আমরা শহরে গিয়েছি। কিন্তু তারপরে এখন আমার প্রেগনেন্সির কারণে আমাকে আবার মূলত গ্রামে থাকতে হচ্ছে। যাইহোক আজকে সকালবেলা আমি যখন গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছি তখন একটা ফেরিওয়ালাকে দেখলাম এবং দেখে আমার সেই পুরনো দিনের কথা গুলো কিছুটা হলেও মনে পড়ে গিয়েছিল। কারণ এই মানুষগুলো হচ্ছে গ্রামের একটা প্রাণ। এই মানুষগুলো যখন গ্রামে ঢুকবে,তখন গ্রামের সব মেয়ে ও বউ মানুষগুলো তাদের কাছে আসবে ও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনবে।
আজকে আমি নিজের থেকেই এই ফেরিওয়ালার সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং জানার চেষ্টা করেছি তার সম্পর্কে। সে আমাকে যে তথ্য দিয়েছে, সেটা আমি শুনে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ আমি যে ফেরিওয়ালাকে চিনতাম, সে সেই ভদ্রলোকের ছেলে এবং তার বাবা গত হয়ে যাওয়ার পর থেকে, সে এখন তার বাবার পুরনো ব্যবসাটাকে নতুন করে আবারও বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। যাইহোক সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। তবুও এই ফেরিওয়ালার গুলো এখনো গ্রামে গঞ্জে যাতায়াত করে। যাইহোক এই মানুষগুলোর জন্য শুভকামনা রইল।
লেখাটা ভালো ছিল।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।